কাগজ প্রতিবেদক : সাভারের হেমায়েতপুরে তেলের ট্যাংকার থেকে ভয়াবহ আগুনের ঘটনায় চিকিৎসাধীন সাকিব (১৪) নামে আরো একজনের মৃত্যু হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাত দেড়টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের ৬০২ নম্বর ওয়ার্ডে তার মৃত্যু হয়। এ নিয়ে আগুনের ঘটনায় ৪ জন মারা গেলেন।
সাকিবের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক মো. তরিকুল ইসলাম। তিনি জানান, সাকিবের শরীরের শতভাগই পুড়ে গিয়েছিল। এ ঘটনায় বাকি ৬ জন এখনো হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। অন্যরাও গুরুতর।
মৃত সাকিবের বড় ভাই মো. নাইম জানান, তাদের বাড়ি বরগুনার সদর উপজেলায়। বাবার নাম আবেদ আলী। পেশায় ট্রাক হেল্পার ছিল সাকিব। আগুনে পুড়ে যাওয়া তরমুজের ট্রাকে ছিল সে।
এর আগে, গত মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে হেমায়েতপুর জোড়পুল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। দগ্ধদের উদ্ধার করে বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
ঘটনার পর বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে এলে নজরুল ইসলাম (৪৫) নামে একজনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। গত মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান হেলাল উদ্দিন (৪০)। এছাড়া ইকবাল হোসেন নামে আরো একজন ঘটনাস্থলেই মারা যান। দগ্ধ অন্যরা হলেন প্রাইভেটকার চালক আ. সালাম (৩৫), প্রিমিয়ার সিমেন্ট বহনকারী গাড়ির চালক আল আমিন (২৮) ও গাড়িটির শ্রমিক মিলন মোল্লা (২০), ফল ব্যবসায়ী আল আমিন (৩০), তার মেয়ে স্কুলছাত্রী মিম (১০) এবং ফল ব্যবসায়ী নিরঞ্জন (৪৫)।
হাসপাতালে ভর্তি দগ্ধ প্রাইভেটকার চালক আ. সালাম জানান, তিনি হেমায়েতপুরে সিএনজি পাম্প থেকে গ্যাস নিয়ে ঢাকার দিকে ফিরছিলেন। তবে হেমায়েতপুর জোড়পুল এলাকায় একটি তেলের ট্যাংকার দুর্ঘটনায় রাস্তার উপর উল্টে ছিল। সেটির কারণে পাস দিয়ে অন্য সব গাড়ি ধীর গতিতে পার হচ্ছিল। আর রাস্তায় ওই ট্যাংকার থেকে তেল গড়িয়ে পড়ছিল। তখন হঠাৎ সেখানে আগুন ধরে উঠে। এতে ট্যাংকারের আশপাশে থাকা অনেকগুলো গাড়িতে আগুন ধরে যায়। তিনি জানান, তার প্রাইভেট কারে কোনো যাত্রী ছিল না। যখন প্রাইভেটকারটিতে আগুন ধরে যায় তখন তিনি দৌড়ে গাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। তবে এর আগেই তার মাথার একপাশ ও পা দগ্ধ হয়।