মসিউর ফিরোজ, সাতক্ষীরা থেকে : সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসে কর্মচারী নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আগামীকাল ২৯ মার্চ নিয়োগ পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে নিয়োগ কমিটি ইতোমধ্যে বিডিং প্রাইজ (পদ ভেদে) ১৫ থেকে ২৫ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। এতে দেখা যায়, ৮টি শূন্য পদের বিপরীতে নিয়োগ দেয়া হবে ১২৮ জনকে।
সূত্র জানায়, বিভিন্ন পদে ১২৮ জন নিয়োগে প্রায় ৯০ ভাগ প্রার্থী ১৫ থেকে ২৫ লাখ টাকায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। ইতোমধ্যে চুক্তি হওয়া প্রার্থীর অর্ধেক পরিমাণ টাকা সিভিল সার্জনের সম্মতিতে জমা নিয়েছেন বড় বাবু আশেক নেওয়াজ, কম্পিউটার অপারেটর ও হিসাব রক্ষক মছিবুর রহমান।
সূত্র আরো জানায়, লিখিত পরিক্ষায় চুক্তি হওয়া সব প্রার্থীর একই কেন্দ্রে সিট দেয়া হবে, পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক তাদের উত্তরপত্র সরবরাহ করা হবে। ২৫ লক্ষ টাকায় চুক্তি ২ জন, বাকিরা ১৫-২০ লক্ষ বিডিং প্রাইজ নির্ধারণ করা হয়েছে। চুক্তি হওয়া প্রার্থীরা হলেন- সৈয়দ তৌফিক আহমেদ, মাহমুদুল হাসান, শাশ্বত পাল প্রাপ্ত, তানজিম হাসান, মোস্তাফিজুর রহমান, এস এম মোত্তজা আলী, মমিনুল্লাহ, রবিউল ইসলাম, ইউসুপ হোসেন, সুমাইয়া সুলতানা, আশিক বিল্লাহ, ইস্রাফিল হোসেনসহ প্রায় ৯৫ জন। এছাড়াও জানা গেছে, তাদের পরীক্ষার কেন্দ্র আলাদা করে দেয়া হবে।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ড. সুফিয়ান রুস্তম বলেন, আমার কাজ আমি করব। আপনারা যা পারেন করেন। আমার তাতে কিছু এসে যায় না।
পরিচালক ড. মনজুরুল মুরশিদ (স্বাস্থ্য বিভাগ খুলনা) জানান, নিয়োগে কোনো প্রকার দুর্নীতি করার সুযোগ নেই। যদি এ রকম কোনো সত্য তথ্য পায় তাহলে তাকে সরাসরি পুলিশে ধরিয়ে দেয়া হবে। আগামীকাল আমি সাতক্ষীরায় থাকব। কোনোভাবে কোনো কারচুপি সহ্য করা হবে না।
এ ব্যাপারে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের যুগ্ম সচিব (প্রশাসন অধিশাখা) আনজুমান আরা বলেন, এ রকম কোনো ঘটনা ঘটার সম্ভবনা নেই। যদি ঘটে বা এ রকম ঘৃণিত কাজে কোনো সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত থাকে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সাতক্ষীরা সদর-২ আসনের এমপি আশরাফুজ্জান আশু বলেন, শুনেছি এ রকম লেনদেন হয়েছে। এ রকম একটা ঘৃণিত পরিকল্পনা করা হয়েছে। কিন্তু আমি পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছি, এই নিয়োগে কোনো প্রকার দুর্নীতি-কারচুপি হলে সিভিল সার্জনকে জবাব দিতে হবে। স্বাস্থ্য বিভাগের কোনো প্রকার দুর্নীতি সহ্য করা হবে না।