ঢাকার জিনজিরা : বিয়ের পরদিনই বরের মৃত্যু

আগের সংবাদ

তৃণমূলে কোন্দল বাড়ার শঙ্কা

পরের সংবাদ

রাজীব হরি থেকে আজকের অক্ষয়

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

১৯৮৭ সাল। বলিউডে মিস্টার ইন্ডিয়া, জলওয়া এবং হুকুমতের মতো সিনেমা তৈরি হয়েছিল। সিনেমার পর্দায় একের পর এক ঝড় তুলে চলেছেন বেশকিছু তারকা। কিন্তু তারই মাঝে একজন পাঞ্জাবি যুবক তখন ট্যালেন্ট নিয়েই অন্যরকম কাজ করছেন। তার সমবয়সিদের মতো তিনি বলিউডের গø্যামার এবং খ্যাতিতে মুগ্ধ হননি। হরি ওম ভাটিয়া বা রাজীব নামে ২০ বছর বয়সি ছেলেটি অন্য দেশে অন্য পেশায় নিজের ভাগ্য তৈরি করার চেষ্টা করেন। একটি সাক্ষাৎকারে অভিনেতা নিজেই বলেছেন তিনি ঢাকায় একটা সময় হোটেলে সবজি কাটার কাজ করতেন। এমনকি বাসনও মেজেছেন অভিনেতা। রাজীবের মার্শাল আর্টে পারদর্শিতা ছিল বরাবরই। কিন্তু তিনি শেফও হতে চেয়েছিলেন একথা অনেকেরই অজানা। একটা সময় ঢাকার মতিঝিলের পূর্বাণী হোটেলের রান্নাঘরে কাজ করেছেন। সবজি কাটা এবং ক্যাটারিংয়ের কাজ করেছিলেন অভিনেতা। হোটেল কর্মীদের মধ্যে তার খুব বেশি বন্ধু ছিল না। অভিনেতা তার একটি সাক্ষাৎকারে বেশ কিছু স্নিপেট শেয়ার করেন। ‘অক্ষয় তার এক আত্মীয়ের মাধ্যমে আমাদের হোটেলে যোগদান করেছিল। সে সময় তিনি একেবারে নতুন আগত। তার কাজের বিষয়ে আগে থেকে তেমন জ্ঞান ছিল না। এবং তাই তাকে রান্নাঘরের কিছু সহজ কাজ দেয়া হয়েছিল।’
পরবর্তী সেই ভীতু এবং নম্র ভদ্র যুবক তার প্রজন্মের অন্যতম সফল অভিনেতা। অক্ষয় কুমার। হ্যাঁ, জীবনের এই সময়টা ঢাকায় কাটান বলিউডের এই মেগাস্টার। পূর্বাণী হোটেলের রান্নাঘরে কাজ করতেন ‘পদ্মশ্রী’ বিজয়ী এই অভিনেতা। তবে হোটেল কর্তৃপক্ষের কাছে হোটেলে তার কাজ করার সেই সময় কোনো অফিসিয়াল নথি নেই। পূর্বাণী হোটেলের হোটেল অ্যান্ড সেলস মার্কেটিং ম্যানেজার মহম্মদ মেহমুদ হোসেন বলেন, ‘হোটেলে এসে তার নাম বলেন রাজীব হরি। আমরা খুব কমই জানতাম যে তিনি একজন বিখ্যাত অভিনেতা হবেন। আমরা আমাদের নিয়মিত কর্মচারীদের মতোই তার সঙ্গে আচরণ করেছি। তবে আমরা যদি তার সম্পর্কে আরো তথ্য পেতাম খুব ভালো হতো। এটা অবশ্যই আমাদের ব্র্যান্ডিং বাড়ত।’ শেফ হিসেবে নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে কয়েকবার কথা বলেছেন অক্ষয় নিজেই। বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে তিনি ঢাকায় তার ক্যারিয়ারের কথাও উল্লেখ করেছেন। তবে তিনি কোথায় কাজ করেন তা কখনোই প্রকাশ করেননি।
পূর্বাণীতে তার কর্মজীবন ৬ মাসের ছিল। ঢাকার পর তিনি মুম্বাইয়ে স্থায়ীভাবে বাস শুরু করার আগে দিল্লিতে নেমে আসেন। কিছু অসফল চলচ্চিত্রে অভিনয় করার পর অক্ষয় অবশেষে ১৯৯২ সালে ‘খিলাড়ি’, একটি অ্যাকশন-থ্রিলার চলচ্চিত্র দিয়ে তিনি বড় ব্রেক পান। তখন থেকেই অক্ষয়ের সাফল্য ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে।

– মেলা ডেস্ক

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়