বিআরটিএ চেয়ারম্যান : টিআইবির প্রতিবেদন উদ্দেশ্য প্রণোদিত

আগের সংবাদ

মুনাফার টার্গেট ইফতার পণ্য

পরের সংবাদ

পৃথিবীর মুক্তিকামী মানুষের জন্য ৭ মার্চের ভাষণ এখনো প্রাসঙ্গিক : সম্প্রীতি বাংলাদেশ আয়োজিত গোলটেবিলে বক্তারা

প্রকাশিত: মার্চ ৮, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ৮, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ বর্তমান সমাজ প্রেক্ষাপটে এখনো প্রাসঙ্গিক। শুধু স্বাধীনতার ঘোষণা নয়, সামাজিক ও অর্থনৈতিক মুক্তির বিষয়ও এখানে উল্লেখ করা হয়েছে। ফলে পৃথিবীর মুক্তিকামী মানুষের জন্য এখনো এটি প্রাসঙ্গিক। গতকাল বৃহস্পতিবার সিরডাপ মিলনায়তনে সম্প্রীতি বাংলাদেশ আয়োজিত ‘এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় বক্তারা এসব কথা বলেন। ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উদযাপন উপলক্ষে এই গোলটেবিলের আয়োজন করা হয়।
আলোচনায় বক্তারা বলেন, ভাষণটিতে ১১০০-এর বেশি শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। ১৮ মিনিটের এই ভাষণের প্রতিটি লাইন বিশ্লেষণ করলে এবং সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নিলে একটি সমৃদ্ধ দেশ গঠন সম্ভব। তলাবিহীন ঝুড়ি আখ্যা দেয়া বাংলাদেশকে মাত্র সাড়ে তিন বছরে বঙ্গবন্ধু জিডিপির দিক থেকে সমৃদ্ধ করেছেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ঐতিহাসিক ভাষণে বঙ্গবন্ধু কবি সাহিত্যিক বুদ্ধিজীবীসহ দেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষের স্বপ্ন, আশা, বঞ্চনা ও ভবিষ্যতের কথা বলে গেছেন। রেসকোর্স ময়দানে যে আলোড়ন ছিল তার চেয়ে বেড়ে আলোড়ন পড়েছিল ময়দানের বাইরে, পুরো দেশজুড়ে। বর্তমান সরকার এই ভাষণকে পাঠ্যভুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে। তিনি আরো বলেন, শেখ মুজিবকে ভুলিয়ে দিতে নারী শিশুসহ বঙ্গবন্ধু পরিবারের সবাইকে নৃশংস হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর আদর্শ-দর্শনকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশ এগোতে পারেনি। অতীতে যখনই এই দর্শনকে বাদ দেয়া হয়েছে, তখনই পিছিয়েছে বাংলাদেশ। দেশের উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে সাম্প্রদায়িকতার বিষ নির্মূল করতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য ড. বিশ্বজিৎ চন্দ্র বলেন, এই ভাষণ থেকেই স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসে। স্বাধীনতার পরেই ছিল ‘এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম’। স্বাধীনতার পরই আমাদের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য তিনি কাজ করেছেন। জাতির পিতার কন্যার নেতৃত্বে ধারাবাহিকভাবে জিডিপিতে পাকিস্তান ও ভারতকে পেছনে ফেলেছি। বর্তমানে একটি সিন্ডিকেট দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে নিয়ে গেছে। জাতির পিতা বলেছিলেন, ‘আমি পেয়েছি চোরের খনি’। তিনি এই চোরদের থেকে মানুষকে মুক্ত করতে চেয়েছেন। এখনো এই চোরেরা আমাদের পেছনে টেনে ধরছে। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্যকন্যা সমাজের দুর্নীতিরোধে জিরো টলারেন্স নীতি চালু করেছেন।
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, বঙ্গবন্ধুর সেই ভাষণ এখন কোটি মানুষের ভাষণে পরিণত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর ভাষণ ছাড়া পৃথিবীর কোনো ভাষণ জাতি রাষ্ট্রের জন্ম দেয়নি। এটি ছিল একমাত্র অলিখিত ভাষণ। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এই ভাষণটি বাধ্যতামূলকভাবে নবম শ্রেণিতে যুক্ত করতে হবে।
স¤প্রীতি বাংলাদেশের সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীলের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক পীযুষ বন্দ্যোপাধ্যায়। আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাবেক সভাপতি শফিকুল করিম সাবু ও বঙ্গবন্ধু গবেষক মেজর হাফিজুর রহমান।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়