ঢাবি ছাত্র রহিম হত্যা মামলা : চব্বিশ বছর পর সাত জনের যাবজ্জীবন

আগের সংবাদ

ঈদযাত্রায় এবার স্বস্তির আশা

পরের সংবাদ

বাঙালির স্বাধীনতা দিবস ও বাঙালির বঙ্গবন্ধু

প্রকাশিত: মার্চ ২৬, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২৬, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বাঙালির মহান স্বাধীনতা দিবস আজ। স্বাধীনতার চুয়ান্নতম বর্ষে পদার্পণের এই মাহেন্দ্রক্ষণে মনে পড়ছে পরাধীনতার গøানিকর সেইসব দিনের কথা। তখন চিন্তা-ভাবনা এবং মানসিক গড়ন-গঠনে সবসময় একপ্রকার আত্মগøানি এবং হীনম্মন্যতা এ ভূখণ্ডবাসীকে আচ্ছন্ন রাখত। দীর্ঘদিনের সেই আত্মগøানি, প্রবঞ্চনা এবং হীনম্মন্যতা থেকে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে জাতি স্বাধীনতা লাভ করে। কিন্তু বাঙালির এই স্বাধীনতা কোনো আকস্মিক ঘটনা ছিল না, ছিল না কাগজে-কলমে লিপিবদ্ধ কোনোরূপ ‘চুক্তিনামা’ও। তিরিশ লাখ মানুষের রক্ত¯্রােত এবং আড়াই লাখ নারীর সম্ভ্রমের বিনিময়ে পাকিস্তানি রক্তপিাপসু জল্লাদদের কবল থেকে বাঙালি তার স্বাধীনতাকে ছিনিয়ে আনে। বছর ঘুরে আজ আমাদের জীবনে এসেছে সেই মহান দিবসের সুপ্রভাত! আজ আমাদের মনে করতে হবে তার কথাও যিনি পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে বাঙালিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন, রাজনৈতিক চেতনায় এ দেশের আবাল-বৃদ্ধ-বনিতার মনে যিনি স্বাধীনতার স্বপ্নবীজ বপন করেছিলেন, যিনি সাত কোটি মানুষের রক্তে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছিলেন। তার জন্ম না হলে, তিনি সঠিক পথের নির্দেশনা না দিলে আজো আমাদের পায়ে পায়ে লেগে থাকত পরাধীনতার শৃঙ্খলবেড়ি! মানতেই হবে, এই ভূগোল-বাংলায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম হয়েছিল বলে আজ আমরা স্বাধীন দেশের গর্বিত নাগরিক হওয়ার সৌভাগ্য ভাগ্যবান। তাই স্বাধীনতা দিবসের প্রভাতবেলায় তার প্রতি আমাদের বিনম্র শ্রদ্ধা। আমাদের বিনম্র শ্রদ্ধা তিরিশ লাখ বীর শহীদ এবং আড়াই লাখ সম্ভ্রম হারানো নারীর প্রতি।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আবহমানকালের বাঙালির জন্য নিবেদিতপ্রাণ এক রাজনীতিবিদ, বাঙালির অবিসংবাদী নেতা। বিবিসি জরিপে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি হিসেবে ভূষিত। তার নামের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু, মহাকালের মহানায়ক, স্বাধীনতার স্থপতি, জাতির পিতা কিংবা রাজনীতির অমর কবি এরূপ কত অভিধা, কত রূপক, কত উপমাই না শোভামান। আবার নির্মোহ দৃষ্টিতে দেখলে, কিংবা তার নামের পূর্ব ও