মাদকবিরোধী অভিযান : রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার ২০

আগের সংবাদ

ভোগান্তি মেনেই ঘরে ফেরা : ঈদযাত্রা

পরের সংবাদ

রেকর্ড তাপমাত্রা দক্ষিণ মেরুতে : বিপর্যয়ের আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের

প্রকাশিত: এপ্রিল ৮, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ৮, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : পৃথিবীর দক্ষিণ মেরুর তাপমাত্রায় অস্বাভাবিক পরিবর্তন রেকর্ড করেছেন বিজ্ঞানীরা। দক্ষিণ মেরুর বরফঢাকা পূর্বাঞ্চলের মালভূমিতে অবস্থিত কনকর্ডিয়া গবেষণা কেন্দ্রের বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ২০২২ সালের ১৮ মার্চ অঞ্চলটির তাপমাত্রা মৌসুমি গড় তাপমাত্রার চেয়ে ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে যায়, যা একটি বিশ্ব রেকর্ড।
ব্রিটিশ অ্যান্টার্কটিক সার্ভের বৈজ্ঞানিক দলের প্রধান অধ্যাপক মাইকেল মেরেডিথ বলেন, বিষয়টি এককথায় মাথা ঘুরিয়ে দেয়ার মতো। দক্ষিণ মেরুর তাপমাত্রায় একবারে এত বড় লাফ এর আগে কখনোই দেখা যায়নি। বিশ্বের কোনো আবহাওয়াকেন্দ্রই এ অঞ্চলের তাপমাত্রায় এমন বৃদ্ধি রেকর্ড করেনি।
অধ্যাপক মাইকেল মেরেডিথ আরও বলেন, শূন্য অঙ্কের নিচে থাকা তাপমাত্রায় এত বড় পরিবর্তন সহনীয়। কিন্তু যদি শীতকালে যুক্তরাজ্যের তাপমাত্রা হঠাৎ করেই ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে যায়, তবে বসন্তে দেশটির তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যাবে। বিষয়টি ব্রিটিশদের জন্য হবে ভয়াবহ। অ্যান্টার্কটিকার জলবায়ু ও আবহাওয়ার নাটকীয় রূপান্তরের ওপর জোর দিয়েছিলেন মেরেডিথ। তার মতে, ২০ শতকের শেষের দিকে ও ২১ শতকের শুরু থেকে অ্যান্টার্কটিকার হিমবাহগুলো গলতে শুরু করে। তবে গত দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে এই গতি ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায়। এদিকে, অ্যান্টার্কটিকার এমন পরিবর্তনে ব্যাপক বিষ্ময় প্রকাশ করেছেন যুক্তরাজ্যের এক্সেটার বিশ্ববিদ্যালয়ের হিমবাহ বিজ্ঞানী অধ্যাপক মার্টিন সিগার্ট। তিনি বলেন, আমাদের কেউ ভাবেনি যে এ রকম কিছু ঘটতে পারে। দক্ষিণ মেরুর এই তাপমাত্রা সাধারণ সীমার বাইরের বিষয় ও এটি যথেষ্ট উদ্বেগের বিষয়।
মার্টিন সিগার্ট আরো বলেন, বিশ্বের সবচেয়ে হিমশীতল জায়গার তাপমাত্রায় এমন লাফকে বর্ণনা করার ভাষা আমাদের কাছে ছিল না। বিশ্বকে এখন এমন কিছুর সঙ্গে লড়ার জন্য প্রস্ততি নিতে হতে পারে, যা সম্পূর্ণ নজিরবিহীন।
এই ঘটনাগুলো এমন আশঙ্কার ইঙ্গিত দেয় যে, মানুষের বোকামির জন্য অ্যান্টার্কটিকাও গলতে যেতে শুরু করেছে। বায়ুমণ্ডলে অতিরিক্ত কার্বন ডাই অক্সাইডের প্রভাব এই মহাদেশেও খুব বাজেভাবে পড়েছে।
গত সপ্তাহে জার্নাল অব ক্লাইমেটে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে বিজ্ঞানীদের একটি দল অ্যান্টার্কটিকার এই পরিবর্তনগুলো পুরো মানবসভ্যতার জন্য কোনো ধরনের বিপদ ডেকে আনতে পারে, তা তুলে ধরেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়