ডিএমপি কমিশনার : নির্বাচন ঘিরে সৃষ্টি করা হচ্ছে নাশকতার পরিবেশ

আগের সংবাদ

দুই শতাধিক আসনেই মূল প্রতিদ্ব›দ্বী আ.লীগের ‘স্বতন্ত্র’

পরের সংবাদ

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা : ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে কোভিডের নতুন ভ্যারিয়েন্ট

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ডিসেম্বর ২৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : করোনা ভাইরাসের অমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের একটি উপধরন ‘জেএন.১’ দ্রুত ব্যাপকভাবে বিস্তার লাভ করায় একে গুরুত্বপূর্ণ বলে চিহ্নিত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। নতুন এই ধরনটি ভারত, চীন, যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের অনেক দেশে পাওয়া গেছে। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, মানুষের মধ্যে এখনো এতে সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি কম। এছাড়া বর্তমানে প্রচলিত টিকার মাধ্যমেও এর থেকে সুরক্ষা পাওয়া সম্ভব। কিন্তু সংস্থাটি হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেছে, এই শীতকালে কোভিড ও অন্যান্য সংক্রমণ বাড়তে পারে। বিবিসি এ খবর দিয়েছে।
সা¤প্রতিক সময়ে বিভিন্ন দেশে ফ্লু, রেসপিরেটরি সিনসাইটিয়াল ভাইরাস (আরএসভি) এবং নিউমোনিয়াসহ শ্বাসতন্ত্রের অন্যান্য রোগ বাড়ছে। যে ভাইরাসের কারণে কোভিড হয় সেটি ক্রমাগত পরিবর্তিত হচ্ছে এবং অনেক সময় এর কারণে নতুন ভ্যারিয়েন্টের উদ্ভব হচ্ছে। বেশ কিছুদিন ধরেই বিশ্বজুড়ে অমিক্রন ভ্যারিয়েন্টটি সবচেয়ে বেশি সংক্রমিত করেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জেএন.১ ভ্যারিয়েন্টসহ বর্তমানে অমিক্রন সংশ্লিষ্ট এমন গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে কাজ করছে। যদিও এগুলোর মধ্যে কোনটিই এখনো পর্যন্ত উদ্বেগের কারণ হয়নি। তবে জেএন.১ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র-সিডিসির তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে এই ভ্যারিয়েন্টটি বর্তমানে সবচেয়ে দ্রুত ছড়িয়ে পড়া ভ্যারিয়েন্ট। যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ১৫-২৯ শতাংশ সংক্রমণই এখন এর কারণে হচ্ছে।
যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য সুরক্ষা সংস্থা বলছে, ল্যাবে ধরা পড়া কোভিড পজিটিভ ঘটনার মধ্যে প্রায় সাত শতাংশ হচ্ছে জেএন.১ এর কারণে। সংস্থাটি বলছে, এই তথ্য এবং অন্যান্য ভ্যারিয়েন্ট সম্পর্কিত তথ্যগুলো পর্যবেক্ষণ করা চালিয়ে যাবে তারা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, জেএন.১ সব এলাকায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে, কারণ বিএ.২.৮৬ ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় এর স্পাইক প্রোটিনে একটি অতিরিক্ত মিউটেশন রয়েছে। যদিও নতুন এই ভ্যারিয়েন্টের উৎপত্তি বিএ.২.৮৬ ভ্যারিয়েন্ট থেকে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘ধারণা করা হচ্ছে যে, এ ভ্যারিয়েন্টটি অন্যান্য ভাইরাল ও ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের সঙ্গে সঙ্গে সার্স-কভ-২ (করোনা ভাইরাসের) এর সংক্রমণ বাড়াতে পারে। বিশেষ করে যে দেশগুলোতে শীতকাল শুরু হচ্ছে সেখানে এর সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।’
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, টিকা দেয়ার ফলে যে দেহে সুরক্ষা তৈরি হয়েছে সেটি ভাঙতে এই জেএন.১ ভ্যারিয়েন্ট কতটা সক্ষম, সে সম্পর্কিত তেমন কোনো প্রমাণ নেই। এছাড়া মানুষকে আগের ভ্যারিয়েন্টগুলোর তুলনায় এটি আরো বেশি অসুস্থ করে তোলে কিনা তারও কোনো তথ্য নেই। মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর এর প্রভাব কেমন হয় তা বুঝতে আরো বেশি গবেষণা দরকার।
কারণ কোভিড আক্রান্ত হয়ে মানুষের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার তথ্য দেয়ার হার বিভিন্ন দেশে নাটকীয়ভাবে কমে গেছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়