মার্চের স্মৃতি

আগের সংবাদ

দুর্ঘটনারোধে নেই কার্যকর ব্যবস্থা : এসি রুমে বসে দুর্ঘটনা দেখেন কর্মকর্তারা > আলোর মুখ দেখে না তদন্ত প্রতিবেদন

পরের সংবাদ

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে নানা আয়োজন

প্রকাশিত: মার্চ ২৭, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২৭, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : সারাদেশে গতকাল মঙ্গলবার যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। বাঙালি জাতির স্মরণীয় এই দিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে শুরু হয় দিনের কর্মসূচি। এছাড়া শহীদ স্মৃতিফলকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে প্রশাসনসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তর ও সংস্থা, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। কাগজ প্রতিবেদক প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-
গাজীপুর : গাজীপুরে ভাওয়াল রাজবাড়ী মাঠে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিবসটি সূচনা করা হয়। পরে শহরের রাজবাড়ী মাঠসংলগ্ন শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে জেলা প্রশাসন, মহানগর পুলিশ, জেলা পুলিশ, জেলা পরিষদ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড, শিল্প পুলিশসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এরপর জেলা প্রশাসক কার্যালয় প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এ উপলক্ষে সকালে জেলা পরিষদ কার্যালয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া শহীদ বরকত স্টেডিয়ামে কুচকাওয়াজ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীদের সমাবেশ, জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এ সময় জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণকারীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
এছাড়া গাজীপুরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের সমাধিতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়।
সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরায় প্রত্যুষে শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে ৩১ বার তোপধ্বনি দেয়া হয়। সকাল ৭টায় শহরের খুলনা রোড মোড়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। সকাল ৮টায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মতিউর রহমান সিদ্দিকী সাতক্ষীরা স্টেডিয়ামে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং বেলুন ওড়ান। পরে পুলিশ, বিএনসিসি ও বিভিন্ন স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীদের সমম্বয়ে দৃষ্টিনন্দন মার্চপাস্ট ও ডিসপ্লে অনুষ্ঠিত হয়। এরপর সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। বেলা ১১টায় শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে শহীদ মুক্তিযোদ্ধার কবর জিয়ারত করা হয়। এরপর জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সম্মানন, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, পুরষ্কার বিতরণ ও প্রামাণ্য চলচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
মেহেরপুর : সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে শহরের কলেজ মোড়ে শহীদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। প্রথমে জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা প্রশাসক শামীম হাসান। পরে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন পুলিশ সুপার এ এস এম নাজমুল হক। এরপর একে একে জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড, সরকারি বেসরকারি দপ্তর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা শহীদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। সকাল ৯টায় জেলা স্টেডিয়ামে কুচকাওয়াজ, শরীর চর্চা প্রদর্শনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়। বেলা ১১টায় শিল্পকলা একাডেমিতে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, মুক্তিযুদ্ধের প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
নাটোর : সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে মাদ্রাসা মোড় স্বাধীনতা চত্বরে ৩১ বার তোপধ্বনি, শহীদ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, জাতীয় পতাকা উত্তোলন, এক মিনিট নীরবতা পালন ও দোয়া মোনাজাত করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক আবু নাছের ভুঞা, পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মাছুদুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান প্রমুখ। সকাল ৮টায় শংকর গোবিন্দ চৌধুরী স্টেডিয়ামে কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে অনুষ্ঠিত হয়। বেলা সাড়ে ১১টায় অনিমা চৌধুরী অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা দেয়া হয়।
মুন্সীগঞ্জ : ভোরে জেলা শিল্পকলা একাডেমি চত্বর এলাকায় তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের যাত্রা শুরু হয়। এরপর জেলা শিল্পকলা একাডেমির দক্ষিণে মুন্সীগঞ্জ শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শুরু হয়। জেলা প্রশাসক মো. আবু জাফর রিপনের নেতৃত্ব জেলা প্রশাসনের পক্ষে প্রথম শ্রদ্ধাঞ্জলি দেয়া হয়। এর পরপরই পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসলাম খানের নেতৃত্বে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এরপর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার আনিস উজ জামান আনিস, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আসলাম মোল্লা, সিভিল সার্জন ডা. মো. মঞ্জুরুল আলম, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফিফা খান প্রমুখ।
