চিনি আমদানিতে শুল্ক কমলো অর্ধেক

আগের সংবাদ

বাজারের আগুনে অবরোধের ইন্ধন : নতুন করে প্রভাব পড়েছে চাল সবজি মাছের বাজারে, উত্তাপ বেড়েছে গরম মসলার

পরের সংবাদ

তিন প্রকল্পের উদ্বোধন : ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্যিক সম্পর্ক

প্রকাশিত: নভেম্বর ৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক আরো জোরালো হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, আমি আশাবাদী, সামনের দিনগুলোতে আমাদের যৌথ সহযোগিতার দৃষ্টান্তস্বরূপ আরো এমন অনেক সাফল্যের উদাহরণ তৈরি হবে, যা দুই দেশের সম্পর্ককে আরো সুদৃঢ় করবে। গত বুধবার তিনটি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এসব প্রকল্প উদ্বোধন করেন। প্রকল্প তিনটি হলো- আখাউড়া-আগরতলা রেলসংযোগ, খুলনা-মোংলাবন্দর রেলসংযোগ এবং মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টের দ্বিতীয় ইউনিট প্রকল্প। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নরেন্দ্র মোদি বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তর করতে বাংলাদেশের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করছি। রেল যোগাযোগ বৃদ্ধি হলে উভয় দেশের ব্যবসায়ী ও সাধারণ জনগণ লাভবান হবেন বলে আমরা আশা করি। দুদেশের মধ্যে যে সড়কপথ রয়েছে, সেগুলোরও উন্নয়ন হচ্ছে। পরিধি বাড়ানো হচ্ছে। বাণিজ্য দিন দিন বাড়ছে। এটি আশব্যঞ্জক। স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক গত পাঁচ দশকে এক বহুমাত্রিক পথ পাড়ি দিয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সময় ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বর্তমানে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শক্তি ও জ্বালানি, যোগাযোগ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সংস্কৃতির মতো নানা ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক বিস্তৃত। দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর মধ্যকার সহযোগিতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এ দুটি দেশের সম্পর্ক একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। দুই দেশের এ বাণিজ্য সম্পর্ককে আরো নতুন মাত্রায় নিতে আগ্রহী ভারত। গত এক বছরে বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বেড়েছে ৯৪ শতাংশ। চলতি অর্থবছর শেষে ভারতে বাংলাদেশের রপ্তানি প্রথমবারের মতো ২০০ কোটি ডলার ছাড়াবে বলে আশা করা হচ্ছে। বাংলাদেশ-ভারত অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন করে আশার আলো প্রতিভাত হচ্ছে। বাংলাদেশের চাহিদার ক্ষেত্রগুলোতে ভারত মনোযোগী হয়েছে। যেমন সীমান্ত হত্যা কমিয়ে আনতে বিএসএফকে নন-লেথাল অস্ত্র দেয়া হচ্ছে। এছাড়া বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনতে বিভিন্ন বাংলাদেশি পণ্যকে ভারতের বাজারে শুল্কমুক্ত সুবিধা দেয়া হচ্ছে। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে দারুণ বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে। তবে দুই দেশের বাণিজ্যকে আরো জোরদার করার সুযোগ রয়েছে। ভারতে রপ্তানি করার মতো বাংলাদেশের অনেক সম্ভাবনাময় পণ্য রয়েছে যেগুলো ভারত বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে আমদানি করে। বাংলাদেশ এই সুযোগ কাজে লাগাতে পারে। ভবিষ্যতে ভারতের সঙ্গে অমীমাংসিত ইস্যুগুলোর সৌহার্দপূর্ণ সমাধানে ঐতিহাসিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে বলে আমরা প্রত্যাশা রাখছি। খুব স্বাভাবিকভাবেই তিস্তা নদীর পানি বণ্টন নিয়ে প্রশ্ন আসছে বারবার। আন্তর্জাতিক আইনি বিধি ব্যবস্থা অনুযায়ী একটি আন্তঃদেশীয় নদী হিসেবে তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা পাওয়া বাংলাদেশের অধিকার। ভারতের চাওয়াগুলোর বেশির ভাগ পূরণ হলেও বাংলাদেশের কিছু অপ্রাপ্তি রয়ে গেছে। উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের পানির গুরুত্বপূর্ণ উৎস তিস্তা নদীর পানি বণ্টন চুক্তির অনিশ্চয়তা দূর হয়নি। পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে দেশ দুটির মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অটুট থাকুক। দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক তথা সব ধরনের যোগাযোগ ও সহযোগিতা ক্রমেই জোরদার হোক- এমন প্রত্যাশা করছি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়