মৃত্যুদণ্ড থেকে বাঁচতে পরিচয় বদল, ৩০ বছর পর গ্রেপ্তার : কেরানীগঞ্জে বাবা-ছেলে হত্যা

আগের সংবাদ

‘স্বতন্ত্র’ নিয়ে নমনীয় আ.লীগ : ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি বাড়ানো প্রধান টার্গেট > সরকার চায় অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন

পরের সংবাদ

জীবন ও কর্ম শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা : বাস্তববাদ ও বিদ্রোহে মুখর কামরুল হাসানের চিত্রকর্ম

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ডিসেম্বর ৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : পটুয়া কামরুল হাসান ছিলেন হাজারো গুণে গুণান্বিত মানুষ। তার চিত্রকর্ম একদিকে যেমন ছিল বাস্তববাদী, তেমনি ছিল বিদ্রোহে মুখর। তার চিত্রের বৈশিষ্ট্য অনেকের থেকে আলাদা ছিল বিধায় আজো তার চিত্রকর্ম সব জায়গায় উচ্চ মর্যাদার আসন লাভ করে।
গতকাল শনিবার বিকালে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘পটুয়া কামরুল হাসানের জীবন ও কর্ম’ শীর্ষক সেমিনার ও আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী ও গবেষকশিল্পী শাওন আকন্দ। আলোচক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. সৈয়দ আজিজুল হক। বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর পর্ষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে আয়োজিত সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামান।
সেমিনারে পটুয়া কামরুল হাসানের জীবনের নানা দিক বিশ্লেষণ করে বক্তারা আরো বলেন, বাংলাদেশের স্বাধিকার ও অসহযোগ আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতাপরবর্তী স্বৈরশাসনবিরোধী গণতান্ত্রিক সব সংগ্রামে তিনি ছিলেন সক্রিয়। স্বাধীনতাযুদ্ধের সময়ে জেনারেল ইয়াহিয়ার মুখের ছবি দিয়ে আঁকা ‘এই জানোয়ারদের হত্যা করতে হবে’ পোস্টারটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। তার চিত্রকর্মে স্বৈরশাসকদের অত্যাচার, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও হানাদার পাকিস্তানি বাহিনীর গণহত্যার চিত্র সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।
বক্তারা বলেন, কামরুল হাসানের চিত্রকলার প্রধান উপাদান নর-নারী, পশুপাখি, সাপ ও প্রকৃতি। জীবনের শুরু থেকেই শিল্পচর্চার পাশাপাশি সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত থাকার মাধ্যমে নিজেকে ব্যতিক্রমী করে তোলেন। এছাড়া তিনি বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার চূড়ান্ত নকশা ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সরকারি মনোগ্রাম তৈরি করার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
কামরুল হাসান ছিলেন বাংলাদেশের আধুনিক শিল্পকলা চর্চার অন্যতম পথিকৃৎ। চিত্রশিল্পী হয়েও ‘পটুয়া’ নামে পরিচিত হতে পছন্দ করতেন। তার শিক্ষাজীবন কাটে

কলকাতায়। তিনি কলকাতার মডেল এম ই স্কুল এবং কলকাতা মাদ্রাসায় প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন। ১৯৩৮ সালে কলকাতার গভর্নমেন্ট স্কুল অব আর্টসে ভর্তি হন এবং ১৯৪৭ সালে চিত্রকলায় ¯œাতক ডিগ্রি লাভ করেন। দেশভাগের পর কামরুল হাসান ঢাকায় চলে আসেন এবং ১৯৪৮ সালে ‘গভর্নমেন্ট ইনস্টিটিউট অব আর্টস’ প্রতিষ্ঠায় শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের অন্যতম সহযোগী ছিলেন তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়