আজকের খেলা

আগের সংবাদ

পাহাড়ে সন্ত্রাস নির্মূল হোক

পরের সংবাদ

ন্যাটোপ্রধান : ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্র একে অপরের প্রয়োজন

প্রকাশিত: এপ্রিল ৬, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ৬, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : টানা দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে রাশিয়া। দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও পূর্ব ইউরোপের এই দেশটিতে রুশ আগ্রাসন বন্ধের কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রকে একে অপরের প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন সামরিক জোট ন্যাটোর প্রধান জেনস স্টলটেনবার্গ। এমনকি ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্র ‘একসঙ্গে শক্তিশালী’ বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
গতকাল শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রকে একে অপরের প্রয়োজন এবং (ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্র) ‘একসঙ্গে শক্তিশালী’ বলে মন্তব্য করেছেন ন্যাটো মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ। মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক এই জোটের ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেয়ার সময় তিনি একথা বলেন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপকে নিরাপত্তা দিলেও ওয়াশিংটনেরও তার ইউরোপীয় মিত্রদের সামরিক, গোয়েন্দা এবং কূটনৈতিক সুবিধার প্রয়োজন রয়েছে। স্টলটেনবার্গ বলেন, ‘আমি একা আমেরিকাতে বিশ্বাস করি না ঠিক যেমন আমি একা ইউরোপেও বিশ্বাস করি না। তার ভাষায়, ‘আমি ন্যাটোতে আমেরিকা এবং ইউরোপ একসঙ্গে বিশ্বাস করি, কারণ আমরা একসঙ্গে শক্তিশালী এবং নিরাপদ।’ বক্তৃতার সময় স্টলটেনবার্গ বলেন, ন্যাটো অবশ্যই ‘সঠিক কিছু করছে’, নিজেদের সূচনাকালে এই জোটটিতে ১২টি দেশ থাকলেও বর্তমানে তা ৩২টিতে উন্নীত হয়েছে। ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের ফলে সুইডেন এবং ফিনল্যান্ড তাদের দীর্ঘদিনের নিরপেক্ষতা পরিত্যাগ করেছে এবং ন্যাটো জোটে নতুন সদস্য হিসেবে যোগ দিয়েছে।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, রাশিয়া এবং ন্যাটোর মধ্যে সম্পর্ক ‘সরাসরি সংঘর্ষের পর্যায়ে চলে গেছে’। কারণ সামরিক এই জোটটি ইতোমধ্যেই ইউক্রেনের চারপাশে সংঘাতে ‘জড়িত’ রয়েছে। যদিও ন্যাটো একটি প্রতিরক্ষামূলক জোট, তারপরও পেসকভ অভিযোগ করেছেন, ‘সংঘাতের হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহারের জন্য যুক্তরাষ্ট্র এই জোট গঠনের ধারণা সামনে এনেছিল। পরে জোটটি সজ্জিত করা, তৈরি এবং নিয়ন্ত্রণ করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র’ এবং বর্তমানে এটি একটি ‘অস্থিতিশীল উপাদান’।

এদিকে ৩২ সদস্যের এই জোট ইউক্রেনের জন্য দীর্ঘমেয়াদী সামরিক সহায়তার পরিকল্পনা শুরু করতে সম্মত হয়েছে। বেশ কয়েকটি দেশ শুধুমাত্র তত্ত্বগতভাবে এই উদ্যোগকে সমর্থন করেছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়