ঢাবি উপাচার্য : বিদেশিরা উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করতে চায়

আগের সংবাদ

সিগন্যালের অপেক্ষায় তারা : ৮০ থেকে ১০০ আসনে জোট-মিত্রদের ‘ছাড়’ > ১৭ ডিসেম্বরের আগেই সমঝোতা

পরের সংবাদ

মৈত্রী দিবস : স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পীদের গান

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ডিসেম্বর ২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : শুরু হলো বাঙালির অহংকার বিজয়ের মাস ডিসেম্বর। হাজার বছরের ইতিহাসে বাঙালি তার আত্মপরিচয়, স্বাধীনতা ও স্বাধীন পতাকা পেয়েছিল যে মাসে, তার নাম ডিসেম্বর। এই মাস অদম্য বাঙালির মহাবিজয় অর্জনের মাস। বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের এই মহেন্দ্রক্ষণে অকৃত্রিম বন্ধুরাষ্ট্র হিসেবে সেদিন পাশে ছিল ভারত। দীর্ঘ নয় মাসের রক্তাক্ত সশস্ত্র সংগ্রাম শেষে ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১-এ কাক্সিক্ষত বিজয়ের ১০ দিন পূর্বে ৬ ডিসেম্বর স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে ভাতৃপ্রতীম বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় দেশটি। আর ইতিহাসে অবিস্মরণীয় এই দিনটি পালিত হয়ে আসছে ‘মৈত্রী দিবস’ হিসেবে।
প্রতিবারের মতো এবারো যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালনে সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিজয়ের মাসের ১ম দিনে ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশনের আয়োজনে হলো ‘স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের গান’ শীর্ষক সংগীতানুষ্ঠান।
তৎকালীন সময়ে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রেরণা যোগাতে ভারতের অভ্যন্তরে প্রতিষ্ঠিত এই বিপ্লবী বেতারকেন্দ্র জাগরণী সংগীত ও আবৃত্তি পরিবেশন করে রাখে এক ঐতিহাসিক ভূমিকা। মৈত্রী দিবসের এবারের কর্মসূচিতে স্বাধীনবাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠযোদ্ধারা তাদের কণ্ঠে কালজয়ী সেইসব সংগীত ও আবৃত্তি পরিবেশন করেন। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় ধানমন্ডির ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টারে হয় এই আয়োজন।
‘পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে’ কোরাস সংগীতের মধ্য দিয়ে আয়োজন শুরু হয়। এর আগে ভারতীয় হাইকমিশনের পক্ষে স্বাগত বক্তব্য দেন আইজিসিসির পরিচালক মৃন্ময় চক্রবর্তী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী মালা খুররাম, কল্যানী ষোষ, তিমির নন্দী, রূপা ফরহাদ এবং রফিকুল আলম এবং আশরাফুল আলম। শিল্পীদের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা বক্তব্য ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের স্মৃতিচারণ করেন শিল্পী তিমির নন্দী।
এছাড়া ‘জয় বাংলা, বাংলার জয়’ গানটি সমবেত কণ্ঠে পরিবেশন করেন শিল্পীরা। সন্ধ্যার এ আয়োজনে কবিতা এবং গান পরিবেশন করে একাত্তরের সে সময়ের আবহকে সবার সামনে মূর্ত করে তোলেন- মালা খুররাম, কল্যানী ষোষ, তিমির নন্দী, রূপা ফরহাদ এবং রফিকুল আলম এবং আশরাফুল আলম; যারা সবাই স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী।

মৃন্ময় চক্রবর্তী বলেন, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র দুই দেশের সংস্কৃতির জন্যও অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি কেন্দ্র। মুক্তিযুদ্ধে এই কেন্দ্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। ইন্দিরা গান্ধী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র সেই প্রেরণাকে এখন দুই দেশের মানুষের সম্পর্ক সৃষ্টি এবং সেই সম্পর্কের গভীরতাকে আরো সামনে এগিয়ে নিতে কাজ করছে।
তিনি আরো বলেন, সেখানে ভারতের অনেক লেখকরাও গান লিখেছেন এবং দুই দেশের শিল্পীরা একটি স্বতন্ত্র বাংলাদেশ তৈরির উদ্দেশে কাজ করেছেন, গান গেয়েছেন। আমরা চাই মানুষে মানুষে সম্পর্ক আরো সুন্দর করার জন্য, যা সংস্কৃতির মাধ্যমেই সম্ভব। আর সেদিক থেকে এই স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র আমাদের জন্য একটি উদাহরণ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়