আইজিপি : নির্বিঘ্নে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন

আগের সংবাদ

সুষ্ঠু নির্বাচনে জনগণের বিজয় > সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্য বিনিময় : ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ে তোলাই এখন লক্ষ্য

পরের সংবাদ

পাইকগাছায় ভোট দিয়েছেন অনেক শতবর্ষী নারী

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৮, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৮, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

তৃপ্তি রঞ্জন সেন, পাইকগাছা (খুলনা) থেকে : জীবনে আর ভোট দিতে পারব কিনা জানি না। সে কারণে ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে এসেছি ভোট দিতে। এমনটিই বলছিলেন ১১৮ বছরের টুপি বিবি। গতকাল রবিবার ছিল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হলে খুলনা-৬ আসনের পাইকগাছা উপজেলার আগড়ঘাটা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে শিলেমানপুর গ্রামের টুপি বিবি আসেন সকাল ৯টার দিকে ভোট দেয়ার জন্য। সকাল থেকে প্রচণ্ড ঠাণ্ডা ও হালকা কুয়াশাচ্ছন্ন ছিল পরিবেশ। কিন্তু সেই ঠাণ্ডা ও কুয়াশাকে উপেক্ষা করেই তিনি আসলেন ভোট কেন্দ্রে।
এত বয়সে কেন ভোট দিতে এসেছেন এ প্রতিনিধি জানতে চাইলে তিনি জানান, জীবনে আর কখনো ভোট দিতে পারব বলে মনে হয় না। বয়স এখন ১১৮ বছর। আর কতদিনইবা বাঁচব। ৫ বছর পর পর হয় রাজার ভোট, সরকার পরিবর্তনের ভোট। এখান থেকে আগামী ৫ বছর পরে হবে আবার রাজার ভোট। ততদিন হয়ত এই পৃথিবীতে থাকব না। রাজার ভোটের অনেক মূল্য। সেই কারণেই এসেছি ভোট দিতে। ভোট দেয়ার পরে জানান শান্তি পূর্ণ ও সুন্দর পরিবেশে তিনি তার মূল্যবান ভোটটি দিতে পেরেছেন। কোথায়ও কোনো অসুবিধা হয়নি। এমনকি কেউ তাকে কোথায়ও বাধা দেয়নি। এমন ভালো পরিবেশে ভোট দিতে পেরে তিনি শেখ মুজিবের মেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। একই কেন্দ্রে মালত গ্রামের ৯০ বছর বয়সি জাহিদা বেগমও আসেন সকালের ঠাণ্ডা উপেক্ষা করে তার মূল্যবান ভোট দেয়ার জন্য। তিনিও জানান শরীর ভালো না এটাই হয়তো তার শেষ ভোট। সে কারণে তিনি এসেছেন তার মূল্যবান ভোটটি দিতে। বেলা ১১টার দিকে উপজেলার গদাইপুরের মেলেক পুরাইকাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে আসেন মারাত্মক অসুস্থ চরমলই গ্রামের শরবানু বেগম। তার বয়স ১০০ বছর। তেমন একটা কথা বলতে পারেন না। কানে কম শোনেন এবং চোখেও ভালো দেখতে পাননা। মোটর ভ্যানযোগে কেন্দ্রে এসেছেন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। এসেছেন জীবনের শেষ ভোট দেয়ার জন্য। একা চলাচল করার সক্ষমতা নেই তার। ভ্যান থেকে একজন মহিলা তাকে কোলে করে ভোটকেন্দ্রে নিয়ে আসেন। সাংবাদিকদের ছবি তুলতে গেলে বলেন আমার ছবি তুলে কি হবে। যখন বলা হলো ছবিটি সংবাদপত্রে ছাপা হবে তখন বললেন বাবা তোমরা একটু ভালো করে ছবি তুলবে। আর হয়তো বেশি দিন বাঁচব না। কিন্তু ছবিটা থাকবে। উপজেলার বিভিন্ন ভোট কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে অনেকে মারাত্মক অসুস্থ, বয়স একশত ছু্ইঁ ছুঁই এদেরও সরব উপস্থিতি ছিল কেন্দ্রগুলোতে। তারা সবাই এসেছেন তাদের মহামূল্যবান ভোট দিতে। উপজেলার বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে সকাল থেকে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটকেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের সরব উপস্থিতি।
সকাল থেকে ১১টা পর্যন্ত ভোট কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতি উল্লেখযোগ্য থাকলেও এরপর থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত প্রায় কেন্দ্রগুলো ফাঁকা ছিল। আবার ২টার পর থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোটার উপস্থিতি অনেকাংশে বেড়ে যায়। ভোট গ্রহণের শেষ পর্যন্ত উপজেলার কোথায়ও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি বলে সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আল আমিন জানিয়েছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়