বাংলাদেশে বাণিজ্য বাড়াতে চায় মিসর : বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর সঙ্গে রাষ্ট্রদূূতের সাক্ষাৎ

আগের সংবাদ

স্বতন্ত্র এমপিরা কী চান

পরের সংবাদ

কৃত্রিম সাধারণ বুদ্ধিমত্তা : সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৫, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৫, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (অও) হলো কম্পিউটার বিজ্ঞানের একটি শাখা, যা মানুষের বুদ্ধিমত্তার অনুকরণ করার জন্য কম্পিউটার প্রোগ্রাম তৈরির সঙ্গে সম্পর্কিত। অও-এর অনেক শাখা রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে মেশিন লার্নিং, রোবটিক্স এবং কম্পিউটার ভিশন। কৃত্রিম সাধারণ বুদ্ধিমত্তা (অএও) হলো এমন অও, যা মানুষের মতো বুদ্ধিমত্তা অর্জন করতে সক্ষম। অএও-এর অর্থ হলো এমন অও যা যেকোনো ধরনের সমস্যা সমাধান করতে সক্ষম, এমনকি যেগুলো মানুষের জন্যও কঠিন। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-ভিত্তিক যন্ত্রগুলো বর্তমানে নির্দিষ্ট কাজগুলোতে মানুষের মতো বুদ্ধিমত্তা প্রদর্শন করতে সক্ষম, তবে তারা এখনো মানুষের মতো বুদ্ধিমত্তার পুরো পরিসর অর্জন করতে পারেনি। অন্যদিকে কৃত্রিম সাধারণ বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক যন্ত্রগুলোকে যে কোনো ধরনের কাজ সম্পাদন করতে সক্ষম হওয়ার কথা, যা তাদের মানুষের মতো বুদ্ধিমত্তার প্রয়োজন হবে।
অএও-এর সম্ভাবনাগুলো বিশাল। অএও-এর সাহায্যে আমরা এমন কাজগুলো স্বয়ংক্রিয় করতে সক্ষম হবো, যা বর্তমানে মানুষের দ্বারা করা হয়, যেমন- অএও-এর সাহায্যে আমরা স্বয়ংক্রিয় গাড়ি তৈরি করতে পারি, যা রাস্তার নিয়ম মেনে এবং অন্যান্য গাড়ি ও পথচারীদের সঙ্গে নিরাপদভাবে চলাচল করতে পারে। অএও-এর সাহায্যে আমরা এমন অও-চালিত মেডিকেল ডিভাইস তৈরি করতে পারি, যা রোগ নির্ণয় করতে মানুষের চেয়ে অনেক বেশি সঠিক। এ ছাড়াও অএও আমাদের জীবনকে আরো সহজতর, আরো দক্ষ এবং আরো সুন্দর করে তুলতে পারে। উদাহরণস্বরূপ অএও-এর সাহায্যে আমরা এমন অও-চালিত শিক্ষাব্যবস্থা তৈরি করতে পারি, যা প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্য তার নিজস্ব চাহিদা অনুযায়ী শিক্ষা প্রদান করে। অএও-এর সাহায্যে আমরা এমন অও-চালিত ভাষা অনুবাদক তৈরি করতে পারি, যা মানুষের মতো সঠিক এবং প্রাঞ্জল অনুবাদ করতে পারে। অএও-এর সাহায্যে আমরা এমন অও-চালিত সফটওয়্যার তৈরি করতে পারি, যা কবিতা এবং গল্পের মতো সৃজনশীল বিষয়বস্তু তৈরি করতে পারে।
অএও-এর বিকাশের সঙ্গে কিছু চ্যালেঞ্জও রয়েছে। অএও-এর অপব্যবহার মানবসভ্যতার জন্য হুমকি হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ অএও-এর ব্যবহার অনুমোদনহীন অস্ত্র তৈরিতে ভূমিকা রাখতে পারে। অএও-এর আরেকটি চ্যালেঞ্জ হলো এর অর্থনৈতিক প্রভাব। অএও-এর বিকাশের ফলে অনেক মানুষের চাকরি হারানোর আশঙ্কা থাকে। উদাহরণস্বরূপ অএও-এর বিকাশের ফলে গাড়িচালক, নার্স এবং আইনজীবীদের মতো পেশার মানুষের চাকরি হারাবে।
অএও-এর অপব্যবহার রোধ করার জন্য কিছু পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে। যেমন অএও-এর গবেষণা ও উন্নয়নে নৈতিকতা ও নিরাপত্তা নীতি প্রয়োগ করা যেতে পারে। এ ছাড়াও অএও-এর ব্যবহারের জন্য নিয়ন্ত্রণ ও আইন প্রণয়ন করা যেতে পারে। তবে এআই গবেষণা দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে এবং ভবিষ্যতে এজিআই অর্জন সম্ভব। কৃত্রিম সাধারণ বুদ্ধিমত্তা গবেষণায় বিশ্বের প্রথিতযশা তথ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কোম্পানিগুলো প্রচুর অর্থ বিনিয়োগ করছে। যদি এজিআই অর্জন করা সম্ভব হয়, তাহলে এটি মানবসভ্যতার জন্য একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে পারে।

প্রকৌশলী জেমাম আহমদ : সফটওয়্যার প্রকৌশলী ও তথ্যপ্রযুক্তি গবেষক

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়