মোহাম্মদপুরে ২৫ দিন ধরে শিকলে বেঁধে তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ

আগের সংবাদ

পাল্টে যাচ্ছে এসএসসি পরীক্ষা : শিখনকালীন ৪০ শতাংশ, ৩০ নম্বর হাতেকলমে এবং ৩০ নম্বর সামষ্টিক মূল্যায়ন

পরের সংবাদ

রামপুরার মুক্তিযোদ্ধা কলোনিতে ফের সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা : বাদীকে হত্যার হুমকি

প্রকাশিত: এপ্রিল ২, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ২, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : আবারো হামলার আশঙ্কা করছেন রাজধানীর পূর্ব রামপুরার মুক্তিযোদ্ধা কলোনিসহ আশপাশের বাসিন্দারা। মার্চের প্রথম সপ্তাহে বড় ধরনের হামলায় ১১ জন গুরুতর আহত হওয়ার পর থেকে সেখানকার বাসিন্দারা আতঙ্কের মধ্যে আছেন। ওই হামলার পর দায়ের করা মামলার ২৪ আসামির মধ্যে ১৯ জনই জামিনে রয়েছেন। জামিনে ছাড়া পাওয়ার পর আসামিরা মামলার বাদীকে হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে যাচ্ছেন। ঘটনার পর কলোনির অনেক বাসিন্দা এলাকা ছেড়ে দিয়েছেন। কলোনির ভেতরে থাকা একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বর্তমানে বন্ধ হয়ে গেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই কলোনিতে শতাধিক মানুষের বসবাস। গত ৬ মার্চ দিবাগত রাত সাড়ে ৮টার দিকে পূর্ব রামপুরার ১৭৫/৫ নম্বর প্লটের মুক্তিযোদ্ধা কলোনিতে ঘটনাটি ঘটে। সেখানে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা জনকল্যাণ ফাউন্ডেশন (বিএমজেএফ) নামের একটি অফিস আছে। অফিসটির পাশে থাকা সঙ্গীত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি এখন বন্ধ। অভিভাবকরা, তাদের ছেলে-মেয়েদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিতে পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন। শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্টরাও রয়েছেন চরম আতঙ্কে। কলোনির বেশিরভাগ বাসিন্দাই নিম্ন আয়ের মানুষ।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, হামলাকারীরা সংঘবদ্ধ হয়ে দেশীয় ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পরিকল্পিতভাবে মূল গেট দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কলোনির ভেতরে ঢুকে হামলা চালায়। হামলার সময় কলোনি থেকে প্রায় ২ লাখ ১৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে।
রামপুরা থানায় দায়ের করা মামলার বাদী মোহাম্মদ মতিয়র রহমান জানান, হামলাকারীরা সংঘবদ্ধ হয়ে ওইদিন ধারালো অস্ত্রশস্ত্রসহ কলোনিতে হামলা চালিয়ে তাকেসহ ১১ জনকে গুরুতরভাবে আহত করে। কলোনির লোকজনের চিৎকার চেঁচামেচির মধ্যেই তারা দ্রুত পালিয়ে যায়। তার মাথায় ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করে। তিনি আরো বলেন, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। যদিও ঘটনার ১১ দিন পর গত ১৭ মার্চ পুলিশ মামলা নিয়েছে। আসামিরা জামিনে বেরিয়ে তাকেসহ নিরীহ কলোনিবাসীদের হুমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছে। অনেকেই ভয়ে সপরিবারে এলাকা ছেড়েছেন।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রামপুরা থানার এসআই ফরিদ উদ্দিন বলেন, আসামিদের মধ্যে ১৯ জন জামিনে রয়েছেন। বাকিরা পলাতক। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ইতোমধ্যেই ঘটনাস্থল থেকে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। ফুটেজ দেখে জড়িতদের শনাক্ত করে চলছে গ্রেপ্তারে অভিযান। হামলার নেপথ্যের কারণ সর্ম্পকে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, মূলত জমিজমাসংক্রান্ত বিরোধ ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের জের ধরেই হামলার ঘটনাটি ঘটে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মামলা দেরিতে নথিভুক্ত হওয়ার বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে রামপুরা থানার ওসি মশিউর রহমান বলেন, বাদী আহত হয়ে দীর্ঘসময় চিকিৎসাধীন থাকায় মামলা নিতে দেরি হয়েছে। বাদী যদি হুমকি পেয়ে থাকেন, তাহলে তিনি পুলিশের সহায়তা নিতে পারেন। বাদীকে পুলিশ সব ধরনের সহায়তা দিতে প্রস্তুত রয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়