ঢাকায় কালো পতাকা মিছিল করতে পারেনি বিএনপি : গণঅধিকারের মিছিলে লাঠিচার্জ

আগের সংবাদ

রমজান ঘিরে অস্থির বাজার

পরের সংবাদ

শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্ব : অনন্য উচ্চতায় বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

গণতন্ত্রের মানসকন্যা শেখ হাসিনার হাত ধরে বাংলাদেশের রাজনীতি, অর্থনীতি এবং উন্নয়ন পৌঁছে গেছে এক অনন্য উচ্চতায়। বাঙালির আশা আকাক্সক্ষার একান্ত বিশ্বস্ত ঠিকানা, বাঙালির বিশ্বজয়ের স্বপ্ন সারথি, রাজনীতির উজ্জ্বলতম প্রভা, বিশ্ব পরিমণ্ডলে অনগ্রসর দেশ, জাতি, জনগোষ্ঠীর মুখপাত্র হয়ে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে পিতার মতো বলিষ্ঠ কণ্ঠে বাংলায় ভাষণ দিয়ে বিশ্বনন্দিত নেত্রী জননেত্রী থেকে বিশ্বনেত্রী শেখ হাসিনা। জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ’৭৫-পরবর্তী বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে খ্যাত। শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের অনেক প্রভাবশালী রাজনীতিবিদও এগুলো স্পর্শ করতে পারেননি। এ অর্জন অনন্য ও অতুলনীয়। বঙ্গবন্ধু তনয়া উন্নয়নের মহাসড়কে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তার অসামান্য দক্ষতা ও বিচক্ষণতার কারণে। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীনতার মহান স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য জ্যেষ্ঠ কন্যা স্বাধীন বাংলাদেশে পিতার মতোই সবচেয়ে সফল রাষ্ট্রনায়ক। গোপালগঞ্জের মধুমতিবিধৌত ছায়া সুনিবিড় টুঙ্গিপাড়ায় ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন আজকের সবচেয়ে সফল নেত্রী ও ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার শেখ হাসিনা। জন্মের পর তিনি দেখেছেন অকুতোভয় পিতার সংগ্রামী জীবন। তখন কে জানত এই সংগ্রামই তার সঙ্গী হবে জীবনজুড়ে। পিতা-মাতা, ভাই-বোন ও স্বজন হারানোর সীমাহীন বেদনাকে সঙ্গী করে তিনি অসীম সাহস ও প্রত্যয় নিয়ে লড়াই করেছেন গরিব দুঃখী মানুষের জন্য। বাংলার জনগণের মাঝেই খুঁজে নিয়েছেন স্বজনদের, দেশের মানুষের জন্য সঁপে দিয়েছেন জীবনের সবটুকু সময়, তিনি অবিরাম ছুটে চলেছেন জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে। তার সুদৃঢ় নেতৃত্বে দেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে অদম্য অগ্রযাত্রায় সততা, নিষ্ঠা, দেশপ্রেম ও সফল নেতৃত্বে।
তিনি টানা ৪২ বছর দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের সভাপতি। এটা সম্ভব হয়েছে তার দূরদর্শী নেতৃত্ব ও সততা কারণে। টানা চতুর্থবারের মতো সরকার পরিচালনা করছেন। ’৭৫-পরবর্তী সময়ে বিপন্ন গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করে দেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ইতিহাসের সঠিক ধারায় এনে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৩১টির বেশি আন্তর্জাতিক পদক ও স্বীকৃতি লাভ করেছেন এবং ৪০টির অধিক বই লিখেছেন। এটা তো কম কথা নয়। শত ব্যস্ততার মাঝেও সময় বের করে বই লেখা কজনের পক্ষে সম্ভব। বিস্ময়কর অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনের মাধ্যমে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুসহ অবকাঠামো উন্নয়নে এক নবজাগরণ ঘটিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। করোনা, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ-পরবর্তী যে বিশ্বমন্দার কালো ছায়া- সেখানে বাংলাদেশ টিকে আছে শেখ হাসিনার সফল ও মানবিক নেতৃত্বের কারণেই। ৫৭তম দেশ হিসেবে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটের সফল উৎক্ষেপণসহ বঙ্গবন্ধু-২ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের কাজ করেছেন সফলভাবে। মাথাপিছু আয় বাড়িয়েছেন। দেশের রিজার্ভকে সর্বকালের রেকর্ডে উন্নত করে ৪৮.৫ বিলিয়ন ডলারে নিয়ে গেছেন। বাংলাদেশকে বিশ্বের উন্নত দেশের কাতারে নিয়ে গেছেন যুগান্তকারী পদক্ষেপের কারণে। যোগাযোগ ও শিক্ষা, সমুদ্র বিজয়সহ দীর্ঘদিনের ছিটমহল সমস্যার সমাধান, পার্বত্য শান্তিচুক্তি, পারমাণবিক বিদ্যুৎযুগে প্রবেশ, কর্ণফুলী টানেল নির্মাণ, ওঈঞ ক্ষেত্রে অভাবনীয় উন্নয়নসহ সফলভাবে করোনা মোকাবিলা করে বিশ্বের বিস্ময় হিসেবে পরিগণিত হয়েছেন। