মার্চের স্মৃতি

আগের সংবাদ

দুর্ঘটনারোধে নেই কার্যকর ব্যবস্থা : এসি রুমে বসে দুর্ঘটনা দেখেন কর্মকর্তারা > আলোর মুখ দেখে না তদন্ত প্রতিবেদন

পরের সংবাদ

আক্কেলপুরে রফিক হোটেলে বিনা পয়সায় ইফতার-সেহরি

প্রকাশিত: মার্চ ২৭, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২৭, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

আক্কেলপুর (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি : আক্কেলপুর কলেজ বাজারে কাঁচা মালামাল পাইকারিপট্টির রফিক হোটেলে রমজান মাসে বিনা পয়সায় ইফতার ও সেহরি খাওয়ানো হয়। রফিক হোটেলের মালিক রফিকুল ইসলাম রফিক আট বছর ধরে রমজান মাসে এ সেবা দিয়ে আসছেন। এবার রমজানেও রফিকের হোটেলে প্রতিদিন গড়ে শতাধিক ব্যক্তি ইফতার ও সেহরি খাচ্ছেন। অনেকেই ইফতারি ও সেহরি খেয়ে টাকা দেয়ার চেষ্টা করেন। তবে তিনি নেন না। ইফতারিতে গরুর গোস্তের বিরিয়ানির থাকে। সেহরিতেও সাদা ভাত, গরুর গোস্ত, মাছ, ডিম, ছোট মাছের ভাজি, ভর্তার আইটেম থাকে। তবে প্রতিদিন সেহরিতে গরুর গোস্ত থাকে না। সপ্তাহে তিন দিন সেহরিতে গরুর গোস্ত খাওয়ানো হয়। চার দিন ডিম-মাছ-ভাজি ও ভর্তা খায়ানো হয়। রমজান মাসে রফিক হোটেলের মালিক রফিকুল ইসলামের এমন মহতি উদ্যোগে সবাই খুশি। বিনে পয়সায় ইফতার ও সেহরি খাওয়ানোর প্রসঙ্গে রফিকুল ইসলামের বক্তব্য তিনি বছরের ১১ মাস ব্যবসা করেন। সেখান থেকে রমজান মাসের জন্য টাকা জমিয়ে রাখেন। জমানো টাকায় রমজানে ইফতার ও সেহরির খাওয়ান। রফিক হোটেলের মালিক রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রায় ১৭ বছর ধরে হোটেলের ব্যবসা করছি। আল্লাহতালা আমাকে অনেক ভালো রেখেছেন। স্থানীয় বাসিন্দা ও কলেজ বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, ১৭ বছর আগে রফিকুল ইসলাম কলেজ বাজারের কাঁচা মালামাল পাইকারিপট্টিতে একটি ঘর ভাড়া নিয়ে ছোট্ট পরিসরে খাবার হোটেলের ব্যবসা শুরু করেন। তখন তার খাবার হোটেলে গরুর গোস্ত আর আটার রুটি বেশি চলত। গরুর ভুনা গোস্তের আলাদা স্বাদ হওয়ায় রফিকের হোটেলের সুনাম এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। রফিকের হোটেলে দূরদূরান্ত থেকে লোকজন গরুর ভুনা গোস্ত ও রুটি-ভাত খেতে আসেন। রফিক তার হোটেলের জায়গাও বাড়ান। ২০১৬ সাল থেকে রফিক হোটেলে রমজান মাসে বিনে পয়সায় ইফতারি ও সেহরি খাওয়ানো শুরু করেন। সে সময় এখন পর্যন্ত পুরো রমজান মাস বিনে পয়সায় ইফতার ও সেহরি খাওয়াচ্ছেন। গত শুক্রবার ইফতারির সময় গিয়ে দেখা গেছে, রফিকের হোটেলের ভেতরে ও বাহিরে চেয়ার-টেবিলে। ইফতারির প্লেট সাজিয়ে রাখা হয়েছে। রোজাদারেরা ইফতারির প্লেটের সামনে এসে বসছেন। কিছুক্ষণের মধ্যে হোটেলের ভেতরে ও বাহিরের সবগুলো চেয়ার রোজাদারে ভরে যায়। অনেকেই জায়গা না পেয়ে দাঁড়িয়ে থেকেও ইফতার করছিলেন। ইফতার করতে আসা শহিদুল ইসলাম বলেন, আমার বাড়ি পাশের বদলগাছির খাদাইল গ্রামে। বাড়ির বাজার কলেজ বাজারে এসেছিলাম। ইফতারের সময় হওয়ায় রফিকের হোটেলে ইফতারি করেছি। আমরা একসঙ্গে প্রায় ৭০-৮০ জন গরুর গোস্তের পোলাও দিয়ে ইফতার করেছি। ইফতারি সুস্বাদু ছিল।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়