মোহাম্মদপুরে ২৫ দিন ধরে শিকলে বেঁধে তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ

আগের সংবাদ

পাল্টে যাচ্ছে এসএসসি পরীক্ষা : শিখনকালীন ৪০ শতাংশ, ৩০ নম্বর হাতেকলমে এবং ৩০ নম্বর সামষ্টিক মূল্যায়ন

পরের সংবাদ

আটা, ময়দা ও সুজি দিয়ে তৈরি হয় অ্যান্টিবায়োটিক : নকল ওষুধ তৈরি চক্রের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার

প্রকাশিত: এপ্রিল ২, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ২, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বাজারে দুষ্প্রাপ্য এমন অ্যান্টিবায়োটিক টার্গেট করত তারা। এরপর সেগুলোর মোড়ক থেকে শুরু করে যাবতীয় সব নকল করে ভেতরে আদা-ময়দা-সুজি ঢুকিয়ে বাজারে ছাড়ত। এসব নকল অ্যান্টিবায়োটিক তৈরি করা হতো রাজধানীর অদূরে সাভারের একটি কারখানায়। আর পরে তা ট্রাক বা পিকআপে ভরে নিয়ে যাওয়া হতো বরিশালে। সেখানে গুদামজাত করে পরে ধীরে ধীরে বিভিন্ন জেলায় পাঠিয়ে দেয়া হতো।
একটি চক্র এভাবে নকল অ্যান্টিবায়োটিক তৈরি করে বাজারজাত করে আসছিল। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের মতিঝিল বিভাগ অভিযান চালিয়ে ওই চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিরা হলো- শাহীন, শহীদুল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম, হৃদয় ও হুমায়ুন। তাদের কাছ থেকে ৪ লাখ ৯৬ হাজার পিস নকল অ্যান্টিবায়োটিক উদ্ধার করা হয়। এসবের বাজারমূল্য প্রায় ২ কোটি টাকা।
ডিবি বলছে, চক্রটি বাজারে থাকা ও বাজার থেকে বিলুপ্ত এমন ওষুধের মধ্যে রিলামক্স-৫০০ ট্যাবলেট, মক্সিকফ-২৫০, সিপ্রোটিম-৫০০ এমজি, এমোক্সস্লিন, জিম্যাক্স, মোনাস-১০ নকল করে ছাড়ত। তারা কাফকা ফার্মাসিউটিক্যালস, ডক্টর টিমস ফার্মাসিউটিক্যালস, জেনিথ ফার্মাসিউটিক্যালস, কুমুদিনি ফার্মাসিউটিক্যালস, ইউনিয়ন ফার্মাসিউটিক্যালসের ওষুধ নকল করত।
গতকাল সোমবার দুপুরে ডিবি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির ডিবি প্রধান ও অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এ সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন। তিনি জানান, গ্রেপ্তার শহীদুল দীর্ঘদিন ধরে বরিশাল কোতোয়ালির নথুল্লাবাদ এলাকায় নকল বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক মজুত করত। সেগুলো শাহীনের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করে আসছিল। গ্রেপ্তার হুমায়ুন রাজীব অপসোনিন কোম্পানির বিক্রয়কর্মী হিসেবে চাকরি করত। পাশাপাশি বিভিন্ন ফার্মেসিতে নকল অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি করত। এছাড়া সিরাজুল ইসলাম ও হৃদয় নকল ওষুধ বিক্রির যাবতীয় কাজে শহীদুলকে সহায়তা করত।
হারুন অর রশীদ বলেন, মূলত কুমিল্লার আবু বক্কর এসব নকল ওষুধ তৈরি করে শহীদুলকে দিত। সেগুলো বরিশালে গুদামজাত করে পরে অন্যদের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠিয়ে দেয়া হতো। যেসব ওষুধ কোম্পানি বাংলাদেশে নেই এবং যে ওষধুগুলো বাজারে নেই, সেগুলোই তারা তৈরি করে বাজারজাত করত। এছাড়া তারা বিভিন্ন ব্র্র্যান্ডের ওষুধ নকল করে সেগুলোর ভেতরে আটা, ময়দা ও সুজি ভরে রাখত। তাদের কাছ থেকে ২ কোটি টাকার নকল ওষুধ উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগেও তারা কোটি কোটি টাকার নকল ওষুধ তৈরি করে বিক্রি করেছে।
ডিবি প্রধান আরো বলেন, তারা গত ৮ থেকে ১০ বছর ধরে এই ভেজাল ওষুধ তৈরি করে আসছিল। যারা এসব ওষুধ উৎপাদন করে আমরা তাদেরও খুঁজছি। তাদের নামে এখন পর্যন্ত ১৫টি মামলা রয়েছে। আমরা তাদের ৩ জনকে আগেও গ্রেপ্তার করেছি। তারা জামিনে বেরিয়ে আবারো এই ব্যবসা শুরু করে। এখন পর্যন্ত ৮০টি ইউনানি ওষুধ কোম্পানির ভেজাল ওষুধ তৈরির বিষয়ে তথ্য ডিবি পুলিশ ঔষধ প্রশাসনকে দিয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়