টিআইবি : গণতন্ত্রের জন্য গণমাধ্যমের স্বাধীনতা অপরিহার্য

আগের সংবাদ

জাদুর কাঠির ছোঁয়ায়! হলফনামায় দেয়া তথ্য > মন্ত্রী-এমপিদের সম্পদ বেড়েছে ২ থেকে ২০০ গুণ পর্যন্ত

পরের সংবাদ

সাতক্ষীরায় অজ্ঞান করে মালামাল লুট বেড়েছে

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ডিসেম্বর ১১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

দেবহাটা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি : গভীর রাতে পরিবারের সদস্যদের অজ্ঞান করে মূল্যবান জিনিসপত্র, স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকা লুটের ঘটনা উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে সাতক্ষীরার দেবহাটা ও আশাশুনিসহ আশপাশের উপজেলাগুলোতে। গত দেড় মাসে জেলার দেবহাটা, আশাশুনি ও সাতক্ষীরা সদর উপজেলাসহ বিভিন্ন স্থানে এরকম অন্তত ডজনখানেক পরিবারের সদস্যদের অজ্ঞান করে লাখ লাখ টাকার মালামাল, স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ অর্থ লুটে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এর মধ্যে কেবলমাত্র দেবহাটা উপজেলাতেই ঘটেছে এরকম পাঁচটি ঘটনা। প্রতিটি ঘটনায় ভিকটিম পরিবারগুলো নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কারসহ মূল্যবান সম্পদ তো হারাচ্ছেনই, সেই সঙ্গে লুটেরাদের দেয়া অতিমাত্রার চেতনানাশকে মৃত্যু ঝুঁকিতে পড়ছেন এসব পরিবারের সদস্যরা।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, একই ধরনের লুটের ঘটনায় অনেক সময় থানায় একাধিক মামলা নিতে চায় না পুলিশ। ফলে লিখিত অভিযোগেই সীমাবদ্ধ থাকতে হচ্ছে তাদের। সংঘবদ্ধ চক্রটিকে শনাক্ত করতে পারলে সবারই মালামাল উদ্ধার করা সম্ভব হবে উল্লেখ করে বাকি ভুক্তভোগীদের মামলা না করে কেবলমাত্র লিখিত অভিযোগ দিতে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়। গত দেড় মাসে দেবহাটা উপজেলার চাঁদপুরে এক মৎস্য ব্যবসায়ী, পারুলিয়াতে সরকারি খানবাহাদুর আহছানউল্লাহ কলেজের অবসরপ্রাপ্ত প্রভাষক মৃত্যুঞ্জয় কর্মকার, সখিপুরে আইডিয়াল কোচিং সেন্টারের পরিচালক ও কলেজ শিক্ষক এবাদুল ইসলাম, পারুলিয়ায় অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক মধুসূদন দাশ ও কুলিয়ায় হাজী কেয়ামউদ্দিন মেমোরিয়াল মহিলা কলেজের প্রভাষক শফিউল আলমের বাড়িতে লুটের ঘটনা ঘটায় দুর্বৃত্তরা। সর্বশেষ গত শনিবার ভোরে উপজেলার সখিপুর ইউনিয়নের কামটা গ্রামে দুই নারীসহ একই পরিবারের ৪ সদস্যকে চেতনানাশক দিয়ে অজ্ঞান করে সর্বস্ব লুট করে নিয়ে গেছে চক্রটি।
দেবহাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডা. সাকিব হাসান বাঁধন বলেন, রাতের খাবারের সঙ্গে তাদের চেতনানাশক মেশানো হয়েছিল বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন তারা। দুজন পুরুষ ও একজন নারী ভিকটিমের আগে থেকেই হার্ট ডিজিস ও ডায়াবেটিস থাকায় বিশেষ পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। চারজনের মধ্যে তিনজন এখনো আশঙ্কামুক্ত নয়।
দেবহাটা সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার এসএম জামিল আহমেদ বলেন, চক্রটিকে আইনের আওতায় আনতে জেলা পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট কাজ করছে। পাশাপাশি দেবহাটা ও আশাশুনি থানা এলাকায় বিশেষ অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়