কেড়ে নিলে সর্বস্ব যখন অবশিষ্ট কিছু নেই
কবিতার অনুষঙ্গ হারিয়ে সহসা শুধু দেখি অন্ধকার
নীলাকাশ কালো মেঘে দৃশ্যারালে চলে যায় দূরে
মৃত্তিকার স্পর্শ থেকে সুদূরে হারাই নির্বিকার
যেখানে আমার প্রোথিত শিকড় মগ্ন কবিতার।
যেখানে নদীর কলগান প্রবহমান ¯্রােতের ধারা কাঁদে
অরণ্যের পক্ষীকুল পাখা ঝাপটায় নির্ঘুম রাতে
আত্মজা নদীর অভিমান অরণ্যের হাহাকার
শূন্য সময়ের অনুষঙ্গ হয়ে যায়
কলম-আঙুল যেন হঠাৎ নির্বাক-নিরুপায়।
বিপন্ন মৃত্তিকা যদি কাঁদে নিরন্ন মানুষ প্রতিবাদ করে
কৃষির কর্ষিত ভূমি অনাবাদি থাকে মাঠে পড়ে
শ্রাবণের সূচনায় বৃষ্টিপাত বন্ধ হয়ে যায়;
মাঠের সবুজ ঘাস পোড়ে পানকৌড়িরা ভোলে সন্তরণ
কবির মনীষা দিশাহারা হলে হারায় মনন
তখনো কবির মানুষের জন্য থাকে প্রয়োজন
অগত্যা নিঃসঙ্গ কবি করে দ্রুত নৌকা ভাসানের আয়োজন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।