মোহাম্মদপুরে ২৫ দিন ধরে শিকলে বেঁধে তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ

আগের সংবাদ

পাল্টে যাচ্ছে এসএসসি পরীক্ষা : শিখনকালীন ৪০ শতাংশ, ৩০ নম্বর হাতেকলমে এবং ৩০ নম্বর সামষ্টিক মূল্যায়ন

পরের সংবাদ

প্রতিবাদের মুখে গাছ কাটা বন্ধ করল বন বিভাগ : সুনামগঞ্জ

প্রকাশিত: এপ্রিল ২, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ২, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মো. সাজ্জাদ হোসেন শাহ্, সুনামগঞ্জ থেকে : সুনামগঞ্জ-জামালগঞ্জ সড়কে সামাজিক বনায়নের দোহাই দিয়ে সড়কের দুপাশে থাকা বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় তিন হাজার গাছ কাটার উদ্যোগ নিয়েছে বন বিভাগ। গাছ কাটতে ইতোমধ্যে গাছের গায়ে লাল রঙের নম্বর দিয়ে চিহ্নিত করা হয়। তবে বন বিভাগের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে স্থানীয়দের প্রতিবাদের মুখে গাছ কাটা বন্ধ করতে বাধ্য হয় বন বিভাগ।
এদিকে গাছ কাটার প্রতিবাদে গত রবিবার বিকালে প্রকৃতি ও পরিবেশ রক্ষায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন স্থানীয় সচেতন মহল। গাছ কাটার উদ্যোগ বন্ধ না করলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তারা।
সরজমিন দেখা যায়, সুনামগঞ্জ-জামালগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের দুপাশে দাঁড়িয়ে আছে কদম, কড়ই, মেহগনি, জাম, কাঁঠালসহ নানা জাতের গাছ। সড়ক ও জনপদের মালিকানাধীন সড়কের দুপাশে সামাজিক বনায়ন কর্মসূচির আওতায় গাছ রোপণ করেছে বন বিভাগ। গাছগুলোর পরিচর্চা করেছে স্থানীয়রা। দুপাশে থাকা হাজারো গাছের জন্য সবুজ শ্যামল পরিবেশের এ সড়কটি সুনামগঞ্জের সবচেয়ে সুন্দর সড়কের একটি। এসব গাছের ছায়ায় বসে বিশ্রাম নেন হাওরের ক্লান্ত কৃষক ও পথচারীরা। এছাড়া এসব গাছে বাসা বেঁধেছে বিভিন্ন প্রজাতির হাজার হাজার পাখি। কিন্তু কোনো প্রয়োজন ছড়াই সামাজিক বনায়ন বিধির দোহাই দিয়ে ১৯ কিলোমিটার সড়কের প্রায় তিন হাজার গাছ কাটার উদ্যোগ নেয় বন বিভাগ। ইতোমধ্যে এসব গাছ কাটতে লাল রঙ দিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছে। এত বছর ধরে বেড়ে ওঠা এসব গাছ কাটার খবরে ক্ষোভ জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
বন বিভাগের ভাষ্যমতে, চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ায় স্থানীয় চুক্তিবদ্ধ উপকারভোগীরা গাছ কাটার জন্য তাগিদ দেয়ায় গাছ কাটার উদ্যোগ নিয়েছিলেন তারা। তবে একাধিক চুক্তিবদ্ধ উপকারভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা যে চুক্তি করেছিলেন সেটাই ভুলে গিয়েছিলেন। তাদের যে সমিতি ছিল তার নামটাও মনে নেই তাদের। বনকর্মীরা গিয়ে তাদের খুঁজে বের করে গাছ কাটার তাগিদ দিয়েছেন তাই তারা রাজি হয়েছেন।
বন বিভাগ সুনামগঞ্জের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কর্মকর্তা মাহমুদুল হক খান বলেন, সামাজিক বনায়ন কর্মসূচি হচ্ছে সুবিধা বঞ্চিত মানুষের উপকারের জন্য। তাদের নিয়ে বন সৃজন করা হয়, যার অধিকাংশ লভ্যাংশ তারাই পাবেন। বিধি অনুযায়ী মেয়াদ শেষ হলে গাছগুলো কর্তন করে চুক্তি অনুযায়ী বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে অর্থ বণ্টন করা হয়। এ সড়কের গাছগুলোর মেয়াদ শেষ হওয়ায় কতগুলো গাছ সেই সংখ্যা ও কত টাকার গাছ বেঁচে আছে সেটা নির্ধারণের জন্য মার্কিং করা হয়েছে। এটা দেখেই মানুষের মধ্যে মতানৈক্য সৃষ্টি হওয়ায় আমরা বাকি কার্যক্রম স্থগিত করেছি। আমাদের বন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়