ঠাকুরগাঁও : ভোরে অপরাজেয় ৭১ প্রাঙ্গণে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে অনুষ্ঠানমালা শুরু হয়। এ সময় শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন। জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের সভাকক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধা, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা প্রদান এবং আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় জেলা প্রশাসক মো. মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন। এর আগে পৌর শহরের আর্ট গ্যালারিতে অপরাজেয়-৭১ প্রাঙ্গণে জেলা প্রশাসক মো. মাহবুবুর রহমান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে সেখান থেকে শহীদ মোহাম্মদ আলীর স্মৃতিস্তম্ভ পর্যন্ত শোভাযাত্রা বের করা হয়।
মাগুরা : সকাল ৭টায় মাগুরা নোমানী ময়দানে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক মোহম্মাদ আবু নাসের বেগ, পুলিশ সুপার মশিউদ্দৌলা রেজা, জেলা আওয়ামী লীগগের সভাপতি আব্দুল ফাত্তাহ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পঙ্কজ কুমার কুন্ডু, সিভিল সার্জন ডাক্তার শামীম কবির, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ ড. মো. ইয়াছিন আলী, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মিজানুর রহমান, সাকিব আল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মাশরুর রেজা কুটিল প্রমুখ। সকাল ৮টায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আছাদুজ্জামান স্টেডিয়ামে কুচকাওয়াজে সালাম গ্রহণ করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবু নাসের বেগ ও পুলিশ সুপার মশিউদ্দৌলা রেজা। জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আলোচনা সভাসহ নানা কর্মসূচি পালন করা হয়।
সুনামগঞ্জ : সুনামগঞ্জে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিফলকে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর সকাল ৮টায় একে একে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন- জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ এহ্সান শাহ্, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল হুদা মুকুট, সাধারণ সম্পাদক নোমান বখত পলিন, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান খায়রুল হুদা চপল, যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক খন্দকার মঞ্জুর আহমদ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, বিএনপি, জাতীয়পার্টিসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
এদিকে সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ৭৪০ জন মুক্তিযোদ্ধা ও যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধার মধ্যে শাড়ি, লুঙ্গি ও হুইল চেয়ার বিতরণ করেন সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদের প্রশাসক ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল হুদা মুকুট।
খুলনা : সকালে খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাস-১ এ জাতীয় স্মৃতিসৌধের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবুল কাসেম চৌধুরী, ট্রেজারার অধ্যাপক সারোয়ার আকরাম আজিজ, রেজিস্ট্রার ডা. খন্দকার মাজহারল আনোয়ার, গণতান্ত্রিক অফিসার্স পরিষদের সভাপতি ডা. সাইফুল্লাহ মানছুর, সাধারণ সম্পাদক খান জাবিদ হাসান, খুকৃবি ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম তানসেন ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য, গণতান্ত্রিক কর্মচারী পরিষদের সভাপতি শাওন ও সাধারণ সম্পাদক রেফাজুল শেখ। এছাড়াও এক মিনিট নীরবতা পালন, দোয়া ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
পাবনা : দিবসের প্রথম প্রহরে সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ দুর্জয় পাবনায় পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। সকাল সাতটায় দুর্জয় পাবনায় জেলা প্রশাসন, জেলা পরিষদ, পুলিশ প্রশাসন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, পাবনা জেলা আওয়ামী লীগ, পাবনা পৌরসভা, সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ, পাবনা মেডিকেল কলেজ, সরকারি শহীদ বুলবুল কলেজ, হাজী জসীম উদ্দিন কলেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং শ্রেণিপেশার মানুষ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে।
দিবসটি উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, পুরস্কার বিতরণ এবং আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে জেলা প্রশাসক মু. আসাদুজ্জামানের সভাপতিত্বে এসব কর্মসূচিতে অংশ নেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আ স ম আব্দুল রহিম পাকন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউল রহিম লাল প্রমুখ।
কুবি : কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) দিবসটি শহীদ মিনার ও বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে ফুল দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যরা। সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. এফ. এম. আব্দুল মঈনের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে স্বাধীনতা দিবসের শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়। এরপর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে উপাচার্যের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এর পর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, ছাত্রলীগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, কর্মকর্তা পরিষদ, বিভিন্ন বিভাগ, সাংবাদিক সমিতি, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
