মোহাম্মদপুরে ২৫ দিন ধরে শিকলে বেঁধে তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ

আগের সংবাদ

পাল্টে যাচ্ছে এসএসসি পরীক্ষা : শিখনকালীন ৪০ শতাংশ, ৩০ নম্বর হাতেকলমে এবং ৩০ নম্বর সামষ্টিক মূল্যায়ন

পরের সংবাদ

তিন বছরে কাজ হয়েছে মাএ ৬০ ভাগ, আতঙ্কে তীরের বাসিন্দারা : পদ্মার ভাঙন রক্ষায় মেগা প্রকল্প

প্রকাশিত: এপ্রিল ২, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ২, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

শিবগঞ্জ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) প্রতিনিধি : সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ও শাজাহানপুর এলাকা পদ্মা নদীর ভাঙন থেকে রক্ষায় মেগা প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০২১ সালের জানুয়ারিতে। দরপত্র অনুযায়ী- নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২৩ সালের জুনে। কিন্তু গত তিন বছরের বেশি সময়ে কাজ হয়েছে মাত্র ৬০ শতাংশ। নির্ধারিত সময়ে কাজে তেমন অগ্রগতি না হওয়ায় চলতি বছরের জুন পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। বাড়তি সময়ের বাকি আছে মাত্র তিন মাস। কিন্তু প্রকল্পের কাজ এখনো বাকি ৪০ শতাংশ। এখন আরেক দফায় প্রকল্প বাস্তবায়নের সময়সীমা বাড়ানোর তোড়জোড় চলছে। এলাকাবাসী বলছে, কয়েক বছর ধরে তীর সংরক্ষণের কাজ চলমান, কিন্তু শেষ হচ্ছে না। কাজ শেষ না হওয়ায় প্রতি বর্ষা মৌসুমে আতঙ্কে দিন কাটে তীরের বাসিন্দাদের। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের দাবি- এসব প্রকল্পের নির্মাণকাজ বাস্তবায়নে রীতিমতো সংগ্রাম করতে হয়। বর্ষা মৌসুমে দুই কুল উপচে পড়ে পানিতে, এজন্য বছরের তিন থেকে চার মাস কাজ বন্ধ থাকে। এছাড়া প্রকল্পের অর্থ ছাড়েও প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। নির্মাণসামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধি আর সময়মতো অর্থ ছাড় না পাওয়ায় ঠিকাদারদের সদিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও কাজ করা যাচ্ছে না। তারপরও দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করার চেষ্টা রয়েছে। পদ্মার তীর সংরক্ষণে চলমান প্রকল্পের নির্মাণকাজ শেষ হতে আরও এক বছর লাগতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে- শুরুতে এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ৫৬৬ কোটি টাকা। সংশোধনের পর প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ৩৭ কোটি টাকা বেড়ে দাঁড়ায় ৬০৩ কোটি টাকায়। প্রকল্পটি আবার সংশোধন হলে নির্মাণকাজের সময়ও বাড়বে। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, প্রকল্পের আওতায় ৬ দশমিক ১০ কিলোমিটার নতুন নদীতীর সংরক্ষণ কাজ ২৯টি প্যাকেজে, চার কিলোমিটার তীরের পুনর্বাসনের কাজ চারটি প্যাকেজে এবং ৮ কিলোমিটার আগের বাঁধের পুনরাকৃতি করার একটি প্যাকেজে বাস্তবায়নের কাজ চলছে। প্রকল্পটি প্রথমবার সংশোধন করা হয় ২০২৩ সালের মে মাসে।
সংশোধিত উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবটির আরডিপিপি অনুমোদন দেয় পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়। প্রকল্প বাস্তবায়নে মেয়াদ বাড়ানো হয় ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত। কিন্তু এখন পর্যন্ত ৬০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।
প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে- ভাঙনকবলিত চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নে ১৭টি প্যাকেজ ও শাজাহানপুর ইউনিয়নে ১২টি প্যাকেজের আওতায় ৬ দশমিক ১০ কিলোমিটার নদীতীর সংরক্ষণের কাজ চলছে। এর মধ্যে চরবাগডাঙ্গা এলাকার ১৭ প্যাকেজের মধ্যে সাতটি ও শাজাহানপুর এলাকার ১২ প্যাকেজের মধ্যে তিনটি শেষ হয়েছে। অন্য প্যাকেজগুলোর কাজের অগ্রগতি প্রায় ৫০ ভাগ। এ বিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান জানান, পদ্মার ভাঙন থেকে চরবাগডাঙ্গা ও শাজাহানপুর এলাকা রক্ষা প্রকল্পের এখন পর্যন্ত কাজ হয়েছে ৬০ শতাংশ। বর্ধিত মেয়াদের সময় শেষ হবে চলতি বছরের জুনে। এর মধ্যে প্রায় ৭৫ শতাংশ কাজ শেষ হবে। আগামী বছরের জুন পর্যন্ত দ্বিতীয় দফা সময় বাড়ানোর জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। ২০২৫ সালের জুনের মধ্যে এ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে বলে আশা করা যায়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়