পশ্চাৎ থেকে সব রকমের উপমা-উৎপ্রেক্ষা, রূপক-অলংকারণ, উপাধি-পদবি এবং বিশেষণ সরিয়ে নিলে যে নিরেট ব্যক্তিত্বটুকুর অবশেষ থাকে তার মধ্যেই সমগ্র বাংলাদেশ চিত্রিত হয়ে যায়। অন্যভাবে বললে, এই ভূখণ্ডের সমান্তরাল কিংবা এই ভূমিরূপ আদিমাতার বরপুত্রের চিত্রকল্পরূপে মূর্ত হয়ে উঠেন শেখ মুজিবুর রহমান নামটি। তর্জনি উঁচিয়ে দৃঢ়তর ভঙ্গিতে তিনিই এই জাতির ত্রাণকর্তারূপে সামনে এসে দাঁড়ান। তারই ওপর ভরসা করে, তারই নির্দেশে ৭ কোটি বাঙালি ঐক্যবদ্ধ হয়। দেশের আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা তারই আহ্বানে স্বাধীনতা লাভের আকাক্সক্ষায় সশস্ত্র সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে, ঝাঁপিয়ে পড়ে মুক্তির সংগ্রামে। শেখ মুজিবই পশ্চিম পাকিস্তানি শাসন ও শোষণের বিরুদ্ধে ৭ কোটি বাঙালিকে অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক মুক্তিদানের লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ করেন। তিনিই এদেশের মানুষকে নিয়ে স্বাধীনতার পথে ও মুক্তির পথে হাঁটেন যেন জন্ম-জন্মান্তর! তাই সব রকমের বিশেষণ কিংবা উপাধি ও খেতাব ব্যতিরেকেই শেখ মুজিব ও বাংলাদেশ হয়ে ওঠে একে অপরের পরিপূরক।
শেখ মুজিব পরাধীন ভূখণ্ডে জন্ম নিয়েছিলেন বলেই পরাধীনতার গøানি তিনি মর্মে মর্মে উপলব্ধি করেছিলেন। তার উপলব্ধি গøানিবোধের তীব্রতাই তাকে পরাধীনতার শৃঙ্খল ভাঙার স্পর্ধায় প্রত্যয়ী করেছিল। পরাধীন দেশের মানুষের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক মুক্তির প্রেরণায় তিনি তারই সৃষ্ট অনবদ্য পথ বেছে নেন। কণ্টকাকীর্ণ হলেও সময়ের ব্যবধানে সে পথ ধরেই আসে এই ভূগোল-বাংলার মানুষের স্বাধীনতা। সে পথ ধরে বাংলাদেশও যেন তার সর্বাঙ্গ থেকে পরাধীনতার গøানি অপসৃত করে অনন্য সৌন্দর্যে সজ্জিত হয়ে ওঠে। অমিত আত্মবিশ্বাসে বিশ্বের বুকে শক্ত পায়ে দাঁড়াবার স্পর্ধা অর্জন করে। যুগের অনিবার্য আহ্বান রাজনীতির কবি মুজিবের কণ্ঠে ঘোষিত হয়েছিল বলেই ৭ কোটি মানুষ তার নেতৃত্বে আস্থা ও ভরসা রেখেছিল। সেই ভরসার ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামের ফসলই আমাদের স্বাধীনতা, আমরা মুক্ত ও স্বাধীন দেশের গর্বিত নাগরিক। কিন্তু বঙ্গবন্ধু এ দেশে জন্মগ্রহণ না করলে, তার সেই অমর তর্জনির ইঙ্গিতে জনসমুদ্রে ঢেউ না তুললে, যথাসময়ে স্বাধীনতার ঘোষণা উচ্চারণ না করলে গর্ব করার মতো স্বাধীন দেশের স্বাধীন নাগরিক আমরা কতটা হতে পারতাম সে বিষয়ে সন্দেহের অবকাশ থাকে বৈকি। কিন্তু একদল মানুষ আজ ভুলতেই বসে যে, স্বাধীনতালাভের পশ্চাতে শেখ মুজিবের অটল নেতৃত্ব ছিল!
