গণজাগরণের সাংস্কৃতিক উৎসব : রবীন্দ্র-নজরুলের সুরে মঞ্চ মাতালেন শিল্পীরা

আগের সংবাদ

শিল্পায়ন-কর্মসংস্থানের রোডম্যাপ : স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট ইশতেহার > ২৭ ডিসেম্বর ঘোষণা করবেন শেখ হাসিনা

পরের সংবাদ

ডিএসকে কনসোর্টিয়াম : বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আইনের প্রয়োগ করতে হবে

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ডিসেম্বর ২২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : পরিবেশের দূষণ রোধে অনেক শক্তিশালী আইন আছে। কিন্তু এসব আইনের প্রয়োগ ও বাস্তবায়ন নেই। সম্প্রতি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আইনও পাস করা হয়। তবুও নগরীতে সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা হচ্ছে না।
পরিবেশ আরো বেশি দূষিত হচ্ছে। ফলে বয়স্ক ও শিশুরা শ্বাসতন্ত্রীয় রোগ, হৃদরোগ, ডায়রিয়া, অ্যালার্জিসহ নানা ধরনের চর্মরোগ ও অপুষ্টিজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তাই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও বর্জ্যকে সম্পদে রূপান্তরে নির্বাচনী অঙ্গীকারে দাবি তোলে ডিএসকে কনসোর্টিয়াম (দুস্থ স্বাস্থ্যকেন্দ্র কনসোর্টিয়াম, বারসিক, কাপ ও ইনসাইটস)।
গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি তোলা হয়। সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এজাজ হোসেন বলেন, বর্জ্যকে সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে জৈব সারে পরিণত করা যায়। পুড়িয়ে বর্জ্য ধ্বংস করা সঠিক পদ্ধতি নয়। দুর্বল কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির ফলে মিথেন জাতীয় গ্যাসের নির্গমন বৃদ্ধি পেয়ে জীববৈচিত্র্যের জন্য চরম বিপর্যয় সৃষ্টি করবে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক প্রকৌশলী আব্দুস সোবহান বলেন, কঠিন বর্জ্য সারাদেশের সমস্যা। ৫২ বছরেও এখনো কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা হয়নি। বাংলাদেশে অনেক শক্তিশালী আইন আছে। কিন্তু মানা হয় না। নির্বাচনে প্রার্থীদের কাছ থেকে কার্যকরী বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অঙ্গীকার আদায় করতে হবে।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী বলেন, আমরা উন্নয়নটা একটি অংশের মানুষকে বাদ দিয়ে করতে চাচ্ছি। যারা এমপি হয়, সংসদ সদস্য হয় তারা জনগণের কথা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কথা ভুলে যায়। ক্ষমতাই তাদের একমাত্র লক্ষ্য হয়ে দাঁড়ায়। প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, নারী ও শিশুসহ সবার সুরক্ষায় অন্তর্ভুক্তিমূলক, সমন্বিত ও টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতকরণে সংবাদ সম্মেলনে তিনটি সুপারিশ তুলে ধরা হয়। এগুলো হলো- সব নগরবাসীর (প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, নারী, শিশু, প্রতিবন্ধী ও লিঙ্গ বৈচিত্র্য গোষ্ঠী) সমান সুযোগ ও অধিকার সমুন্নত রেখে জলবায়ু ঝুঁঁকি মোকাবিলায় স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ উন্নয়নে পরিকল্পিত, সমন্বিত ও টেকসই পয়ঃনিষ্কাশন এবং কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করতে হবে।
সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্ব (পিপিপি), প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ, বর্জ্যকে সম্পদে রূপান্তরকরণ, চলমান অর্থনীতি প্রবর্তন এবং টেকসই ও মানসম্পন্ন নগর বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য ‘৪-আর’ কর্মসূচির বাস্তবায়ন করতে হবে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দ, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতামূলক প্রশাসন, ডিজিটাল মনিটরিং ও তদারকি ব্যবস্থা নেয়ার মাধ্যমে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়