গণজাগরণের সাংস্কৃতিক উৎসব : রবীন্দ্র-নজরুলের সুরে মঞ্চ মাতালেন শিল্পীরা

আগের সংবাদ

শিল্পায়ন-কর্মসংস্থানের রোডম্যাপ : স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট ইশতেহার > ২৭ ডিসেম্বর ঘোষণা করবেন শেখ হাসিনা

পরের সংবাদ

রূপগঞ্জে আ.লীগের দুই গ্রুপের সশস্ত্র সংঘর্ষ : দোকান ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ডিসেম্বর ২২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি : রূপগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুগ্রুপের সশস্ত্র মহড়া, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় এক পক্ষের দোকানপাট ভাঙচুর ও লুটপাট করার অভিযোগ উঠেছে। সশস্ত্র সংঘর্ষের ঘটনায় জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৮ জনকে আটক করেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৭টার দিকে উপজেলার কাঞ্চন পৌরসভার কাঞ্চন বাজারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কাঞ্চন পৌর এলাকায় রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রসূল কলির সঙ্গে পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আব্দুর রহিম লিটুর দীর্ঘদিন ধরেই বিরোধ চলে আসছে। প্রায় সময়ই দুগ্রুপের লোকজন ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, হামলা ও সংঘর্ষে জড়ায়। আসন্ন সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নৌকা প্রতীকের পক্ষে প্রচার-প্রচারণায় দুগ্রুপই মাঠে রয়েছে। এখানে উভয় গ্রুপ পেশিশক্তি দেখাতে এবং গ্রুপের লোকের সংখ্যা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে এক গ্রুপ আরেক গ্রুপের লোকজনকে বিভিন্ন কৌশলে এবং বিভিন্নভাবে ম্যানেজ করে টেনে আনছে। এসব বিষয় নিয়ে ইদানীং চরম বিরোধ চলছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৭টার দিকে আব্দুর রহিম লিটুর লোকজন রামদা, চাপাতি, চাইনিজ কুড়ালসহ বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে প্রকাশ্য দিবালোকে কাঞ্চন বাজারে গোলাম রসুল কলির ছোট ভাই নূর হোসেনের মুসলিম সুইটস অ্যান্ড হোটেল নামের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। এ সময় পুরো বাজার এলাকায় ব্যবসায়ী এবং ক্রেতাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ করে বাজার এলাকা ত্যাগ করে চলে যান। একপর্যায়ে গোলাম রসুল কলির লোকজন এসে প্রতিবাদ করলে দুপক্ষ ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। আহতদের স্থানীয় ও ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরে ঘটনাস্থলে ভোলাবো তদন্তকেন্দ্রের পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তারা ৮ জনকে আটক করেছে।
ভুক্তভোগী নুর হোসেন বলেন, কোনো কারণ ছাড়াই আব্দুর রহিম লিটুর সন্ত্রাসী বাহিনী আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এসে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে এবং টাকা ও মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কাঞ্চন বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ী অভিযোগ করে জানান, তারা এসব সন্ত্রাসী গ্রুপের কারণে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। কয়েকদিন পরপরই বিভিন্ন আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বাজার এলাকায় সশস্ত্র মহড়া ধাওয়া- পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটায়। এতে ব্যবসায়ী এবং বাজারে আগত ক্রেতারা সবসময় আতঙ্কে থাকে।
রূপগঞ্জ থানার ওসি দীপঙ্কর সাহা বলেন, এ ঘটনায় রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত উভয় গ্রুপের আটজনকে আটক করা হয়েছে। আরো আটকের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়