ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ

আগের সংবাদ

অপ্রতিরোধ্য বাংলাদেশ

পরের সংবাদ

প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য : পাঁচ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত

প্রকাশিত: মার্চ ২৫, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২৫, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মো. সাজ্জাদ হোসেন শাহ্, সুনামগঞ্জ থেকে : হাওরের জেলা সুনামগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী ও গুরুত্বপূর্ণ পাঁচ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক না থাকায় ওই পাঁচ বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এর মধ্যে জেলার সবচেয়ে ঐতিহ্যবাহী ও স্বনামধন্য বিদ্যাপীঠ সুনামগঞ্জ সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ে স্বাধীনতার পর থেকে গত ৫০ বছরের মধ্যে ২৭ বছর ধরেই চলছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে। এই ৫০ বছরের বেশির ভাগ সময় ছিলেন না সহকারী প্রধান শিক্ষকও।
জেলার পাঁচটি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সবকটিরই প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য রয়েছে। জেলা শহরের ঐতিহ্যবাহী দুটি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নেই। শুধু তাই নয়, দুটি করে সহকারী প্রধান শিক্ষকের চারটি পদই রয়েছে শূন্য। ফলে বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষা কার্যক্রম মুখ থুবড়ে পড়ছে।
জানা যায, সুনামগঞ্জ পৌর শহরের ঐতিহ্যবাহী ও স্বনামধন্য বিদ্যাপীঠ সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয় স্বাধীনতার পর অর্থাৎ গত প্রায় ৫০ বছরের মধ্যে ২৭ বছরই চলছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে। এই ৫০ বছরের বেশির ভাগ সময় বিদ্যালয়টিতে ছিলেন না সহকারী প্রধান শিক্ষকও।
অন্য সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মধ্যে তাহিরপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, জগন্নাথপুর স্বরূপচন্দ্র সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, সুনামগঞ্জ পৌর শহরের সরকারি সতীশ চন্দ্র বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, জগন্নাথপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়েও প্রধান ও সহকারী প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন জুনিয়র শিক্ষকরা।
সুনামগঞ্জ সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অভিভাবক অ্যাডভোকেট মাহবুবুল হাসান শাহীন বলেন, পূর্ণাঙ্গ প্রধান শিক্ষক দায়িত্বে না থাকলে বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম চরম ব্যাহত হয়। শিক্ষকরা যথাসময়ে ক্লাসে আসেন না। সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সমস্যা হয়।
সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ে ২০২২ সালে কিছুদিনের জন্য প্রধান শিক্ষক ছিলেন মুন্সীগঞ্জের বাসিন্দা মো. মনসুর রহমান খান। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন প্রধান শিক্ষক না থাকলে বিদ্যালয়ের অনেক কার্যক্রমই স্থবির হয়ে যায়।
সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পরিমল কান্তি দে বলেন, সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়, সরকারি সতীশ চন্দ্র বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়সহ জেলার পাঁচটি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক না থাকার বিষয়টি উদ্বেগজনক। অন্যান্য শিক্ষকেরও পদ এসব স্কুলে শূন্য রয়েছে। হাওরাঞ্চলের শিক্ষাব্যবস্থাকে তরান্বিত করতে অবিলম্বে এসব বিদ্যালয়ের শূন্যপদ পূরণ করা জরুরি প্রয়োজন। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের আঞ্চলিক উপপরিচালক আবু সাঈদ মো. আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, শূন্যপদের তালিকা পাঠিয়েছি। দীর্ঘদিন হয় শিক্ষকদের প্রমোশন হচ্ছে না। প্রমোশন না হলে প্রধান শিক্ষক পাওয়া যাবে না। প্রমোশন দেয়া যেমন জরুরি। সহকারী শিক্ষকের শূন্যপদেও নিয়োগ দেয়া জরুরি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়