মেঘনা (কুমিল্লা) : সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের সূচনা করা হয়। পরে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে উপজেলা পরিষদ, উপজেলা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠনসহ সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। সকাল ৮টায় পুলিশ ও আনসার আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে। দুপুর ১টায় শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল্লাহ মিয়া রতন শিকদার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেনু দাস, ভাইস চেয়ারম্যান মিলন সরকার, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান দিলারা শিরিন, ওসি মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন।
বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) : বঙ্গন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, শোভাযাত্রা, কুচকাওয়াজ, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, মনোজ্ঞ ডিসপ্লে ও পুরস্কার বিতরণের মধ্য দিয়ে দিবসটি উদযাপিত হয়েছে। সকাল নয়টার দিকে বীরগঞ্জ পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং বর্ণিল বেলুন ও শান্তির শ্বেত কপোত উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আমিনুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ফজলে এলাহী ও বীরগঞ্জ থানার ওসি মো. মুজিবুর রহমান। এরপর বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফজলে এলাহীর সভাপতিত্বে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য মো. জাকারিয়া জাকা। বক্তব্য রাখেন সাবেক কমান্ডার ও বীর মুক্তিযোদ্ধা কালিপদ রায়, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরিয়াস সাঈদ সরকার প্রমুখ।
উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) : দিবসটি উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু পরিষদ উল্লাপাড়া উপজেলা শাখার পক্ষ থেকে স্থানীয় শহীদ মিনারে ফুলেল শ্রদ্ধা জানানো হয়। সকালে স্থানীয় শহীদ মিনারে
শ্রদ্ধা নিবেদন করেন উপজেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম খোকন, সাধারণ সম্পাদক মো. মমতাজ হাসান রিটু, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক রেজিস্ট্রার এবং এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালীন বঙ্গবন্ধু পরিষদের আহ্বায়ক মো. সোহরাব আলী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ফয়সাল কাদের রুমি, সহসভাপতি মাহবুব সরোয়ার বকুল, উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী নবী নেওয়াজ খান বিনু, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আজিজুল ইসলাম শাহ আলম প্রমুখ।
ঝিকরগাছা (যশোর) : সকালে উপজেলা পরিষদ মোড়ে বিজয়স্তম্ভে শ্রদ্ধা জানায় উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ। সংগঠনের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে অংশ নেন সদস্য ওমর শরীফ সাকী, পৌর শাখার আহ্বায়ক ফারুক হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক সাজ্জাতুল জামান রনি, আশিকুল ইসলাম, সদস্য শাকিল হোসেন, সবুজ হোসেন, সদরের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন, মাগুরার সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান লিটু, সাধারণ সম্পাদক হাশেম আলী, নাভারণের সভাপতি ফারুক শিকদার রবি, সহ-সভাপতি সবুজ হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসেন রিজু প্রমুখ।
মধ্যনগর (সুনামগঞ্জ) : উপজেলায় সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির শুরু হয়। সকাল সাড়ে ৮টায় মধ্যনগর বাজার শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন সংসদ সদস্য রনজিত চন্দ্র সরকার। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন তালুুকদার, সাধারণ সম্পাদক পরিতোষ সরকার, ইউপি চেয়ারম্যান রাসেল আহমদ, সঞ্জীব রঞ্জন তালুকদার টিটু প্রমুখ। এছাড়াও পুষ্পস্তবক অর্পণ করে উপজেলা প্রশাসন, মধ্যনগর থানা পুলিশ, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড, উপজেলা যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ, উপজেলা প্রেস ক্লাব, মধ্যনগর বাজার বণিক সমিতিসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
সিংগাইর (মানিকগঞ্জ) : সকাল ৭টায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে সংসদ সদস্য দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলু, উপজেলা পরিষদ, উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা আওয়ামী লীগ, থানা পুলিশ, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, সিংগাইর প্রেস ক্লাব, ফায়ার সার্ভিস, ক্রীড়া সংস্থা, পৌরসভা, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন ও সরকারি- বেসরকারি সংস্থার পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চিত্রাংকন ও রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরুস্কার বিতরণ করা হয়। দুপুরে সিংগাইর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা প্রশাসন আলোচনা সভার আয়োজন করে।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য ও কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলু।
গাবতলী (বগুড়া) : প্রত্যুষে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা হয়। সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা পরিষদ, পুলিশ প্রশাসন, বীর মুক্তিযোদ্ধারা, আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, পৌরসভাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। সকাল ৮টায় পাইলট হাইস্কুল মাঠে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে কুচকাওয়াজ, ছাত্র-ছাত্রীদের সমাবেশ, জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও ডিসপ্লে প্রদর্শন করা হয়।
