প্রকাশিত: অক্টোবর ২৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ২৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
বিশ্ববিদ্যালয়কে বলা হয় মনন বিকাশের সর্বোৎকৃষ্ট বিদ্যাপীঠ। এখানে রয়েছে মানসিক বিকাশ সাধনের জন্য বিভিন্ন সংগঠন, শারীরিক বিকাশের জন্য খেলার মাঠসহ জিমনেসিয়াম, তেমনি জ্ঞান চর্চার জন্য রয়েছে লাইব্রেরি। সামাজিকীকরণের জন্যও এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গন হচ্ছে আবাসিক হল। আর সেটি যখন হয় সবুজ ও মনোরম পরিবেশে, পাশ দিয়ে বয়ে চলে কোনো নদী, তবে শিক্ষার্থীদের আত্মিক উন্নয়ন হয় চমৎকার। তেমনি একটি বিশ্ববিদ্যালয়, দক্ষিণ এশিয়ার কৃষি শিক্ষার সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি)। এখানে রয়েছে ছেলেদের জন্য ৯টি ও মেয়েদের জন্য ৪টি আবাসিক হল। প্রতিবছর প্রায় ১২০০ শিক্ষার্থী ভর্তি হয়, যার মধ্যে অর্ধেকই মেয়ে শিক্ষার্থী। সেই অনুপাতে মেয়েদের আবাসন সংকট তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে প্রতি বছর। অপরদিকে ছেলেদের জন্য এতগুলো হল বরাদ্দ থাকলেও সেখানে রয়েছে অব্যবস্থাপনা, প্রশাসনের মনোযোগের অভাব, বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের দৌরাত্ম্যসহ নানাবিধ সমস্যা। প্রায় প্রতিটি হলে রয়েছে গণরুম। সেখানে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী একসঙ্গে একরুমে অবস্থান করে। মেয়েদের হলের অবস্থা আরো ভয়াবহ। ডাইনিং রুমগুলোতে দেখা যায় বেডের দীর্ঘ সারি, সিঙ্গেল বেডে একজনের জায়গায় দুজনকে থাকতে হয়। সেখানেই কোনো এক কোনায় রয়েছে ট্রাঙ্ক, সেলফ আর কদাচিৎ চোখে পড়ে পড়ার টেবিল। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের হেলথ কেয়ার সেন্টারে অস্থায়ী আবাসনের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। হলগুলোর অবস্থাই যখন বেহাল, অস্থায়ী আবাসনে মেয়েদের নিরাপত্তাহীনতা, চোরের উপদ্রব, হোটেলের খাবার গ্রহণসহ নানাবিদ সমস্যায় জর্জরিত। এরকম পরিবেশ শিক্ষার্থীদের মনে নেতিবাচক ধারণার সৃষ্টি করে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এদিকে মনোযোগ দিলে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সুষ্ঠু পরিবেশ পাবে বলে আশা করা যায়।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।