আমাদের অদম্য অগ্রযাত্রা কেউ থামাতে পারবে না : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান

আগের সংবাদ

বাজার তদারকি দৃশ্যমান নয়

পরের সংবাদ

র‌্যাবের অভিযানে গ্রেপ্তার : যাবজ্জীবন দণ্ড নিয়ে ২২ বছর পালিয়ে ছিলেন তসলিম

প্রকাশিত: মার্চ ২৮, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২৮, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : দিনাজপুরের খানসামা এলাকায় ধর্ষণ এবং গর্ভপাত ঘটানোর মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত তসলিম উদ্দিন (৫২) নামে এক পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। তিনি গত ২২ বছর যাবৎ তরমুজ ব্যবসাসহ নানা পেশার আড়ালে আত্মগোপনে ছিলেন। গত মঙ্গলবার গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে নারায়ণগঞ্জের ভুলতা গাউসিয়া মার্কেট সংলগ্ন ফলপট্টি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-৩ এর একটি দল। গ্রেপ্তার তসলিম উদ্দিন দিনাজপুর জেলার খানসামা থানার দুবলিয়া এলাকার মৃত আমিজ উদ্দিনের ছেলে।
গতকাল বুধবার দুপুরে রাজধানীর টিকাটুলির র?্যাব-৩ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কমান্ডিং কর্মকর্তা (সিও) লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, তসলিম উদ্দিন ২০০০ সালে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ নামক একটি এনজিওতে চাকরি করতেন।
খানসামা থানার খামারপাড়া ইউনিয়নের ৭টি বিদ্যালয়ের প্রায় ১৪ জন শিক্ষকের সুপারভাইজিং অফিসার ছিলেন তিনি। ভুক্তভোগী তাদেরই একজন। একই কর্মসূচির আওতায় চাকরির সুবাদে দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তবে ভুক্তভোগী জানতেন না, তসলিম বিবাহিত ও দুই সন্তানের জনক। লম্পট প্রকৃতির এ ব্যক্তি নানাভাবে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ভুক্তভোগীকে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে প্রলুব্ধ করেন।
কিন্তু ভুক্তভোগীর অসম্মতি থাকায় ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলার নাম করে সুবিধাজনক স্থানে নিয়ে একাধিকবার তাকে ধর্ষণ করা হয়। এতে তিনি গর্ভবতী হয়ে পড়েন। পরে বিষয়টি তসলিমকে জানালে তিনি গর্ভের ভ্রƒণ নষ্ট করার জন্য প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করতে থাকেন। একপর্যায়ে প্রতারণা করে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নিয়ে গর্ভপাত করান। এ সময় ভুক্তভোগী ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। মানসম্মান ও গর্ভের সন্তান হারিয়ে অসহায় এবং আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে তিনি বিয়ের জন্য চাপ সৃষ্টি করেন। এই অবস্থায় তসলিম ওই চাকরি ছেড়ে দিয়ে ঢাকায় একটি ওষুধ কোম্পানির ডেলিভারি ম্যান হিসেবে যোগ দিয়ে তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। কোনো উপায় না পেয়ে ধর্ষণসহ ভ্রƒণ নষ্ট করার অপরাধে পেনাল কোডের ৩১৩ ধারায় খানসামা থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী নারী। বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে ২০১৩ সালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল, দিনাজপুর তসলিমকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেন।
র‌্যাব-৩ এর সিও আরো বলেন, মামলার পর থেকেই তসলিম স্ত্রী-সন্তান নিয়ে নিজ এলাকা ছেড়ে ঢাকায় চলে আসেন। এমনকি গ্রেপ্তার এড়াতে ঘন ঘন স্থান পরিবর্তন করতেন তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়