সায়মা ওয়াজেদের কারণে অটিজম নিয়ে সচেতনতা বেড়েছে : বাহাউদ্দিন নাছিম

আগের সংবাদ

পাহাড় জনপদে আতঙ্কের ঢেউ

পরের সংবাদ

মন্ত্রীকে তদবিরের বার্তা দিয়ে গ্রেপ্তার ভুয়া রাষ্ট্রপতি

প্রকাশিত: এপ্রিল ৪, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ৪, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বদলির তদবির করে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে রাষ্ট্রপতি পরিচয়ে পাঠানো ক্ষুদে বার্তার সন্ধানে নেমে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) জানতে পারে যে, ওই ব্যক্তি অষ্টম শ্রেণি পাস ও ৩টি বিয়ে করেছেন। প্রতারণাই তার কাজ। মো. সিরাজ নামের ওই প্রতারককে গ্রেপ্তার করতে ডিবি যখন তার বাসায় অভিযানে যায়, তখন অজ্ঞান হয়ে পড়েন তিনি।
গত মঙ্গলবার পাবনার সুজানগর এলাকায় অভিযান চালিয়ে সিরাজকে গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল বুধবার দুপুরে মিন্টো রোডের নিজ কার্যালয়ে এসব কথা জানান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার ও গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
ডিবির এ কর্মকর্তা বলেন, সম্প্রতি সিলেট এমএজি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স মোসা. নবীনা খাতুন ও মোসা. পারভীন আক্তারকে অন্যত্র বদলির জন্য রাষ্ট্রপতি পরিচয় দিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেনের মোবাইলে দুটি ক্ষুদে বার্তা পাঠান সিরাজ। ডিবিকে বিষয়টি তদন্ত করে দেখতে বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তদন্তে নেমে জানা যায়, রাষ্ট্রপতির মোবাইল থেকে অথবা রাষ্ট্রপতির কার্যালয় থেকে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর মোবাইলে কোনো বার্তা পাঠানো হয়নি। অর্থাৎ নার্সের বদলির সুপারিশের বার্তাটি ভুয়া। তখন ভুয়া রাষ্ট্রপতি পরিচয় দেয়া ওই ব্যক্তিকে পাবনার সুজানগরে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিরাজ অষ্টম শ্রেণি পাস, বিয়ে করেছেন ৩টি উল্লেখ করে হারুন অর রশীদ বলেন, এর আগে একাধিক এমপির ভুয়া ডিও লেটার দিয়েছেন সিরাজ। ডিও লেটার দিয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে বদলির জন্য তদবির করেছেন। বিয়ে করেছেন তিনটি। এর মধ্যে একজন নার্স, একজন শিক্ষক ও ৮ মাস আগে তিনি আরেকটি নতুন বিয়ে করেন।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি ছাড়াও বিভিন্ন এমপি ও মন্ত্রীদের নাম ভাঙিয়ে প্রতারণা করেছেন সিরাজ। প্রতারণা করাই তার পেশা। অষ্টম শ্রেণি পাস হলেও প্রতারণার বিষয়টি ভালোভাবে রপ্ত করেছেন তিনি।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, সিম কেনার পর রাষ্ট্রপতির নামে ট্রু-কলারে নাম্বার সেভ করতেন সিরাজ। তদবিরের জন্য যে সিম দিয়ে মেসেজ দিতেন তিনি, পরবর্তী সময়ে সেই সিমটি পানিতে ফেলে দিতেন। এরপর সিম হারিয়ে গেছে বলে থানায় জিডি করতেন। সিম পানিতে ফেলে জিডি করার অর্থ হলো- পুলিশ তাকে ধরলে তিনি বলতেন তার সিম হারিয়ে গেছে, এ বিষয়ে জিডিও করেছেন। একইভাবে নতুন সিম কিনে আবার প্রতারণা করতেন তিনি। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।
সিরাজ রাষ্ট্রপতির নাম কেন ব্যবহার করলেন এমন প্রশ্নের জবাবে হারুন অর রশীদ বলেন, এ বিষয়ে জানতে রিমান্ডে এনে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এর আগে যারা এমন প্রতারণা করেছেন, সবাইকে আইনের আওতায় এনেছে ডিবি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়