ডা. মোদাচ্ছের আলী : বেসরকারি হাসপাতাল নিয়ন্ত্রণে রোডম্যাপ তৈরি করতে হবে

আগের সংবাদ

বাজারের আগুনে রোজার আঁচ

পরের সংবাদ

জাবির প্রশাসনিক ভবন অনির্দিষ্টকালের জন্য অবরোধ

প্রকাশিত: মার্চ ১২, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ১২, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

জাবি প্রতিনিধি : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) গত ফেব্রুয়ারিতে সংঘটিত ধর্ষণকাণ্ডের ঘটনায় ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তি, নিপীড়কদের সহায়তাকারী প্রক্টর ও মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রাধ্যক্ষের অপরাধ সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদের প্রশাসনিক পদ থেকে অব্যাহতিসহ পাঁচ দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য নতুন প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করেছে নিপীড়নবিরোধী মঞ্চ। গতকাল সোমবার সকাল নয়টা থেকে প্রশাসনিক ভবনে প্রবেশের মুখে সবগুলো দরজায় তালা লাগিয়ে এই কর্মসূচি পালন শুরু করে আন্দোলনকারীরা। সকালে প্রশাসনিক ভবনের কর্মকর্তা কর্মচারীদের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। অনির্দিষ্টকালের জন্য এই অবরোধ কর্মসূচিতে মূল গেটে তালা ঝুলানো থাকবে। আজ সকাল নয়টা থেকে আবারো তারা প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেবেন।
নিপীড়নবিরোধী মঞ্চের অন্য দাবিগুলো হলো- মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের হল থেকে বের করে গণরুম বিলুপ্ত করে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের আবাসন নিশ্চিত করা, নিপীড়ক শিক্ষক মাহমুদুর রহমানের (জনি) বহিষ্কারাদেশের প্রজ্ঞাপন জারি ও অফিস আদেশ প্রণয়ন করা এবং ইতিপূর্বে যৌন নিপীড়ন সেলে উত্থাপিত সব অমীমাংসিত অভিযোগসহ ক্যাম্পাসে বিভিন্ন সময়ে নানাবিধ অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনা, মাদকের সিন্ডিকেট চিহ্নিত করে জড়িত ব্যক্তিদের ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া।
ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক গোলাম রব্বানী বলেন, প্রশাসন সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত বারবার বদল করছে এবং তা বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয়েছে। এখন পর্যন্ত তারা অছাত্রদের হল থেকে বের করতে পারেনি। তারা বিভিন্ন সময়ে নতুন নতুন সিদ্ধান্ত নিয়ে আমাদের আইওয়াশ করছে।
বিকাল ৪টার দিকে নিপীড়নবিরোধী মঞ্চ জানিয়েছে, সবগুলো দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য প্রশাসনিক ভবন অবরোধ থাকবে। এদিকে মঞ্চটি অনির্দিষ্টকালের অবরোধের জন্য দুষছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে। তারা বলেন, আমরা এর আগে বারবার প্রতীকী অবরোধ পালন করে আমাদের দাবি আদায়ের চেষ্টা করেছি। কিন্তু এই অথর্ব প্রশাসন সেদিকে কোনো ভ্রæক্ষেপই করেনি। এ সময় গত রবিবার সিন্ডিকেট সভাশেষে আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা না বলে পেছনের দরজা দিয়ে উপাচার্যের প্রস্থানের বিষয়টি তুলে আনেন তারা। উপাচার্যের এই প্রস্থানে প্রশাসনের দুরভিসন্ধি আছে বলে মনে করে মঞ্চটি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়