‘শিশু বক্তা’ রফিকুল মাদানীর বিরুদ্ধে চার্জশিট

আগের সংবাদ

চমক থাকছে টাইগার স্কোয়াডে ; মিরপুরে পতাকা উড়িয়ে পাকিস্তানের অনুশীলন

পরের সংবাদ

কুতুবদিয়ায় মাঠে উঠছে নতুন লবণ : দাম না থাকায় ৯৮০ একর জমি পতিত

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কুতুবদিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি : কুতুবদিয়ায় ২০২১-২২ অর্থ বছরে নতুন লবণের দেখা মিলেছে মাঠে। উত্তর ধুরুং ইউনিয়নের চরধুরুং ও লেমশীখালীতে বেশকিছু মাঠে চাষিরা লবণ তুলেছেন। যদিও উপজেলায় অর্ধেক জমি তৈরির কাজ চলছে। এবার অক্টোবরের মাঝ সময়ে চাষিরা মাঠে নেমেছেন। গত বছর ঘূর্ণিঝড় বুলবুলির প্রভাবে শুরুতে মাঠ তৈরিতে হোঁচট খেয়েছিলেন চাষিরা। লবণ উৎপাদনে পরিমাপ হয়না অন্তত ১০ বছর ধরে। ফলে চলতি বছর লবণ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা এখনো নির্ধারণ করা যায়নি। তবে স্থানীয় বিসিক ও বিভিন্ন তথ্য মতে, উপজেলার ৬ ইউনিয়নে ৬ হাজার একর একর জমিতে লবণ চাষ হতে পারে। এ ছাড়া লেমশীখালীতে লবণ প্রদর্শনী কেন্দ্রে (বিসিক) রয়েছে ৭৯ একর লবণ মাঠ।
অনেক মাঠে লাগিয়ত মূল্য কম হলেও উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় গত ৪ বছর ধরে লবণের কাক্সিক্ষত দাম পাচ্ছেন না চাষিরা। যে কারণে অনেক মাঠে চাষিরা এবার চাষ করছেন না। পতিত রয়েছে মাঠ। যার পরিমাণ অন্তত ৯৮০ একর। উত্তর ধুরুং ইউনিয়নে পূর্ব চর ধুরুং লবণ মাঠের চাষি নয়াকাটা গ্রামের জাফর আলম, সুলতান আহমদ বলেন, লবণের দাম কম থাকায় অনেক জমি পতিত (খিলা) রয়েছে। গত সপ্তাহ থেকে লবণ উঠছে। খরচ বেশি। এক একর জমি ২৫ হাজার টাকা, ৬ মাসের জন্য একজন শ্রমিক এক লাখ টাকা, পলিথিন ১৭ হাজার ৫০০ টাকা, পানি, খাল ইত্যাদি খরচ তো আছেই। উৎপাদন ভালো হলে একরে ৭০০ মণ হতে পারে।
একই ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য লবণ ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলী বলেন, বাঁকখালী, তেলিয়াকাটাসহ ৩ মাঠে তিনি অন্তত ৭৫ একর (৩০ কানি) লবণ চাষ করেছেন। ৬ মাসের জন্য নিয়োগকৃত শ্রমিকের মূল্য ৯৫ হাজার থেকে এক লাখ ১৫ হাজার টাকা। পর্যাপ্ত লবণ উৎপাদন হলেও দাম না পাওয়ায় তার নিজের জমিও পতিত রয়েছে কয়েক একর।
অপরদিকে লবণের দাম বৃদ্ধির আশায় অনেকেই মাঠে কয়েক বছরের লবণ জমা রেখেছেন। তবে শেষ মুহূর্তে দাম কিছুটা বেড়েছে। বর্তমানে পুরনো লবণ প্রতিমণ ২২০-২৩০ টাকা। নতুন লবণ কিছুটা নরম হওয়ায় দাম কম থাকে। প্রতিমণ ১৫০ টাকা হতে পারে। অধিকাংশ লবণ চাষের জমি লবণ ব্যবসায়ীদের দখলে। উপজেলায় অন্তত ২০০ লবণ ব্যবসায়ী রয়েছেন। যারা চাষিদের লবণ বেঁচেই আঙুল ফুলে কলাগাছ। তারা উচ্চ দামে চাষিদের কাছে উৎপাদিত লবণ দেবে এমন চুক্তির মাধ্যমে লাগিয়ত দিয়ে থাকে। প্রতি একর লবণ জমি একসনা ৭৫-৮৫ হাজার টাকা।
কৈয়ারবিলের শফি আলম জানান, দীর্ঘদিন ধরে লবণের দাম নেই। আবার বিদেশ থেকে লবণ আমদানির পাঁয়তারাও করে একটি সিন্ডিকেট। বিদেশ থেকে লবণ আমদানির গুজবেও লবণ ব্যবসায়ীরা মাঠ পর্যায়ে দাম কমিয়ে দেন। কষ্ট করে উৎপাদিত লবণ ন্যায্য দামে বিক্রি করতে না পারলে চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হন বলে তারা মনে করেন।
স্থানীয় বিসিকের সহকারী পরিদর্শক হাফেজ জাকের হোছাইন বলেন, নতুন অর্থ বছরে লবণ উৎপাদনে এখনো উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হয়নি। আগাম মাঠ তৈরি করায় কিছু মাঠে লবণ ওঠা শুরু হয়েছে। তাদের বিসিক মাঠে ৭৯ একর লবণ জমি প্রান্তিক চাষিদের মাঝে লটারির মাধ্যমে একসনা বরাদ্দ দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানান তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়