প্রায় শতবর্ষ পূর্বে রবীন্দ্রনাথ পরাধীন ভারতবর্ষের মুক্তি কামনায় তার কবিতায় আবাহন করেছিলেন নায়কোচিত কল্পিত কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তিনি সমকালীন সব রাজনৈতিক নেতার নেতৃত্বগুণ ও রাজনৈতিক কৌশলের অনুশীলনদৃষ্টে অনুভব করেছিলেন পরাধীনতার শৃঙ্খল ভাঙার জন্য ভারতবর্ষের প্রয়োজন আরো অধিক প্রাজ্ঞ, দৃঢ়চিত্ত, দিকনির্দশক এবং যুগোপোযোগী কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের। অনুরূপ প্রেরণা থেকেই রবীন্দ্রনাথ রচনা করেন ‘ওই মহানব আসে’। কবি-কল্পনায় বিরাজিত ছিল সহ¯্রবর্ষের ভারতবাসীর আত্মগøানি মুছে দেয়ার জন্য অদৃশ্যপূর্ব কোনো একজন রাজনৈতিক মহামানবের চিত্রকল্প। মহামানব আসবেনই- এরূপ দৃঢ়তর আত্মবিশ্বাস ছিল কবির মনে। দূরদৃষ্টি সম্পন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব পরাধীন ভারতবর্ষের জন্য আবশ্যক ছিল। এই ভাবনা রবীন্দ্রচিত্তকে মথিত করেছিল। তাই রবীন্দ্রকাব্যে উচ্চারিত হয়েছিল ‘ওই মহানব আসে’র আগমনী সুরলহরি। কবির কণ্ঠে উচ্চারিত হয় :
ওই মহামানব আসে।
দিকে দিকে রোমাঞ্চ লাগে
মর্তধূলির ঘাসে ঘাসে।
[…]
‘জয় জয় জয়রে মানব অভ্যুদয়
মন্দ্রি উঠিল মহাকাশে।’
রবীন্দ্রনাথ যখন সম্ভাব্য মহামানবের আগমন-অভ্যুদয়ের এরূপ আশীর্বচন রচনা করেন তখন শেখ মুজিবুর রহমান নামটির পূর্বে বা পশ্চাতে কোনো অভিধা বসেনি, বসেনি কোনো উপমা-রূপক, উপাধি-পদবি! শুধু কি তাই? শেখ মুজিব তখন সর্বকণ্ঠে নিত্য-উচ্চারিত ‘বঙ্গবন্ধু’ও হয়ে উঠেননি। তখন শেখের বয়স মাত্র একুশ। কিন্তু ততদিনেই তার পরিচয় ঘটে গেছে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী এবং শেরে বাংলা একে ফজলুল হকের সঙ্গে। সাধারণের প্রতি তাদের কল্যাণচিন্তা বঙ্গবন্ধুকেও অনুপ্রাণিত করেছিল। ভারতবর্ষ এবং বিশেষত বাংলার বুকে প্রবহমান ব্রিটিশ অপশাসনের অন্যায় শোষণ-বঞ্চনা, নির্যাতন-নিপীড়নের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর দৃঢ় মনোবল নিয়ে তিনিও পূর্বোক্ত নেতাদের মতো প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। ভারতবর্ষজুড়ে প্রায় দুশ বছরের ব্রিটিশ অপশাসনের নানা হঠকারিতার সঙ্গেও শেখ মুজিব ততদিনে পরিচিত হয়েছেন। শাসকদের হঠকারিতার সঙ্গে ভারতবাসীর অপমানিত, লাঞ্ছিত, বঞ্চিত এবং বেদনার্ত অবয়বটিও গভীর মমতা দিয়ে শেখ মুজিব উপলব্ধি করেছেন। তাই বাংলার মাঠ-ঘাট, প্রান্তর-লোকালয় যেখানেই মানবতার অপমান-লাঞ্ছনা, যেখানেই ভারতবাসীর শোষণ-বঞ্চনা, যেখানেই বাঙালির অপমান-গঞ্জনা সেখানেই শেখ মুজিব হয়ে উঠেন বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বরের প্রতিবাদী তারুণ্য। শৈশব থেকেই সর্বদা তিনি দুঃখী মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন, নিজেকে যুক্ত করেছেন আর্ত-মানবের সেবায়। অসংকোচে প্রাণ খুলে মিশেছেন এই দুঃখিনী বাংলার হতদরিদ্র ও বঞ্চিত মানুষের সঙ্গে। আপামর মানুষের প্রাণের সঙ্গে প্রাণের সম্পর্ক তৈরি করেছেন শ্রেণি-বর্ণ-ধর্ম নির্বিশেষে। অসাম্প্রদায়িক চেতনাবোধও তার চিত্তে সর্বদা সক্রিয় ছিল। তাই তিনি শ্রেণি-বর্ণ-ধর্ম নির্বিশেষে সব আর্ত হৃদয়ের গোপন কান্নার সুর অবলীলায় শুনেছেন।
