জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও ব্যাংকের পরীক্ষা স্থগিত

আগের সংবাদ

ইমামদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী : তৃণমূলে শান্তি বজায় রাখতে আপনাদের সহযোগিতা চাই

পরের সংবাদ

আমার গর্বের ধন সৈয়দ আবুল হোসেন

প্রকাশিত: অক্টোবর ৩০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ৩০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

দিন কয়েক হলো একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, সফল উদ্যোক্তা, রাজনীতিবিদ, মানবহিতৈষী, শিক্ষানুরাগী এবং সরকারের সাবেক মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। মৃত্যুর পর তার সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে আমি তাকে আমার গর্বের ধন্য বলেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা জীবনের প্রারম্ভে অর্থাৎ আমার প্রথম ব্যাচের ছাত্র হিসেবে আমি তাকে পেয়েছি। সেটা ছিল মুক্তিযুদ্ধের আগে। তারপর তাকে পেয়েছি অনেক ভূমিকায়, যার কিয়দাংশ তুলে ধরছি।
সৈয়দ আবুল হোসেন আজ থেকে ৭২ বছর আগে ফরিদপুর জেলার মাদারীপুর মহকুমার ডাসার গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পূর্বপুরুষের আদিনিবাস ছিল বাগদাদে এবং তিনি মাদারীপুর, কালকিনি-ডাসার অঞ্চলে ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক এবং সৈয়দ বংশের প্রতিষ্ঠাতা হজরত শাহ ওসমানের (র.) পরবর্তী বংশধর। তার পিতা আলহাজ সৈয়দ আতাহার আলী ছিলেন আইন ব্যবসায় সংশ্লিষ্ট এবং এলাকার বিশিষ্ট জন। তার মাতা আলহাজ সুফিয়া আলী ঘটনাচক্রে সাবেক মন্ত্রী ও ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সালে নিহত আবদুর রব সেরনিয়াবাতের সহপাঠিনী।
সৈয়দ আবুল হোসেন তার নিজ গ্রামেই প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তদানীন্তন কমার্স বিভাগে ভর্তি হন এবং ১৯৭২ সালে বি.কম পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তারপর তিনি কমার্স ফ্যাকাল্টির ব্যবস্থাপনা বিভাগ থেকে এম.কম পাস করেন। তার সহপাঠীদের মধ্যে অনেকে জীবনে বিশেষভাবে প্রতিষ্ঠিত, যাদের মধ্যে আছে অধ্যাপক ড. শফিক আহমেদ সিদ্দিকী, অধ্যাপক আবু সালেহ, অধ্যাপক ড. হারুনুর রশিদ, অধ্যাপক আবদুল মান্নান প্রমুখ। তিনি হয়তো উপরোল্লেখিতদের মতো ততটা মেধাবী ছিলেন না; কিন্তু কর্মগুণে তিনি হয়েছেন স্মরণীয় ও বরণীয়। তিনি জীবন শুরু করেছেন ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশে চাকরি দিয়ে। চাকরি জীবন তার স্থিতি ছিল স্বল্পকালীন। তার উচ্চাকাক্সক্ষা ও সৃষ্টিশীল প্রবণতা তাকে ব্যবসায় টেনে আনে। তাই চাকরিতে ইস্তফা দিয়ে তিনি ব্যবসায় নামেন এবং অপূর্ব নৈপুণ্য প্রদর্শন করে এ দেশের মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তার প্রতিষ্ঠিত সৈয়দ আবুল হোসেন অ্যান্ড কোম্পানি তাকে প্রাচুর্য এনে দেয় এবং তার ব্যবসায়িক সম্পর্ক চীন, সিঙ্গাপুর, কোরিয়া ও থাইল্যান্ডের সঙ্গে সম্প্রসারিত হয়। জীবনের এক পর্যায়ে তিনি সিকিউরিটিজ করপোরেশন এবং পাওয়ার রিসোর্স করপোরেশনও প্রতিষ্ঠা করেন। এত বড় ব্যবসায়ী হয়েও তার জীবন ছিল অনাড়ম্বর।
সৈয়দ আবুল হোসেন অর্থ কামিয়েছেন দুই হাতে। তার নৈতিকতা, ধর্মীয় ও মানবিক চেতনা ও সমাজহিতৈষীপনা তাকে সবার সামনে নিয়ে এনেছিল। ছোট বেলায় উচ্চশিক্ষার জন্য তার এলাকায় কোনো কলেজ ছিল না। হাতেগোনা কিছু মাধ্যমিক স্কুল ও প্রাথমিক স্কুলই ছিল একমাত্র ভরসা। তার জাদুর হাতের ছোঁয়ায় এখন তার নামে, পিতা-মাতা, বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে ৪টি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজসহ ৬টি কলেজ সফলতার স্মারক হিসেবে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে। এলাকায় তিনি ১৫০টির অধিক প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। স্কুল-কলেজের পাশাপাশি তিনি মক্তব, মাদ্রাসা, মসজিদ ও এতিমখানা প্রতিষ্ঠা করেন। এত অধিকসংখ্যক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তা এ দেশে কেন পার্শ্ববর্তী দেশেও বিরল। পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ২০০তম জন্মবার্ষিকীতে তাকে যে সম্মাননা পত্র দেয়া হয় তার কিয়দাংশ তুলে ধরছি-