এদিকে উপজেলা প্রশাসনের নানা কর্মসূচির পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. মোস্তফা আলম নাননু। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান রফি নেওয়াজ খান রবিন। সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুসরাত জাহান বন্যা।
শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) : মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার সীমান্তবর্তী তেলিবিল এলাকায় প্রায় তিন শতাধিক হতদরিদ্র ও দুস্থ পরিবারের মধ্যে ইফতার ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের সেক্টর সদর দপ্তর শ্রীমঙ্গল ও শ্রীমঙ্গল ব্যাটালিয়ন (৪৬ বিজিবি) উদ্যোগে এগুলো দেয়া হয়। উপজেলার সীমান্তবর্তী শরীফপুর ইউনিয়নের তেলিবিল এলাকার অসহায় ও হতদরিদ্র পরিবারের মধ্যে সেক্টর সদর দপ্তর শ্রীমঙ্গলের পক্ষ থেকে ১০০ প্যাকেট ও শ্রীমঙ্গল ব্যাটালিয়নের (৪৬ বিজিবি) পক্ষ থেকে ২০০ প্যাকেট খাবার ও ইফতারসামগ্রী বিতরণ করা হয়।
বিতরণকালে প্রধান অতিথি ছিলেন বিজিবি শ্রীমঙ্গল সেক্টর সদর দপ্তরের কমান্ডার কর্নেল এ এইচ এম ইয়াসীন চৌধুরী। এ সময় বিশেষ অতিথি ছিলেন ৪৬ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ মিজানুর রহমান সিকদার, মেজর মো. তৌফিক হাসান সিদ্দিকী ও সহকারী পরিচালক মো. মাহফুজুর রহমান প্রমুখ।
শান্তিগঞ্জ (সুনামগঞ্জ) : সকালে শান্তিগঞ্জ উপজেলা স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এরপর বীর মুক্তিযোদ্ধােেদর সংবর্ধনা ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এম এ মান্নান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক আহমদ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুকান্ত সাহা, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান দুলন রানী তালুকদার, শান্তিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিতাংশু শেখর ধর সিতু, সিনিয়র সহসভাপতি সাদাত মান্নান অভি, সাধারণ সম্পাদক হাসনাত হোসেন, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মোক্তাদির হোসেন প্রমুখ। এর আগে সকাল ৯টায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে উপজেলা স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন এম এ মান্নান। পরে একে একে সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, উপজেলা পরিষদ, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, উপজেলা প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিসসহ বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতারা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) : শাহজাদপুরে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ এবং আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সকাল ১০টায় একাডেমিক ভবন-৩ এ জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকালে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন-৩ শহীদ স্মৃতি বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। এ সময় মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। আলোচনা সভা শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার ড. ফিরোজ আহমেদ, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মো. ফখরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
মুকসুদপুর (গোপালগঞ্জ) : থানা চত্বরে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ৩১ বার তোপধ্বনি মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা পরিষদ, থানা পুলিশ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ উপজেলা কমান্ড, আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা উপজেলা পরিষদ শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন। সকাল ৮টায় উপজেলা পরিষদ মাঠে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রী, পুলিশ, আনসার-ভিডিপি, বিএনসিসি ও স্কাউটসদের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। অভিনন্দন মঞ্চে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম ইমাম রাজী টুলু। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তাপসি বিশ্বাস দুর্গা। সকাল ১০টায় শিশুদের জন্য মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চিত্রাঙ্গন প্রতিযোগিতা এবং বেলা ১১টায় শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার/যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা এবং আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বাকেরগঞ্জ (বরিশাল) : দিবসটি জেএসইউ মডেল হাই স্কুল মাঠে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তানদের সংবর্ধনা দেয়া হয়। উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুল হাফিজ মল্লিক। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সাইফুর রহমানের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বাকেরগঞ্জ থানার ওসি আফজাল হোসেন, কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা খান আলতাফ হোসেন ভুলু, কেন্দ্রীয় যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস মতিউর রহমান বাদশা, উপজেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক রাজিব তালুকদার, আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ উপকমিটির সদস্য ড. মোয়াজ্জেম হোসেন মাতুব্বর আমিনুল, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ফারুক মল্লিক। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল কাদের হাওলাদার।
টুঙ্গিপাড়া (গোপালগঞ্জ) : মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে টুঙ্গিপাড়ায় ৪৩০ মুক্তিযোদ্ধাকে সংবর্ধনা দিয়েছে উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসন। উপজেলা পরিষদসংলগ্ন হেলিপ্যাডে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মঈনুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. বাবুল শেখ, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ সাইফুল ইসলাম, টুঙ্গিপাড়া থানার ওসি খোন্দকার অমিনুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ জাহাঙ্গীর হোসেন ও গোপালগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্য বি এম তৌফিকুল ইসলাম। এ সময় ৪৩০ মুক্তিযোদ্ধার হাতে তুলে দেয়া হয় ফুল, ক্রেস্ট, উপহার ও ইফতার সামগ্রী।
