খিলক্ষেত কুর্মিটোলা স্কুলের ৭৫ বছর পূর্তি উৎসব

আগের সংবাদ

সবার নজর ইসির দিকে : জাতির উদ্দেশে সিইসির ভাষণ আজ সন্ধ্যায়, ঘোষণা করবেন ভোটের তফসিল

পরের সংবাদ

অসময়ে বেন স্টোকস ঝলক

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ইংল্যান্ডের ব্যাটিং এবং বোলিংয়ে অন্যতম খুঁটি বেন স্টোকস। বড় ম্যাচ এলেই যেন তাকে জ¦লে উঠতে হয়। আর এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ হলো ২০১৯ সালের বিশ্বকাপ ফাইনাল। সেবার ইংল্যান্ডকে নিজের ব্যাটিং পারফরম্যান্স দিয়ে ফাইনাল জিতিয়েছিলেন। তার ৮৪ রানের ইনিংস এবং শেষ ওভারের নাটকীয়তার ওপর ভর করেই প্রথমে ড্র করে থ্রি লায়ন্সরা। ম্যাচ সুপার ওভারে গেলে সেখানেও তিনি অনবদ্য পারফরম্যান্স দেন। শেষ পর্যন্ত ড্র হলেও তার হাঁকানো বাউন্ডারির কারণেই শিরোপার স্বাদ পায় ইংলিশরা। সেদিন প্লেয়ার অব দ্য ফাইনাল নির্বাচিতও হয়েছিলেন তিনি।
ক্রিকেটবিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়ে ২০২২ সালে ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে অবসর নেন স্টোকস। এরপর এবারের বিশ্বকাপের ঠিক আগ মুহুর্তে অবসর ভেঙে ফিরে আসেন ওয়ানডে ক্রিকেটে। এ বছরের সেপ্টেম্বরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ দিয়ে আবার দলে ফিরেন। কিন্তু ফেরার পর আবারো ইনজুরির শিকার হন তিনি। যার জন্য বিশ্বকাপের প্রথম তিন ম্যাচ খেলতে পারেননি। শেষদিকে তার পাফরম্যান্সের ওপর ভর করেই নেদারল্যান্ডস এবং পাকিস্তানকে হারিয়ে কোনোমতো আগামী ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি নিশ্চিত করে ইংল্যান্ড। এখনো ইনজুরি কিছুটা ভোগাচ্ছে স্টোকসকে। যার জন্য বোলিং করতে পারছেন না। শুধু ব্যাটিংটাই চালিয়ে যাচ্ছেন। ছয় ম্যাচের মধ্যে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে সেঞ্চুরি ছাড়াও আছে দুটি হাফ সেঞ্চুরি এবং একটি চল্লিশোর্ধ্ব ইনিংস। বিশ্বকাপে ৬ ম্যাচ খেলে ৫০.৬৭ গড়ে মোট ৩০৪ রান আসে তার ব্যাট থেকে। যা ইংল্যান্ডের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। তার আগে ৪০৪ রান নিয়ে আছেন শুধু ওপেনার ডেভিড মালান। এখন পর্যন্ত ক্যারিয়ারে ১১৪টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলে ৪১.২৩ গড়ে মোট ৩ হাজার ৪৬৩ রান করেন তিনি। সর্বোচ্চ ১৮২ রানসহ মোট ৫টি সেঞ্চুরি এবং ২৪টি হাফ সেঞ্চুরি আছে তার ঝুলিতে।
এ ছাড়া ৮৮ ইনিংসে বল করে মোট ৭৪টি উইকেট শিকার করেন তিনি। ১৯৯১ সালে নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ শহরে জন্ম নেয়া স্টোকসের বাবা জেরার্ড জেমস স্টোকস ছিলেন নিউজিল্যান্ড রাগবী দলের খেলোয়াড়। ১৯৮০ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত তিনি নিউজিল্যান্ডকে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। জন্মের পর ১২ বছর বয়স পর্যন্ত স্টোকসও ছিলেন নিউজিল্যান্ডে। পরে মা-বাবার সঙ্গেই চলে আসেন যুক্তরাজ্যে। এখানেই ক্লাব পর্যায়ে তার ক্রিকেট ক্যারিয়ারেরও শুরু।

:: নাজমুস সাকিব আদিব

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়