মোহাম্মদপুরে ২৫ দিন ধরে শিকলে বেঁধে তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ

আগের সংবাদ

পাল্টে যাচ্ছে এসএসসি পরীক্ষা : শিখনকালীন ৪০ শতাংশ, ৩০ নম্বর হাতেকলমে এবং ৩০ নম্বর সামষ্টিক মূল্যায়ন

পরের সংবাদ

ভোরের কাগজে সংবাদ প্রকাশ : ঘুষের ভিডিও সম্পর্কে জানতে নায়েবকে এসিল্যান্ডের চিঠি!

প্রকাশিত: এপ্রিল ২, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ২, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

জিয়াউর রহমান রিন্টু, চৌগাছা (যশোর) থেকে : গত রবিবার ‘চৌগাছায় চুক্তি ছাড়া কাজ করে না নায়েব রাজ্জাক’ শিরোনামে ভোরের কাগজে সংবাদ এবং ভোরের কাগজ ডিজিটালে ঘুষ গ্রহণের ভিডিও প্রকাশের পরেই নড়েচড়ে বসেছে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন। ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে ৩ দিনের মধ্যে ঘুষ গ্রহণের ভিডিও সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে নায়েব আব্দুর রাজ্জাককে নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুস্মিতা সাহা এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) গুঞ্জন বিশ্বাস নিশ্চিত করেছেন। তবে নায়েবের নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ না হওয়ায় তাকে সরাসরি কারণ দর্শানোর চিঠি দিতে পারছেন না বলেও জানিয়েছেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) গুঞ্জন বিশ্বাস। সংবাদ প্রকাশের পরে নারায়ণপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিস সূত্রে জানা যায়, অফিস ছুটির পরেই সেবাপ্রার্থীদের অফিসে ডেকে, কখনো উপজেলা সদরে নিজ বাসায় আবার কখনো তিনি নিজেই সেবাপ্রার্থীর বাড়িতে বসে কাজের চুক্তি করতেন।
এদিকে রবিবার আবারও সরজমিন নায়েব রাজ্জাকের বিষয়ে জানতে বুন্দলিতলা গ্রামে পৌঁছালে মধ্যবয়স্ক শুকুর বিশ্বাস জানান, জমির খাজনা বাবদ নায়েব রাজ্জাককে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা দিয়েছি কিন্তু তিনি গত ২ জানুয়ারি আমাকে ৭০ হাজার ৮শত ৪৫ টাকার রশিদ দিয়েছেন। ইমান গাজীর অভিযোগ, ১ বছর আগে তার ৪৮ শতক জমির নামপত্তনের জন্য ৪৮ হাজার টাকা চুক্তির অগ্রিম ২৫ হাজার টাকা নিয়ে আজও কাজ করেনি নায়েব রাজ্জাক। একই গ্রামের আবু বক্কর বলেন, জমির নাম পত্তনের বিষয়ে নায়েবের কাছে গেলে তিনি আমার কাছে শতক প্রতি ১ হাজার টাকা করে সর্বমোট তিনি ৩ লাখ টাকা দাবি করলে তাকে ২ লাখ টাকা দিই। তবে সব ঘটনা আমাদের মোবাইলে রেকর্ডিং করে রাখি। পরে কাজ না হওয়ায় গত ৪/৫ মাস আগে সেই রেকর্ডিং দেখিয়ে সেই টাকা উদ্ধার করি। গৃহিণী রেশমা বেগম জানান, আমাদের জমির কাগজপত্র ঠিক করতে নায়েব রাজ্জাককে গত ৬/৭ মাস আগে অগ্রিম ৫০ হাজার টাকা দিলেও এখনো হয়নি। মুঠো ফোনে এই ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড সদস্য হাবিবুর রহমান বলেন, আমার পিতা ফরজান আলী আমাদের জমির খাজনা বাবদ নায়েব রাজ্জাককে ৮৬ হাজার টাকা দিয়েছিলেন। বিনিময়ে নায়েব আমাদের ৬৮ হাজার টাকার জমা রশিদ দিয়েছেন। এছাড়াও গত ৮ জানুয়ারি বাটিকামারি গ্রামের হেলাল উদ্দিন বাদী হয়ে নায়েব রাজ্জাক ও তার অফিস সহকারী ইউনুছসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে একটি চাদাবাজির মামলা করেন। মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন। এ সব তথ্য এই প্রতিবেদকের কাছে অডিও/ভিডিওতে সংরক্ষিত আছে। তবে মুঠো ফোনে নারায়ণপুর ইউনিয়ন অফিসের নায়েব আব্দুর রাজ্জাক সব অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়