মোহাম্মদপুরে ২৫ দিন ধরে শিকলে বেঁধে তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ

আগের সংবাদ

পাল্টে যাচ্ছে এসএসসি পরীক্ষা : শিখনকালীন ৪০ শতাংশ, ৩০ নম্বর হাতেকলমে এবং ৩০ নম্বর সামষ্টিক মূল্যায়ন

পরের সংবাদ

রুমায় শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

প্রকাশিত: এপ্রিল ২, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ২, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

রুমা (বান্দরবান) প্রতিনিধি : বান্দরবানের রুমায় গ্যালেঙ্গ্যা ইউনিয়নের গ্যালেঙ্গ্যা পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক গত ৫ বছরে মাত্র ১৫ দিন কর্মস্থলে উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গেছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বরাদ্দকৃত স্লিপের অর্থ উত্তোলন করে আত্মসাতের অভিযোগও উঠেছে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে। শিক্ষকের এহেন অনিয়ম দুর্নীতিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকার বাসিন্দারা।
জানা গেছে, অভিযুক্ত শিক্ষক বিদ্যালয়ের না এসে মাসের পর মাস বেতন তুলে নেয়ার পাশাপাশি বিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রকল্পের বরাদ্দকৃত স্লিপের অর্থ আত্মসাৎ করে আসছেন দীর্ঘ দিন ধরে। এর ফলে, শিক্ষাসামগ্রী থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ছাত্রছাত্রীরা। গ্যালেঙ্গ্যা পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক রয়েছেন মাত্র তিনজন। এর মধ্যে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক একজন ও সহকারী শিক্ষক রয়েছেন আরো দুইজন। সেই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা মাত্র ১৭ জন। সেই বিদ্যালয়ের ২০১০ সালে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন উটিংশৈ মারমা। কিন্তু সহকারী শিক্ষকরা নিয়মিত ক্লাসে এলেও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নিয়মিত বিদ্যালয়ের আসেন না। মাঝেমধ্যে এলেও সে সময় বিদ্যালয়ের স্লিপ বরাদ্দের অর্থ উত্তোলন করতে সভাপতির স্বাক্ষর নিতে আসেন এই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। শুধু তাই নয়, তিনি পারিবারিক ও বিদ্যালয়ের বিভিন্ন কাজের অজুহাত দেখিয়ে লাপাত্তা হয়ে যান দীর্ঘ সময় ধরে।
সরজমিন দেখা গেছে, রুমা বাজার থেকে ২৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত গ্যালেঙ্গ্যা পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। নৌপথে যেতে সময় লাগে প্রায় দেড়ঘণ্টা। এরপর দেখা মিলে প্রত্যন্ত এলাকার বিদ্যালয়টির। বিদ্যালয়ের চারপাশে ঝোপঝাপ। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ব্যবহৃত শৌচাগার, দোলনাসহ বিভিন্ন খেলাধুলা অকেজোভাবে পড়ে আছে। বিদ্যালয়ের সিঁড়ি থেকে ছাদ পর্যন্ত জরাজীর্ণ হওয়ায় যে কোনো সময় ঘটতে পারে শিক্ষার্থীরা দুর্ঘটনা। তাছাড়া বছরের পর বছর বিদ্যালয়ের জন্য বিভিন্ন প্রকল্পে বরাদ্দ হলেও সেসব বরাদ্দে উন্নয়ন তো দূরের কথা কোনো কার্যক্রমই দেখা মেলেনি। যার ফলে, ওই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের প্রতি শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও এলাকাবাসী ক্ষোভ জানিয়েছেন।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, স্কুলে প্রতি বছরের বিদ্যালয় মেরামত ও গরিব অসহায় শিক্ষার্থীদের জন্য যেসব বরাদ্দ আসে, সেগুলো কখনো বাস্তবায়ন করতে দেখেননি গ্রামবাসীরা। অথচ বিদ্যালয়ের ছাদ নোংরা অগোছালো, শ্রেণি কক্ষের জানালা ভাঙা, বাইরের চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে অর্বজনা ও ঝোপজঙ্গলে ভরপুর। এ ধরনের দায়িত্ববানরা অবহেলা করলে ছেলেমেয়েরা কীভাবে সুশিক্ষিত হয়ে উঠবে তা নিয়ে প্রশ্ন অভিভাবকদের। তাছাড়া শিক্ষকদের অবহেলা ও গাফিলতির কারণে অভিভাবকরা নিজ সন্তানদের শহরে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠিয়ে দিচ্ছেন। সঠিকভাবে প্রতিনিয়ত ক্লাসের পাশাপাশি বিদ্যালয়ের উন্নয়নের দাবি জানান এলাকাবাসী।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়