সায়মা ওয়াজেদের কারণে অটিজম নিয়ে সচেতনতা বেড়েছে : বাহাউদ্দিন নাছিম

আগের সংবাদ

পাহাড় জনপদে আতঙ্কের ঢেউ

পরের সংবাদ

পলিথিনের বদলে মানুষের হাতে থাকবে পাটের ব্যাগ : বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী

প্রকাশিত: এপ্রিল ৪, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ৪, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, সোনালী ব্যাগের জন্য প্লাস্টিক ব্যবসায়ীরা বড় বাধা হলেও আমরা জয়ী হব। পলিথিন নয় মানুষের হাতে থাকবে পাটের তৈরি সোনালি ব্যাগ। এজন্য দাম সাধারণ মানুষের কেনার সামর্থ্যরে মধ্যে রাখার চেষ্টা হচ্ছে। আগামী জুলাইয়ে ১০০ কোটি টাকা অর্থ ছাড় হলে বাণিজ্যিকভাবে এটির উৎপাদন শুরু হবে। এজন্য বেসরকারি খাতকেও এগিয়ে আসতে হবে।
গতকাল বুধবার সকালে রাজধানীর ডেমরায় লতিফ বাওয়ানী জুট মিলস প্রাঙ্গণে বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ড. মোবারক আহমদ খান উদ্ভাবিত সোনালি ব্যাগ উৎপাদন কারখানা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিজ্ঞানী ড. মোবারক আহমদ খান, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুর রউফ, বিজেএমসি’র চেয়ারম্যান ফারুক আহম্মদ প্রমুখ।
বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে প্লাস্টিক বা পলিথিনের অতি ব্যবহারের কারণে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম একটি বিপদসংকুল পরিবেশে পতিত হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ড. মোবারক আহমদ খানকে সার্বিকভাবে সহযোগিতার নির্দেশ দিয়েছেন। প্লাস্টিক বা পলিথিনের বিকল্প হিসেবে আমরা পাট থেকে প্রস্তুত করা এই সোনালি ব্যাগ ব্যবহার করব। ড. মোবারক আহমদ খানের এই সোনালি ব্যাগ প্রকল্প কোন পর্যায়ে আছে আমরা তা স্বচক্ষে দেখতে এসেছি। আমি মনে করি বাঙালি জাতি অনেক সৃষ্টিশীল। আমরা এই জায়গায় অনেক এগিয়ে যাব।
একজন কেমিস্ট হয়েও ড. মোবারক নিজেই কাস্টমাইজ করে মেশিনারিজ তৈরি করায় তার প্রশংসা করে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে ১০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প দিয়েছেন। এ ব্যাপারে যত সহযোগিতা দরকার আমরা করব। আমরা সামনে পলিথিন ব্যবহারের বিরুদ্ধে অভিযান চালাব। কিন্তু তার আগেই আমরা জনগণের হাতে বিকল্প তুলে দিতে চাই। এজন্য চেষ্টা করে যাচ্ছি পলিথিনের বিকল্প সোনালি ব্যাগকে উৎপাদনে এনে ব্যাপকভাবে মানুষের হাতে তুলে দিতে।
ঈদের পরে কোনো পাটকল চালু হচ্ছে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে পাটমন্ত্রী বলেন, ঠিক ঈদের পরেই চালু হবে এমনটা নয়, তবে মিলগুলো তৈরি হচ্ছে। আশা করছি অদূর ভবিষ্যতে চালু হবে।
বিজ্ঞানী ড. মোবারক আহমদ খান বলেন, সোনালি ব্যাগ এমন একটা পণ্য যাতে প্লাস্টিক নেই। আপনারা জানেন বায়োডিগ্রেডিবল যে প্লাস্টিক ব্যাগ পাওয়া যায়, সেগুলো গত বছরের ২৮ মে প্রতিবেশী দেশ ভারতে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কানাডাতেও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কেননা সেগুলো শতভাগ পরিবেশবান্ধব নয়। আমাদের এই সোনালি ব্যাগ বায়ো-ডিগ্রেডেবল এবং শতভাগ পরিবেশবান্ধব। এটি কার্বন নেগেটিভ পণ্য। পানিতে গলে যাবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা ভোক্তার চাহিদা অনুয়ায়ী এটা বানাতে পারি। যেমন শপিং ব্যাগ ৮ ঘণ্টায় পানিতে মিশে যায়। এটাকে ৬ মাস মেয়াদি করতে পারি। এখন আমরা দৈনিক ২৫০ কেজি পরিমাণ উৎপাদন করছি। আমাদের যে সক্ষমতা আছে তাতে আমরা এখনি ১ টন উৎপাদন করতে পারব। ১ কেজিতে গড়ে ১০০ ব্যাগ করা যায়।
ড. মোবারক বলেন, সোনালি ব্যাগ মানুষ গ্রহণ করবে। কারণ ভালো যেকোনো কিছু মানুষ গ্রহণ করে। আপনারা দেখবেন এখন একজন রিকশাওয়ালাও মোবাইল ব্যবহার করে, কিনে মিনারেল ওয়াটার খায়। মানুষের সচেতনতা যখন বাড়বে, মানুষ যখন ভালো বোধ করবে তখন প্লাস্টিকের বাধা অতিক্রম করা যাবে। তবে অন্যান্য দেশের মতো প্লাস্টিক ও পলিথিন নিষিদ্ধ করে সরকারকে শক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়