পৃথিবীর মুক্তিকামী মানুষের জন্য ৭ মার্চের ভাষণ এখনো প্রাসঙ্গিক : সম্প্রীতি বাংলাদেশ আয়োজিত গোলটেবিলে বক্তারা

আগের সংবাদ

ময়মনসিংহে আবারো টিটু কুমিল্লায় সূচনার শুভ সূচনা : টিটু ১,২৭,০০০, হাসান ২৯,০০০ ভোট > সূচনা ৪৮,০০০, সাক্কু ২৬,০০০ ভোট

পরের সংবাদ

নারীর জন্য বিশেষ দিন

প্রকাশিত: মার্চ ৯, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ৯, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বিশ্বব্যাপী নারীদের প্রতি শ্রদ্ধা, তাদের কাজের প্রশংসা এবং ভালোবাসা প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক নারী দিবসকে নারীদের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক সাফল্য অর্জনের উৎসব হিসেবে পালন করা হয়। আন্তর্জাতিক নারী দিবস নিয়ে শোবিজ অঙ্গনের নারীরা কী ভাবছেন- তা নিয়ে মেলার আয়োজন

‘নারী ও পুরুষের সমঝোতার মধ্য দিয়ে এগিয়ে যেতে হবে’
রোকেয়া প্রাচী, অভিনেত্রী

প্রতিটা দিনেই নারীরা গুরুত্বপূর্ণ। তবে নারীর জন্য একটি বিশেষ দিন থাকা এবং সে দিনকে কেন্দ্র করে নারী নিজেকে, নিজের কাজকে সমাজের কাছে আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ করে তুলতেই মূলত নারী দিবস। আমি মনে করি নারী ও পুরুষের সমঝোতার মধ্য দিয়ে সবাইকে এগিয়ে যেতে হবে। পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে বিশ্বকে আরো সুন্দর করতে হবে। পুরুষরা কখনোই আমাদের বিপক্ষের শক্তি নয়। একজন নারীর জয় মানেই একজন পুরুষের জয়। আবার একজন নারীর পরাজয়ও একজন পুরুষের পরাজয়। স্ত্রীকে বলা হয় স্বামীর অর্ধাঙ্গ। অর্থাৎ নারী পুরুষের অর্ধেক।
এছাড়া কাজী নজরুল ইসলাম বলেছেন, পৃথিবীর যা কল্যাণকর তার অর্ধেক পুরুষ আর অর্ধেক নারী করেছেন। সুতরাং নারীকে অবহেলা করে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। আজকের দিনে আমি বলতে চাই, নারীদের নিজ থেকে জাগ্রত হতে হবে। নারীর জাগরণের বহিঃপ্রকাশ ঘটে তার ইচ্ছার মাধ্যমে। সব প্রতিবন্ধকতা দূর করে নারীরা প্রত্যেক মাধ্যমে আরো বেশি ভূমিকা পালন করবে বলে আমি আশা করছি। একই সঙ্গে পুরুষরাও নারীদের দিকে সহযোগিতা ও ভালোবাসার হাত বাড়িয়ে দেবে বলে আমার প্রত্যাশা। আর তখনই সমতা আসবে। পুরুষের এই সাপোর্ট নারীর এগয়ে যাওয়ার পথকে আরো মসৃণ করে তোলে। তার সঙ্গী যখন তার দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় তখন সে আরো বেশি সাহসী হয়ে ওঠে।

