সব মামলায় জামিন : জহির উদ্দিন স্বপনের মুক্তিতে বাধা নেই

আগের সংবাদ

বিভীষিকাময় এই মৃত্যুর দায় কার : ভবন ঝুঁকিপূর্ণ জানিয়ে মালিককে তিনবার নোটিস দেয় ফায়ার সার্ভিস, রেস্টুরেন্ট কিংবা দোকানের অনুমোদন ছিল না

পরের সংবাদ

ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের শেকড় অনেক গভীরে : কলকাতায় নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত: মার্চ ১, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ১, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়ে ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। গত ১৫ বছরে আমরা সেটা দেখতে পাই। ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্কের শেকড় অনেক গভীরে। দুই বাংলার এক আত্মা- ধমনিতে প্রবাহিত একই রক্ত, একই ভাষা- সংস্কৃতি, ভাতৃত্বের বন্ধনে একাত্ম আমরা।
গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার দ্য বেঙ্গল ক্লাবে ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সংঘ আয়োজিত ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও বাঙালির আত্মত্যাগ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সংঘের সভাপতি শিশির বাজোরিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- কলকাতায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের উপহাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস। প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, সবদিক দিয়ে এখন বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক খুবই ভালো। সাংস্কৃতিক বন্ধনটা খুবই আন্তরিকতার সঙ্গে হচ্ছে। বাংলাদেশের মানুষ ও ভারতের জনগণ প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক ভালোলাগা, সব দিক দিয়ে অনেক কাছাকাছি চলে এসেছে। আমাদের বিশ্বাসের বন্ধনটা বেশি উচ্চতায় চলে গেছে। আমরা যে মাতৃভাষায় কথা বলি, বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, ত্রিপুরার- সেটাতো আরো গভীরে। সেই সম্পর্কটা সূচনা করেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ভাষা আন্দোলনের পথ বেয়েই অর্জিত হয় মাতৃভাষা বাংলার স্বীকৃতি এবং সে ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালে অর্জিত হয় বাঙালির চিরকাক্সিক্ষত স্বাধীনতা- যার নেতৃত্ব দিয়েছেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অবদান তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ১৯৪৭ সালের দেশভাগ হলো। বঙ্গবন্ধুর ওপর পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা ‘সিক্রেট ডকুমেন্টস’ করেছেন। এর ১৪ খণ্ড বাংলাদেশে বেরিয়ে গেছে। সেখানে দেখতে পাচ্ছি, ১৯৪৭ সালে ভারতবর্ষ ভেঙে দুটি রাষ্ট্র হলো। এর মধ্যে তদানীন্তন তরুণ শেখ মুজিবুর রহমানের ওপর পাকিস্তানের নজরদারি কি রকম ছিল সেটা ‘সিক্রেট ডকুমেন্টস’ এ দেখতে পাই।
মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশকে সহযোগিতা প্রসঙ্গ টেনে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভাষা আন্দোলনের পথ ধরে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ পেয়েছি। এ স্বাধীনতা অর্জনে ভারতবর্ষ তথা ভারতের জনগণের অবদান সব সময় স্মরণ করি, মর্যাদার সঙ্গে দেখি। কারণ আমাদের মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের জন্য ভারতের প্রায় ১২ হাজার সেনা সদস্য শহীদ হয়েছেন। এটা আমরা কখনো ভুলে যাইনি, শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি। পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, ত্রিপুরার মানুষ বাংলাদেশের এক কোটি শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে। আমরা ১০ লক্ষাধিক রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছি। আমরা বুঝতে পারছি এক কোটির অধিক লোককে আশ্রয় দেয়া, এর ব্যবস্থাপনা কত কঠিন। খাদ্য, শিক্ষা চিকিৎসাসহ আরো কত কিছু। সেরকম একটি বিশাল দায়িত্ব শুধু ভারত নেয়নি এবং আমাদের বিজয় অর্জনের জন্য চারিদিক দিয়ে সমর্থন দিয়েছে। বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান কারাগারে বন্দি ছিলেন। তাকে মুক্ত করার জন্য ভারত সরকারের ভূমিকা অসামান্য। ভারতের সে ভূমিকা না থাকলে কি হতো আমরা জানি না। তাদের ভূমিকাকে আমরা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়