ভোটের মাঠে ক্রীড়া ব্যক্তিত্বদের জয়জয়কার

আগের সংবাদ

কেমন হবে ‘স্মার্ট’ মন্ত্রিসভা

পরের সংবাদ

ফুটবল বিশ্বের ভবিষ্যৎ চালক হল্যান্ড

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৯, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৯, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটিকে ট্রেবল জেতানো তরুণ স্ট্রাইকার আর্লিং হলান্ডকে কে না চেনে! নওরেজিয়ান এই তারকা ফুটবলারকে ধরা হয় ভবিষ্যৎ ফুটবলের মেসি-রোনালদো। সম্প্রতি নতুন এক কৃতিত্ব গড়লেন হলান্ড। আইএফএফএইচএস প্রকাশিত ২০২৩ সালের বর্ষসেরা ফুটবলারের তালিকায় লিওনেল মেসি, ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো, কিলিয়ান এমবাপ্পের মতো তারকাদের পেছনে ফেলে হন ৬ বছরের সেরা খেলোয়াড়। প্রথম কোনো নওরেজিয়ান ও ম্যানচেস্টার সিটির খেলোয়াড় হিসেবে এই স্বীকৃতি পেলেন তিনি। চূড়ান্ত ভোটের পর হলান্ডের ধারেকাছেও ছিলেন না কেউ। তিনি পেয়েছেন ২০৮ পয়েন্ট। এছাড়া এই বছর হলান্ডের গোলসংখ্যা ৫০, যা এই ক্যালেন্ডারের তৃতীয় সর্বোচ্চ।
পুরো নাম আর্লিং ব্রাউত হলান্ড। ২০০০ সালের ২১ জুলাই ইংল্যান্ডের লিডসে জন্ম তার। শৈশবও সেখানেই অতিবাহিত করেন। ১৯৯৩ থেকে ২০০৩ সময়ে ইংল্যান্ডের ফুটবলে খেলেছেন আর্লিং হলান্ডের বাবা আলফি হলান্ড। নটিংহাম ফরেস্ট, লিডস ইউনাইটেডের পর সর্বশেষ তিনি খেলেছেন ম্যানচেস্টার সিটিতে। পশ্চিম ইয়র্কশায়ারে থাকার সময়ই জন্ম হয় ছেলে আর্লিংয়ের। আর্লিং হলান্ড চাইলে জন্মসূত্রে ইংল্যান্ড দলে খেলতে পারতেন। কিন্তু বাবা আলফির মতো তিনিও জাতীয় দল হিসেবে বেছে নিয়েছেন নরওয়েকে। বাবা স্থানীয় ক্লাব লিডসে খেললেও আর্লিং হলান্ড ছোটবেলা থেকে বেড়ে উঠেছেন ম্যানচেস্টার সিটির সমর্থক হিসেবে। শুধু বাবাই নন, হলান্ডের মাও ছিলেন একজন অ্যাথলেট। বাবা আলফি ফুটবলার আর মা মারিটা ব্রুট হেপ্টাথ্যালেট। ছোটবেলায় হলান্ড অনেক ধরনের খেলাই খেলতেন হলান্ড। তার গড়া একটি বিশ্ব রেকর্ড এখনো অক্ষত আছে। ২০০৬ সালের ২২ জানুয়ারি ৫ বছর বয়সে হাই জাম্পে ১ দশমিক ৬৩ মিটার পার করেছিলেন হলান্ড। পাঁচ বছর বয়স পর্যন্ত হাই জাম্পে এটা এখনো কেউ ভাঙতে পারেননি। শৈশবে হলান্ড শুধু যে অ্যাথলেটিকসেই প্রতিভার প্রমাণ রেখেছিলেন তা নয়। হলান্ডের বাবা এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘ফুটবল খেলতে শুরু করার আগে ওকে আমরা অ্যাথলেটিকসে নিয়ে যেতাম। কারণ ছিল ও যেন নিজেকে পরীক্ষা করে নিতে পারে। ১৪ বছর বয়স পর্যন্ত আর্লিং হ্যান্ডবল, অ্যাথলেটিকস এবং ক্রসকান্ট্রি স্কিইং খেলত। নরওয়ের হ্যান্ডবল কোচ চেয়েছিলেন, সে হ্যান্ডবল খেলুক।’ হলান্ডের চ্যাম্পিয়নস লিগ যাত্রাটি অসাধারণ। নরওয়ে আর ব্রাইন ও মল্ডের হয়ে দারুণ খেলার পর ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে রেড বুল সালজবুর্গে নাম লেখান। ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলে নিজের প্রথম ম্যাচেই হ্যাটট্রিক করেন হলান্ড। চ্যাম্পিয়নস লিগ অভিষেকে হ্যাটট্রিক করা দশম খেলোয়াড় হয়ে যান তিনি। গোল পাওয়ার প্রবাহটা তার চলতেই থাকে।
য় সোহানুর রহমান
চ্যাম্পিয়নস লিগে নিজের প্রথম ৫টি ম্যাচেই গোল করা চতুর্থ খেলোয়াড় বনে যান হলান্ড। সেই থেকে ক্ষুরধার পারফরম্যান্স দিয়ে নিজের জাত চিনিয়ে চলেছেন আর্লিং হলান্ড।

:: সোহানুর রহমান

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়