অধিকার সম্পর্কে সচেতন হওয়ার দিন
বিজরী বরকতউল্লাহ, অভিনেত্রী
নারী দিবস বিশেষ কোনো রঙের পোশাক পরে ঘুরে বেড়ানো এবং উপহার আদান-প্রদানের জন্য নয়। এটি নিজের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হওয়ার দিন বলেই মনে করি। প্রত্যেক দিনই নারীকে সচেতন হতে হবে। দেখতে হবে সে তার নিজের অধিকারগুলো ঠিকমতো পাচ্ছে কি না। আর এই চর্চাটা শুরু হবে একেবারে ঘর থেকে। সম্মান করতে হবে মা, বোন, ভাবি, শাশুড়িসহ ঘরের সব নারীকে। তখনই নারী দিবসের আসল তাৎপর্য আসবে। নারীদের নিজ উদ্যোগে দেখিয়ে দিতে হবে তারা কী করতে পারেন। পুরুষশাসিত সমাজে নারীদের প্রথমে অনেক কিছুই করার জন্য সমর্থন দেয়া হয় না। প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়ায় নারীর কাছের মানুষরা। কিন্তু সাহস ও আন্তরিকতার মধ্য দিয়ে এই প্রতিবন্ধকতা নারীদেরই দূর করতে হবে। একজন নারী যখন তার প্রাপ্যটুকু বুঝে নিতে চায় তখন এ সমাজব্যবস্থা বাধা হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু নারী তো খারাপ কিছু করছে না। কাউকে খুন করছে না, চুরি-ছিনতাই করছে না, তাহলে কেন বাধা? আমার কাছে মনে হয় একজন নারী এগিয়ে গেলে, কোনো কাজে নারী নেতৃত্ব থাকলে পুরুষরা অপমানবোধ করেন, ইগোর সমস্যায় ভোগেন। যার ফলে নগ্নভাবে নারীর পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু দেশের উন্নতির কথা চিন্তা করলে, নারী-পুরুষ সবাইকেই একসঙ্গে কাজ করতে হবে। সুতরাং নারী দিবস কী বলছে, কী চাইছে তা আমাদের পুরুষতান্ত্রিক সমাজকে জানাতে হলে, নারীর প্রতিবন্ধক পথকে মসৃণ করতে নারী দিবসের গুরুত্ব অপরিহার্য।

আজকের দিনে নারীরা এগিয়ে যাচ্ছে
ন্যানসি, সংগীতশিল্পী

আমাদের সমাজব্যবস্থা পিতৃতান্ত্রিক হলেও মাতৃতান্ত্রিক ব্যবস্থায় চলে। অর্থ আয় করে দিয়েই বাবা তার দায়িত্ব থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন। কিন্তু মা, তিনি পরিবারের সব বিষয় নিয়ে চিন্তা করেন। বাবার দেয়া মাস শেষের টাকা দিয়ে গোটা মাস কীভাবে চলবে, তা কিন্তু মা-ই চিন্তা করেন। কোন সন্তানের কী প্রয়োজন, টিউশন ফি থেকে শুরু করে, শ্বশুর-শাশুড়ির ওষুধ- সবকিছু কিন্তু মাকেই দেখতে হয়। নারীরা আমাদের সমাজে অবহেলিত এই কথার সম্পূর্ণ বিরোধী আমি। নারীরা যদি সমাজে অবহেলিত হতো তবে আমি আজ গায়িকা ন্যানসি হতে পারতাম না। আমাদের দেশের দুটি রাজনৈতিক দলের প্রধান হচ্ছেন নারী। দেশের প্রধানমন্ত্রী নারী। আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে নারীরা প্রতিষ্ঠিত। তাহলে আমাদের সমাজে নারীরা অবহেলায় ভোগে কীভাবে? আজকের দিনে নারীরা এগিয়ে যাচ্ছে। বাধা একেবারেই পাচ্ছে না তা কিন্তু নয়। কিন্তু যেখানে পাচ্ছে সেখানে পরিপূর্ণ শিক্ষায় অভাব রয়েছে বলেই বাধা আসছে। এর জন্য প্রয়োজন সঠিক শিক্ষার। সেই শিক্ষা শুরু করতে হবে পরিবার থেকেই। একজন মুক্তমনা, শিক্ষিত, রুচিশীল, সংগ্রামী, আদর্শ মা-ই পারেন তার কন্যাকে মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে। পুরুষকেও এজন্য সহযোগিতার হাত বাড়াতে হবে।

:: মেলা প্রতিবেদক

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়