ঢাকায় কালো পতাকা মিছিল করতে পারেনি বিএনপি : গণঅধিকারের মিছিলে লাঠিচার্জ

আগের সংবাদ

রমজান ঘিরে অস্থির বাজার

পরের সংবাদ

শীতকালে প্রয়োজন বাড়তি সতর্কতা

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

শীতকাল মানেই মজার মজার পিঠা কাপড়ের অতিরিক্ত ঝামেলা! আবার কারো কারো কাছে অসুখ-বিসুখ আর নানা অসুবিধা। আর তাই শীতকালীন রোগবালাইয়ে সুস্থ থাকতে চাই বাড়তি সতর্কতা। এই সময়টাতে মানুষ তুলনামূলকভাবে একটু বেশিই অসুস্থ থাকে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের জন্য এই সময়টা বেশ জটিলতা তৈরি করে। ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে গেলে অনেকের ত্বকে র‌্যাশ, সোরিয়াসিস কিংবা ড্রাই একজিমার সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাছাড়া শ্বাসকষ্ট, অ্যাজমা, সিওপিডি অ্যাজমা, শ্বাসকষ্ট, সিওপিডি-জাতীয় শ্বাসকষ্টের রোগগুলো শুধু শীতকালীন রোগ না হলেও শীতে এসব রোগের প্রকোপ কিছুটা বেড়ে যায়। শীতে ত্বকের সমস্যা থেকে বাঁচতে ধরন অনুযায়ী ক্রিম, লোশন, পেট্রোলিয়াম জেলি, গিøসারিন, ময়েশ্চারাইজার ইত্যাদি ব্যবহার করুন। খাদ্যতালিকায় রাখুন উপকারী ভিটামিন ‘সি’, ‘এ’ ইত্যাদি খাবার। বেশিক্ষণ রোদে থাকবেন না এবং কড়া আগুনে তাপও পোহাবেন না। গোসলের সময় পানিতে কয়েক ফোঁটা জোজোবা বা বাদামের তেল দিয়ে নিলে তা ত্বককে আর্দ্র ও মসৃণ করতে সহায়তা করে। গোসলের পর এবং প্রতিবার মুখ ধোয়ার পর ভেজা অবস্থায় ময়েশ্চারাইজার বা লোশন ব্যবহার করুন। কখনোই জিব দিয়ে ঠোঁট ভেজানো উচিত নয়। কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল মধুর সঙ্গে মিশিয়ে ঠোঁটে লাগালে ঠোঁট কখনোই ফেটে যাবে না।
শিশুকে কোলে নেয়ার আগে আপনার হাতগুলো জীবাণুমুক্ত করে নিন এবং অন্যদেরও সেটি করার পরামর্শ দিন। জীবাণুগুলো থেকে দূরে রাখতে, আপনার শিশুকে জনবহুল জায়গাগুলোতে নিয়ে যাওয়া এড়ান এবং ঠাণ্ডা লেগে থাকা ব্যক্তিদের থেকে তাকে দূরে রাখুন। শিশু, বয়স্ক ও বিভিন্ন রোগে আক্রান্তদের এটি হওয়ার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি। হাইপোথার্মিয়া হলে শরীর ধীরে ধীরে ঠাণ্ডা হয়ে আসে। শরীরে তাপ উৎপাদন কম হওয়ায় হাত-পা কুঁকড়ে যায়, এমনকি শরীর অবশ হয়ে আসতে থাকে। এজন্য পর্যাপ্ত গরম কাপড়সহ হাতমোজা, পায়ের মোজা পরতে হবে। গরম পানি পান ও গরম খাবার খেতে হবে। রুম গরম রাখতে আগে থেকেই রুম হিটারের ব্যবস্থা রাখা যেতে পারে।
শীতকালে জলবায়ু রুক্ষ ও শুষ্ক হওয়ার কারণে আমাদের ত্বক ফাটে। তাই ত্বক ভালো রাখতে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা উচিত। বিভিন্ন কোমল পানীয় পরিহার করে ভেষজ চা পান করুন। বেশি পরিমাণে ফাইবারযুক্ত খাবার খান। এ সময় মিষ্টি খাবার যেমন- কেক, সিরিয়াল, বাজারজাত জুস, কোমল পানীয়, উচ্চমাত্রার চিনি দিয়ে তৈরি খাবার বেশি খেলে অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। শীতের সময় সব ধরনের ভাজা ও হিস্টামিনযুক্ত খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত।

তৌফিক সুলতান : ইন্টার্ন শিক্ষার্থী, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
[email protected]

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়