আমতলী (বরগুনা) : উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালন করা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে ছিল ৩১ বার তোপধ্বনি, জাতীয় পতাকা উত্তোলন, স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ, কুচকাওয়াজ, চিত্রাঙ্কন, রচনা প্রতিযোগিতা, দোয়া মোনাজাত ও আলোচনা সভা। প্রভাতে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিবসটির কর্মসূচি সূচনা করা হয়। সুর্যোদ্বয়ের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ৯টায় উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণের শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে উপজেলা প্রশাসন, আওয়ামী লীগ, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড, পুলিশ, আনসার, পৌরসভা, আইনজীবী, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, সেচ্ছাসেবক লীগ, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, আমতলী রিপোর্টার্স ইউনিটি, উপজেলা প্রেস ক্লাবসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। পরে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণ মাঠে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. এম.এ কাদের মিয়া।
কুমারখালী (কুষ্টিয়া) : গতকাল বিকালে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আবুল হোসেন তরুন অডিটোরিয়ামে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা বই বিতরণ, সংবর্ধনা প্রদান ও আলোচনা সভায় অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিদ্যুৎ, জ¦ালানি ও খনিজসম্পদ সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ এমপি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহবুবুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক বীর মুক্তিযোদ্ধা জাহিদ হোসেন জাফর, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান খান প্রমুখ। এর আগে সূর্যদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ৩১ বার তোপধ্বনি, জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ও গণকবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও বিশেষ মোনাজাত, বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, কুচকাওয়াজ, ডিসপ্লে প্রদর্শনসহ বর্ণাঢ্য আয়োজন করে উপজলা প্রশাসন।
গফরগাঁও (ময়মনসিংহ) : গফরগাঁওয়ে দিবসটি উপলক্ষে ফ্রি চক্ষু চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। নাঈম চক্ষু হাসপাতালের উদ্যোগে পৌর শহরের সরকার ম্যানশনে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকাল সাড়ে ৫টায় পর্যন্ত এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন নাঈম চক্ষু হাসপাতালের এমডি নারগীস পারভীন। এ সময় নির্বাহী পরিচালক কবির আহমেদ ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. হাফিজুল হক হাফিজ উপস্থিত ছিলেন। দিনব্যাপী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় থেকে আসা শতাধিক রোগীর চক্ষু পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং ব্যবস্থাপত্র দেয়া হয় চক্ষু ক্যাম্পে। একই সঙ্গে স্বল্পমূল্যে গরিব, প্রতিবন্ধী, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা, মহিলা ও শিশু রোগীদের চোখের ছানি অপারেশনসহ চোখের লেন্স সংযোজননের জন্য রোগী বাছাই করা হয়। দুইজনের বিশেষজ্ঞ চক্ষু চিকিৎসক টিম এ সেবা প্রদান করেন।
রায়পুরা (নরসিংদী) : নরসিংদীতে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী কমান্ড নামে সংগঠনের পক্ষ থেকে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। বিকালে উপজেলার পৌর শ্রীরামপুর পূর্বপাড়া এলাকায় এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের উপজেলা কমিটির সভাপতি মো বাদল মিয়া। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. সিরাজুল হকের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন- পৌর সভাপতি উমর ফারুক, আমিরগঞ্জ ইউনিয়নের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জব্বার ভূঁইয়া ও বিল্লাল মিয়া, মহেশপুর ইউনিয়নের সভাপতি করম আলী প্রমুখ। এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) : সূয উঠার সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এরপর কসবা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। কুচকাওয়াজে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৩১টি দল অংশ নেয়। কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল কাওসার ভুইয়া জীবন।
এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাহরিয়ার মুক্তার ও কসবা থানার ওসি মো. রাজু আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া মাঠে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রকৌশলী মো. সাইফুল ইসলাম, উপজেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি খ ম হারুনুর রশীদ ঢালী, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার শহীদ উল্লাহ, পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নিজাম উদ্দিন, উপজেলা কৃষি অফিসার হাজেরা বেগম, উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মো. জামাল উদ্দিন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসাইন, উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা রওন ফারজানা রবা, কুটি ফায়ার সার্ভিসের অধিনায়ক শাকিল আহমেদ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়