ডা. মোদাচ্ছের আলী : বেসরকারি হাসপাতাল নিয়ন্ত্রণে রোডম্যাপ তৈরি করতে হবে

আগের সংবাদ

বাজারের আগুনে রোজার আঁচ

পরের সংবাদ

ইয়ারজানের ওঠে আসার গল্প

প্রকাশিত: মার্চ ১২, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ১২, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

এবারের অনূর্ধ্ব-১৬ সাফে খেলতে যাওয়ার আগে ইয়ারজান নামটা খুব একটা পরিচিত ছিল না ফুটবল অঙ্গনে। দলটির সাতজন ছিল বাফুফের ক্যাম্পের, ছয়জন বিকেএসপির। বাকিরা সবাই এসেছিল সারাদেশ থেকে বাছাইপ্রক্রিয়া পেরিয়ে। ইয়ারজানও দলে এসেছিল সেই প্রক্রিয়াতেই। টুর্নামেন্টে আগাগোড়াই চমৎকার খেলেছেন তিনি। গোলকিপার ইয়ারজান বেগমের অসাধারণ নৈপুণ্যে স্নায়ুক্ষয়ী টাইব্রেকারে ভারতকে ৩-২ গোলে হারিয়ে বাংলাদেশ এককভাবে ট্রফি ঘরে তুলেছে। বিদেশের মাটিতে এমন জয়ের পর স্বাভাবিকভাবেই আনন্দ উৎসব করছে লাল-সবুজ দলের সবাই। টুর্নামেন্টজুড়েই দুর্দান্ত খেলেছেন ইয়ারজান বেগম। পেয়েছেন সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার। পুরস্কার হাতে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে কেঁদেই ফেললেন এই কিশোরী। টুর্নামেন্টের সেরা গোলরক্ষক এবং ফাইনালের সেরা পারফরমার। কেমন লাগছে আপনার? জবাবে গোলরক্ষক ইয়ারজান বলেছেন, ‘আমার অনেক ভালো লাগছে। প্রথম আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট খেললাম। সেরা গোলরক্ষক হওয়ার অনুভূতি অনেক। আমার কোচকে ধন্যবাদ জানাই আমাকে এ পর্যন্ত আনার জন্য। অনেক খুশি আমি। প্রথমবারের মতো ইন্টারন্যাশনাল টুর্নামেন্ট খেলে সেরা হলাম। বাংলাদেশের প্রান্তিক জেলা পঞ্চগড় থেকে উঠে এসেছেন ইয়ারজান বেগম। সেখান থেকে ঢাকায় ট্রায়াল আর জাতীয় দল। ছোট্ট ক্যারিয়ারে দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্ব পেয়েছেন রবিবার। তবে ইয়ারজান জীবনের মঞ্চে জিতে গিয়েছেন আরো আগেই। বাবা, মা এবং ছোট বোন নিয়েই ইয়ারজানের পরিবার। ছোট্ট এই সংসার নির্ভর করে মায়ের আয়ে। ইয়ারজান জানিয়েছেন, বাবা শ্বাসকষ্টের রোগী। তাই সংসারের দায়িত্ব মায়ের। বাইরে কাজ করেন তিনি। তাতেই চলে চারজনের সংসার। পঞ্চগড় জেলার প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে ফুটবলার হওয়া সহজ ছিল না ইয়ারজানের জন্য। তবে বাবার সমর্থন ছিল শুরু থেকেই। স্কুল পর্যায়ে নিয়মিত খেলতেন। স্কুল শেষ হওয়ার পর্যায়ে এলে খেলা থেকেও সরে যান। তখনই ক্যারিয়ারের বড় সমর্থন পান ইয়ারজান। কোচ আবু তালেব টুকু খুঁজে বের করেন তাকে। নিজের একাডেমিতে খেলার আহ্বান জানালে রাজি হয়ে যান তিনি। বাবার সমর্থনে ভর্তি হন তাতে।
ইয়ারজান জানান, কোচকে আমি ভাই বলে ডাকি। তিনি আমাকে অনেক সাহায্য করেছেন। আমার যাতায়াত ভাড়া ছিল না। তিনি ম্যানেজ করে দিতেন।

:: তাইসির নূর

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়