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতাসহ বৃহত্তর কৃষির সব সেক্টরে এসেছে এক অভাবনীয় সাফল্য। সার সংকট মোকাবিলায় সফলতার পরিচয় দিয়েছেন। আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে তিনি লাখ লাখ গৃহহীন মানুষকে গৃহ দিয়েছেন তা বিশ্বে প্রশংসা পেয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই সফলতার পেছনে রয়েছে বেদনাবিধুর ইতিহাস, দুঃখ-কষ্টের দীর্ঘ সংগ্রামের সাহসী জীবন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ হত্যার পর ১৯৭১ সালের ১৭ মে স্বৈরাচারের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে, জীবনকে তুচ্ছ করে, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় দেশে ফিরেছেন। দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামে জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দেশের গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে ছুটে গিয়েছেন। ১৯৯৬ সালে সরকার গঠন করে কুখ্যাত ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিলসহ দেশে স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তিকে পুনঃপ্রতিষ্ঠাসহ যুগান্তকারী পরিবর্তন আনেন। বৈশ্বিক করোনা মহামারির মধ্যেও তিনি জীবন ও জীবিকার মধ্যে একটি সংমিশ্রণ করে জিডিপি গ্রোথ, রপ্তানিসহ মানুষের জীবনমান উন্নয়নে যে ভূমিকা রেখেছেন সমগ্র বিশ্ব আজ বিস্ময়ে দেখছে। অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি নারীর ক্ষমতায়ন, স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়ন, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী ব্যাপকভাবে সম্প্রসারণ, স্যানিটেশনসহ সব ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন আজ দৃশ্যমান। যার স্বীকৃতি দিয়ে চলছে বিশ্ব সম্প্রদায়ও। তার সফল ও ভিশনারি নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ স্বপ্ন দেখছে ২০৪১ সালের আগেই একটি উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ হওয়ার। রোহিঙ্গা সংকটের মতো মানবিক সংকট মোকাবিলায় তিনি মুন্সিয়ানার পরিচয় দিয়েছেন। সব কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে একদিকে যেমন প্রতিবেশী রাষ্ট্রসহ সব দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেছেন তেমনি দেশের স্বার্থ রক্ষায় বিশ্বসভায় জোরালো বক্তব্য তুলে ধরেছেন। নিয়েছেন কৌশলী পদক্ষেপ। তিনি নিজেকে সঁপে দিয়েছেন এ দেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে, জঙ্গিমুক্ত, সন্ত্রাসমুক্ত, মানবিক ও প্রযুক্তিনির্ভর প্রগতিশীল অসাম্প্রদায়িক উন্নত বাংলাদেশ গড়ার কাজে। তিনি জাতির পিতার অসমাপ্ত সেই কাজ সোনার বাংলা বিনির্মাণে আত্মনিয়োগ করেছেন। ভারতের পাশাপাশি চীন, জাপান, রাশিয়াসহ উন্নত দেশগুলোও আজ আমাদের উন্নয়ন সহযোগী। তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন দেশকে সঠিকভাবে পরিচালনা করতে হলে দেশকে জানতে হবে এবং সব বিষয়ই তথ্যসমৃদ্ধ হতে হবে। দেশকে ভালোবাসতে হবে হৃদয় দিয়ে। তাই আজ স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তি নিজেদের পরিশুদ্ধ এবং ঐক্য অত্যন্ত জরুরি। সামরিক স্বৈরশাসনামলেও কয়েকবার তাকে কারাভোগ ও গৃহবন্দি থাকতে হয়েছে। বারবার তার জীবনের ওপর ঝুঁকি এসেছে। অন্তত ১৯ বার তাকে হত্যার অপচেষ্টা চালানো হয়েছে। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে মানুষের অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক মুক্তির পাশাপাশি সব রকম শোষণ-বঞ্চনা, অন্যায়-অবিচার, জুলুমের বিরুদ্ধে সব সময় রাজনৈতিকভাবে সোচ্চার, প্রতিবাদী ভূমিকা রেখে এসেছেন। শেখ হাসিনার সততা, নিষ্ঠা, ঐকান্তিকতা, যুক্তিবাদী মানসিকতা, দৃঢ় মনোবল, প্রজ্ঞা ও অসাধারণ নেতৃত্ব বাংলাদেশকে বিশ্বপরিমণ্ডলে অন্যরকম উচ্চতায় প্রতিষ্ঠিত করেছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বৈরশাসনের অবসান, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা, বাঙালির ভাত ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় শেখ হাসিনার সৎ ও যোগ্য নেতৃত্বের ছায়াতলে দেশপ্রেম ও দৃঢ় মনোভাব নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে সবাইকে। সত্যিকারের সোনার বাংলা ধরা দেবে হাতের মুঠোয়। সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা বাংলা হবে ধন ধান্যে ফুলে ভরা সুখের এক নিরাপদ আবাসস্থল। পাখি গাইবে গান, নদী বয়ে যাবে প্রাণের উচ্ছ¡লতায়।

এস ডি সুব্রত : কবি ও লেখক, সুনামগঞ্জ।
[email protected]

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়