ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ

আগের সংবাদ

অপ্রতিরোধ্য বাংলাদেশ

পরের সংবাদ

চা জনগোষ্ঠী আন্দোলন ফোরামের সংবাদ সম্মেলন : চা শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যক্রম স্থগিতসহ ৫ দফা দাবি

প্রকাশিত: মার্চ ২৫, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২৫, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক, শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) : প্রায় ৪ বছর ধরে নির্বাচন ছাড়া দায়িত্ব ধরে রাখা চা শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যক্রম স্থগিত করে প্রশাসনের কাছে অফিস পরিচালনার দায়িত্ব হস্তান্তরসহ ৫ দফা দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে বাংলাদেশ চা জনগোষ্ঠী অধিকার আন্দোলন ফোরাম। ৩০ মার্চের মধ্যে এ দাবি না মানলে ৩১ মার্চ থেকে তারা কঠোর আন্দোলনে যাবেন।
গত শনিবার বিকালে শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রেস ক্লাবে চা শ্রমিক ইউনিয়নের মেয়াদ উত্তীর্ণ বর্তমান কমিটির ব্যর্থতার চিত্র তুলে ধরে এ সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন চা জনগোষ্ঠী অধিকার আন্দোলন ফোরামের আহ্বায়ক পরিমল সিং বারাইক, সদস্য সচিব গীতা কানু, সদস্য রাধাকান্ত কৈরী, রাম দয়াল গোয়ালা ও দিলীপ কুমার কৈরী।
গীতা কানু বলেন, দুই বছর মেয়াদে ২০১৮ সালের জুন মাসে চা শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচন হয়। এর পর থেকে এখন পর্যন্ত কোনো নির্বাচন ছড়াই ওই কমিটি চা শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যক্রম ধরে রেখে শ্রমিকদের কাছ থেকে তোলা টাকা অবৈধভাবে ভোগদখল করে আসছে। গঠনতন্ত্র অনুুযায়ী এই কমিটি এখন অবৈধ। এ সময় চা জনগোষ্ঠী অধিকার আন্দোলন ফোরামের আহ্বায়ক পরিমল সিং বারাইক শ্রীমঙ্গলের শ্রমঅধিদপ্তরের পরিচালক নাহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্ব করার অভিযোগ এনে নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনা থেকে তাকে সরিয়ে নেয়ারও দাবি জানান। তিনি বলেন, বর্তমান কমিটি চা শ্রমিকদের কোনো স্বার্থ রক্ষা করতে পারছে না। চা শ্রমিকরা মজুরি পেত মাত্র ১২০ টাকা। প্রধানমন্ত্রী নিজে হস্তক্ষেপ করে তা ১৭০ টাকা করে দিয়েছেন। এরা মালিক পক্ষের সঙ্গে দ্বিবার্ষিক চুক্তি করতেও ব্যর্থ হয়েছে। এমনকি শ্রমিকরা বাগান থেকে উচ্ছেদ হচ্ছে, তারা কোনো ভূমিকা রাখছে না, শুধু শ্রমিকদের দেয়া চাঁদা বসে-বসে খাচ্ছে।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের কোষাধ্যক্ষ পরেশ কালিন্দী বলেন, আমাদের কমিটি সাধারণ শ্রমিকের ভোটে নির্বাচিত কমিটি। সরকার নির্বাচন কমিশন গঠন করে দিয়েছে। এ কমিশন কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে চা শ্রমিক ইউনিয়ন থেকে নির্বাচন কমিশনকে ২০ লাখ টাকাও দেয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এই মুহূর্তে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ করছে।
তিনি বলেন, আমরাও চাই দ্রুত নির্বাচন হোক। কিন্তু অন্য নির্বাচন আর চা শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচন এক নয়। সারা বাংলাদেশব্যাপী চা শ্রমিকরা রয়েছেন। সব জায়গায় একযোগে নির্বাচন দিতে হয়। এতে আমরা টাকার যোগার করতে পারছি না তাই বিলম্ব হচ্ছে।
শ্রম অধিদপ্তরের পরিচালক নাহিদুল ইসলাম বলেন, চা শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচন এটা তার অতিরিক্ত দায়িত্ব। চা শ্রমিক ইউনিয়নের সংশোধিত গঠনতন্ত্র মোতাবেক তাকে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব দিয়েছেন এই দপ্তরের ডিজি। নির্বাচনের জন্য যে টাকা প্রয়োজন, সম্ভাব্য ৭০ লাখ টাকা, সে টাকা দিতে পারছেন চা শ্রমিক ইউনিয়ন। এতে নির্বাচন বিলম্ব হচ্ছে। যে কারণে নির্বাচন কমিশনের তিন মাসের মেয়াদ ১০ মাস অতিক্রম করেছে। তবে প্রস্তুতি প্রায় গুছানো আছে টাকা পেলেই নির্বাচন দ্রুত করা যাবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়