ডেঙ্গুতে ৯১ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত সাড়ে ২৩ হাজার

আগের সংবাদ

তৃণমূলে সংঘাত থামছেই না : সংঘর্ষে জড়িতদের তালিকা করছে আ.লীগ, অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষে এক মাসে নিহত ৮, নির্বাচনী সংঘর্ষে ৩৮ নিহত

পরের সংবাদ

চুরির অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত ‘শিক্ষক নেতা’

প্রকাশিত: নভেম্বর ১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : এমপিও করিয়ে দেয়ার নামে সহকর্মীদের কাছ থেকে ঘুষ নেয়া, স্কুলের টাকা চুরিসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে স্ব-ঘোষিত শিক্ষক নেতা ও রাজধানীর মিরপুর সিদ্ধান্ত হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম রনিকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গত শনিবার পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। প্রসঙ্গত, ‘শিক্ষক নেতার বিচার চেয়ে এমপির ডিও’ শিরোনামে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ভোরের কাগজে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। ডিওটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছিলেন প্রয়াত সংসদ সদস্য আসলামুল হক।
স্কুলটির একাধিক শিক্ষক বলেন, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর- এই ৯ মাসের স্কুলের নিজস্ব অডিটে রনির বিরুদ্ধে টাকা চুরির অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। এরপরই পরিচালনা পর্ষদ তার বিরুদ্ধে ছয় সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটিতে স্কুলের শিক্ষকরাই ছিলেন। ব্যাংক হিসাব প্রতিবেদন থেকেই কমিটি টাকা চুরির সত্যতা পায়। রনিকে সাময়িক বরখাস্ত করার পর জোতির্ময় সেন নামে একজন সিনিয়র শিক্ষককে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নজরুল ইসলাম রনি ভোরের কাগজকে বলেন, কতগুলো লোক একত্রিত হয়ে আমাকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসিয়ে বরখাস্ত করেছে। বরখাস্ত করার আগে যে প্রক্রিয়া মানা দরকার, নিদেনপক্ষে একটি শোকজ দেয়া দরকার তার কোনোটিই করেনি পরিচালনা পর্ষদ। তা না করে আমাকে বরখাস্তের চিঠি ধরিয়ে দিয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, এক সময় রনি ছিলেন বিএনপি সমর্থিত শিক্ষক সংগঠনের অর্থ সম্পাদক। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ভোল পাল্টে নৌকার সমর্থক বনে যান। কোনো ধরনের চোটপাট না করে নিজেই একটি শিক্ষক সংগঠন খুলে বসেন। এরপর দেশের মাধ্যমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের দাবিতে কিছু শিক্ষককে নিয়ে আন্দোলনে নামেন। নিজেই নিজের পদ ঘোষণা করে বলেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ লিয়াজোঁ ফোরামের ‘মুখপাত্র’ তিনি। এরপর জাতীয়করণের দাবিসহ শিক্ষা প্রশাসনের নানা ইস্যুতে সরকারবিরোধী কাজ শুরু করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিদ্ধান্ত হাইস্কুলের একাধিক শিক্ষক জানান, রনির কর্মজীবনের পুরোটাই জালিয়াতিতে ভরা। তথ্য গোপন করে প্রধান শিক্ষকও হয়েছেন। ফেসবুক আর ইমেইল সহজলভ্য হওয়ায় নিজেকে শিক্ষক নেতাও ঘোষণা করেছেন। জাতীয়করণ শব্দটা বারবার উচ্চারণ করে সাধারণ শিক্ষকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি। সর্বশেষ নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়া ছয়জন শিক্ষককে এমপিও করিয়ে দেয়ার নামে সোয়া লাখ টাকা নিয়েছেন রনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়