চলে গেলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা কৃষ্ণা রহমান

আগের সংবাদ

বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে কঠোর ইসি : তিন শতাধিক প্রার্থীকে শোকজ > কয়েকজনকে জরিমানা > মামলা ৩ প্রার্থীর বিরুদ্ধে

পরের সংবাদ

পর্যটন সম্ভাবনাময় জেলা পঞ্চগড়

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ডিসেম্বর ২৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

হিমালয়ের কন্যা নামে খ্যাত সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়। এই জেলায় পাঁচটি গড়ের স্পষ্ট অবস্থান রয়েছে; ধারণা করা হয় এই পাঁচ গড় থেকেই পঞ্চগড় নামকরণ করা হয়। রংপুর বিভাগের এই জেলাটি ১৯৮৪ সালে মহকুমা থেকে জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশের চরম উত্তরে পঞ্চগড় জেলা অবস্থিত এবং জেলাটির তিন দিকেই ভারতের দীর্ঘ সীমান্ত দ্বারা আবদ্ধ। মহান মুক্তিযুদ্ধে এই জেলার বর্তমান চার থানা পাকিস্তান হানাদার দখলে নেয়। কিন্তু পঞ্চগড় থেকে তেঁতুলিয়াগামী মহাসড়কে চাওয়াই নদীর ওপরের সেতু (অমরখানা ব্রিজ) উড়িয়ে দেয়ায় তারা তেঁতুলিয়ায় ঢুকতে পারেনি। ফলে মুক্তিযুদ্ধের পুরো সময়জুড়ে তেঁতুলিয়া মুক্ত ছিল। অস্থায়ী সরকারের অনেক গুরুত্বপূর্ণ সভা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়াতেই অনুষ্ঠিত হয়েছিল। মুক্তাঞ্চল হিসেবে সে সময় তেঁতুলিয়া সব কর্মকাণ্ডের জন্য স্বাধীনতার তীর্থক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল। তাই ঐতিহাসিক ও কৌশলগতভাবে জেলাটির বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে এবং পঞ্চগড় একটি সম্ভাবনাময় ও উন্নয়নশীল জেলা।
কাঞ্চনজঙ্ঘা বিশ্বের তৃতীয় সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ। কাঞ্চনজঙ্ঘার রাজকীয় চূড়া ভারতের সিকিম ও নেপাল সীমান্তে অবস্থিত, যা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া থেকে প্রায় ১৬০ কিলোমিটার দূরে হলেও শীতের শুরুতে যখন আকাশ মেঘ ও কুয়াশামুক্ত থাকে; তখন পঞ্চগড় জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে খালি চোখেই এই পর্বতশৃঙ্গের অপরূপ সৌন্দর্য অবলোকন করা যায়। পঞ্চগড় জেলা একটি চিত্তাকর্ষক এবং বৈচিত্র্যময় স্থান। এই জেলার মহানন্দা ও করতোয়াসহ প্রভৃতি নদী থেকে মানুষ দল বেঁধে বিশেষ উপায়ে মাছ ধরার মতো করে পানি ছেঁকে উন্নতমানের নুড়ি পাথর সংগ্রহ করে। এই দৃশ্য পর্যটকদের আকৃষ্ট করে। পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার বিভিন্ন জায়গায় হরেক রকমের পাথর পর্যটকদের এক অন্য জগতে নিয়ে যায়। আর বাংলাদেশের একমাত্র রকস মিউজিয়াম (পাথরের জাদুঘর) এই পঞ্চগড়েই অবস্থিত। প্রকৃতিপ্রেমীরা নিজ চোখে চা বাগান দেখতে মৌলভীবাজার বা সিলেট ভ্রমণে বেরিয়ে পড়ে। তবে একমাত্র সমতলভূমির চা বাগান রয়েছে পঞ্চগড় জেলায়। বাংলাবান্ধা দেশের সর্ব উত্তরের জায়গা এবং দেশের অন্যতম স্থলবন্দর, যা বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে অবস্থিত। এটিই দেশের একমাত্র স্থলবন্দর- যেটি বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটান চারটি দেশকে পণ্যসামগ্রী আদান-প্রদানের সুবিধা দিয়ে থাকে। তবে তা যথেষ্ট নয়। ভ্রমণপিপাসুদের আকৃষ্ট করতে আরো নতুনভাবে পিকনিক স্পট, আবাসিক হোটেল, মোটেল, পুরাতন স্থাপনার সংস্কার ও নতুন করে দৃষ্টিনন্দনের জন্য কাজ করতে হবে। পর্যটকদের নিরাপদে ঘোরাঘুরি করতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো জোরদার করতে হবে।

বরকত আলী : শিক্ষার্থী, দিনাজপুর সরকারি কলেজ, দিনাজপুর।
[email protected]

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়