প্রকাশিত: জানুয়ারি ১১, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১১, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
কাগজ ডেস্ক : জাপান বিশ্বের সবচেয়ে ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকাগুলোর একটি। প্রায়ই দেশটিতে এ প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির কারণ হয়। বড় ভূমিকম্পের কারণে একাধিকবার সুনামিতেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জাপান। তবে সব প্রতিকূলতাকে মোকাবিলা করে টিকে থাকতে জাপানের মানুষ সবসময়ই দেখিয়েছেন অদম্য সাহস। ভূমিকম্পের বিষয়টি মাথায় রেখে দেশটিতে নির্মাণ করা হয়েছে নানা স্থাপনা।
গত সোমবার জাপানের পশ্চিম উপকূলের ইশিকাওয়া এলাকায় আঘাত হানে ৭ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্প। কর্তৃপক্ষ বলছে, এতে ক্ষয়ক্ষতির পুরো চিত্র এখনো জানা যায়নি। ওই অঞ্চলের কমপক্ষে ২৭০টি বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে। তবে প্রকৃত সংখ্যা আরো বেশি বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভূমিকম্পের কেন্দ্র থেকে মাত্র ২০ মাইল দূরে ২৭ হাজারের বেশি মানুষের শহর সুজু বা ওয়াজিমার ক্ষয়ক্ষতি এতে উল্লেখ করা হয়নি। সেখানে ২০০টি ভবন ধসে পড়েছে।
ইউনিভার্সিটি অব টোকিওর ভূমিকম্পবিদ্যার ইমেরিটাস অধ্যাপক রবার্ট গেলার বলেন, ভূকম্পনে ইশিকাওয়ার অপেক্ষাকৃত কম ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সিএনএনকে তিনি বলেন, আধুনিক ভবনগুলো বেশ ভালো করছে। তবে যেসব পুরনো ভবনের উপরে কাদামাটির টাইলসের ছাদ, সেগুলো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অধিকাংশ বাড়িঘর ক্ষয়ক্ষতি হলেও ধসে পড়েনি। প্রবাদ আছে, ভূমিকম্প মানুষকে হত্যা করে না, করে ভবন। বিশ্বে অন্যতম ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকাটিতে প্রকৌশলী, স্থপতি ও নগর পরিকল্পনাবিদরা দীর্ঘদিন ধরে দুর্যোগ-নিরোধ শহর নির্মাণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। অতীতের অভিজ্ঞতা, আধুনিক আবিষ্কার ও সতত পরিবর্তনশীল ভবন কোডকে কাজে লাগিয়ে তারা এটা করছেন।
, যাতে প্রবল ভূকম্পনের মধ্যেও এগুলো টিকে থাকতে পারে। এক্ষেত্রে আকাশচুম্বী ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে নিচে ব্যবহার করা হয় বিশাল আকারের ডাম্পার, যা ভূমিকম্পের সময় ভবনকে এদিক ওদিন দুলতে সহায়তা করে।
শেয়ার করুন
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।