শেখ মুজিবুর রহমানই সমকালীন রাজনৈতিক নেতাদের থেকে স্বতন্ত্র যিনি গভীরভাবে অনুধাবন করতে সক্ষম হয়েছিলেন বাঙালির হাজার বছরের সংস্কার-সংস্কৃতি, কৃষ্টি ও কালচার। তাই তার হৃদয় হয়ে উঠেছে বিশাল বিস্তৃত দিগন্তের অনুরূপ। সমুদ্রের ন্যায় গভীর। ‘বাঙালি জাতীয়তাবাদের ভিত্তি’ সম্পর্কে একবার সৈয়দ মুজতবা আলী বঙ্গবন্ধুর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেছিলেন: ‘আমাদের বাঙালি জাতীয়তার ভিত্তি বাংলার সব ধর্মের সব বর্ণের মানুষের হাজার বছরের মিলিত সভ্যতা ও সংস্কৃতি। তাতে হিন্দু, বৌদ্ধ ও উপজাতীয় সভ্যতা-সংস্কৃতির যেমন ছাপ আছে, তেমনি আছে মুসলমানদের সভ্যতা-সংস্কৃতির মিশ্রণ। বর্তমানের ভারত একটি পলিটিক্যাল ইউনিয়ন। আর আমরা একটি কালচারাল নেশন। হাজার বছরের বেশি সময় ধরে আমাদের পরিচয় বাঙালি। বহুকাল আমাদের একটি নেশন স্টেট ছিল না। সেটি এখন পেয়েছি। সেটি যদি তার সেক্যুলার সভ্যতা ও সংস্কৃতির ভিত্তিতে আমরা টিকিয়ে রাখতে পারি, তাহলে বাঙালি জাতি বাংলা ভাষা ও বাঙালি সংস্কৃতি বিশ্বে একটি আধুনিক জাতি হিসেবে স্বীকৃতি পাবেই।’ বাঙালি কেবল একটি জাতিসত্তা নয়, নয় কেবল হাজার বছরের জাতি-¯্রােত মাত্র। বাঙালি শব্দটির মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব দ্বিজাতিতত্ত্বের বিষবাষ্পের বিরুদ্ধে এই ভূখণ্ডের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করার এক গভীরতর আবেগকে প্রোথিত করেছিলেন। সমালোচকের ভাষায় : ‘হিন্দু ও মুসলমানের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টিকারী দ্বিজাতিতত্ত্বকে রাজনৈতিকভাবে পরাজিত করতে মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানদের মধ্যে ধর্মান্ধতা দূর করে তাদের সবাইকে বাঙালি পরিচয় খুঁজে পেতে উৎসাহিত করেছেন, বাঙালি পরিচয়ে ঐক্যবদ্ধ করেছেন।’
বঙ্গবন্ধু তার রাজনৈতিক চেতনা এবং অনুভূতির গভীরতা দিয়ে উপলব্ধি করেছিলেন বাঙালি জাতির মুক্তির অনিবার্যতা।

অনুভব করেছিলেন অপমানে নিষ্পেষিত ও হতমান বাঙালিকে মুক্ত করতে না পারলে ইতিহাসে কাল¯্রােতে জাতি হিসেবে বাঙালির করুণ পরিণতির ব্যর্থ আখ্যানই রচিত হবে! কিন্তু বাঙালি জাতির পরিণতিকে তিনি ব্যর্থতায় প্লাবিত হতে দেননি। এক তেজোদীপ্ত জাতি হিসেবে বাঙালিকে তিনি বিশ্বের গণতন্ত্রকামী মানুষের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছেন। বাঙালির মুক্তির লক্ষ্যে তিনি যে ব্রত গ্রহণ করেছিলেন বয়স আর অভিজ্ঞতার আলোয় তা পরিণত হয়েছিল দূরদৃষ্টি সম্পন্ন এক দায়িত্বশীল নেতৃত্বে। শেখ মুজিবের নেতৃত্বে আমরা দেখি বাঙালি ও বাংলাদেশের ইতিহাস এক উজ্জ্বল ¯্রােতধারায় প্রবহমান। বাঙালি জাতি ও রাষ্ট্রের ইতিহাস যেন তার নির্দেশেই অনিকেত অভিমুখ থেকে যথাযথ উচ্চতায় আলোক-উজ্জ্বল অহংকারে ঠাঁই করে নিতে সক্ষম হয় ন্যায়নিষ্ঠ সত্যের চূড়ান্ত গন্তব্যে। তাই তার স্মরণ ব্যতীত স্বাধীনতা দিবসের নৈবেদ্যও অর্থহীন হয়ে পড়ে। বাঙালি বাংলাদেশ এবং স্বাধীনতার ইতিহাসের সমান্তরালে বঙ্গবন্ধু মুজিবের উজ্জ্বল মুখটি আপামর বাঙালিচিত্তে অনাদিকাল চেতনার দ্যুতি ছড়াবে। সেই চেতনার আলো অন্ধজনের পাথেয় হোক।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়