শ্রদ্ধেয় জনাব সৈয়দ আবুল হোসেন
আপনি, আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশের এক প্রথিতযশা রাজনীতিবিদ, শীর্ষস্থানীয় উদ্যোগপতি, সমাজসেবক, অগ্রণী শিক্ষা-উদ্যোক্তা ও বহু গ্রন্থের লেখক। অতি অল্প বয়সেই আপনি মুক্তিযুদ্ধে যোগদানের গৌরব অর্জন করেছেন। ১৯৯১ সাল থেকে চারবার আপনি বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন ও দুবার মন্ত্রিপরিষদের দায়িত্ব পালন করেছেন।
১৯৭২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিজনেস ম্যানেজমেন্টে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করে আপনি সরকারি কাজে যোগদান করেন। পরবর্তীকালে স্বীয় চেষ্টা ও অধ্যবসায়ে গড়ে তোলেন নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ‘সাহকো ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড’, যা দেশে ও বিশ্বে ইতোমধ্যেই অগ্রগণ্য বাণিজ্য সংস্থা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে।
এর পাশাপাশি আপনার একক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশে যতগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তৈরি হয়েছে, তা পৃথিবীর ইতিহাসে নজিরবিহীন। বাংলাদেশের মাদারীপুর অঞ্চলে আপনার নিজস্ব অর্থায়নে ৪টি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজসহ ৬টি কলেজ ও দেড় শতাধিক কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। পরবর্তীকালে এই স্কুলগুলো জাতীয়করণ হয়েছে। এছাড়া নিজ উদ্যোগ ও অর্থায়নে প্রতিষ্ঠা করেছেন বেশকিছু মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও আধুনিক মাদ্রাসা। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ায় আপনি আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন। আপনার একক প্রচেষ্টায় সমগ্র বাংলাদেশে শিক্ষা বিস্তারে মাদারীপুর দেশের একটি শিক্ষাঞ্চলে রূপান্তরিত হয়েছে। আপনি শিক্ষা বিস্তারে বাংলাদেশের বিদ্যাসাগর।
শিক্ষা বিস্তার ও সমাজসেবার জন্য আপনি ২২টি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। ভারতের ৪২তম স্বাধীনতা দিবসে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয় সংহতি সংসদ আপনাকে শিক্ষা বিস্তারে ‘ভারতের স্বাধীনতা পুরস্কার’ এবং ২০০৩ সালে অল ইন্ডিয়া রাইটার্স কনফারেন্স আপনাকে ‘ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর পুরস্কার’ এবং ‘শিক্ষা ও সমাজসেবারতœ’ উপাধি প্রদান করে। এর পাশাপাশি প্রকাশিত হয়েছে নানা বিষয়ে আপনার রচিত ২০টি মূল্যবান গ্রন্থ। পণ্ডিত বিদ্যাসাগরের ২০০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আপনার লেখা ‘বিদ্যাসাগর’ বইটি আমাদের আজকের এই আয়োজনকে অধিকতর সম্মানিত করেছে।
রাজনীতি, বাণিজ্য, শিক্ষা বিস্তার, সমাজসেবায় আপনার সুদক্ষ ও মানবতাবাদী কর্মকাণ্ডকে আমরা কুর্নিশ জানাই। পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্মের দুশো বছর পূর্তি উপলক্ষে আপনাকে ‘বিদ্যাসাগর পুরস্কার’-এ ভূষিত করে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় সম্মানিত বোধ করছে।
ইতি
অধ্যাপক রঞ্জন চক্রবর্তী
বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯

ওই অনুষ্ঠানে সৈয়দ আবুল হোসেনের ভাষণটি সবিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। সে ভাষণে আমরা মানুষ আবুল হোসেন, উদ্যোক্তা আবুল হোসেন, শিক্ষানুরাগী আবুল হোসেনের যে পরিচয় পেয়েছি, সে পরিচিতি আমার নিবন্ধবহির্ভূত।
তিনি পায়ের পাতা থেকে মাথার চুলের ডগা পর্যন্ত ছিলেন একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। যে অর্থ তিনি আয় করেছেন তার বিশালাংশ তিনি ব্যয় করেছেন রাজনীতির জন্য, বন্ধু-বান্ধবদের তরক্কির জন্য, শিক্ষা বিস্তারে, দুস্থ নিরন্ন ও বিধবাদের মঙ্গলার্থে। তার কাছে হাত পেতে সমাজের কোনো স্তরের কোনো মানুষ বিমুখ হয়েছে তা কখনো শুনিনি।
ব্যবসায়ে তিনি তাত্ত্বিকতার সার্থক প্রয়োগ করেছেন। তার প্রেষণা ও প্রণোদনার ধরন আমাকে বিমোহিত করেছে। এ দেশে কোনো অঞ্চলে যখন অংশগ্রহণমূলক ব্যবস্থাপনা অকল্পনীয় ও অশ্রæত ছিল, তখন তিনি তার প্রতিষ্ঠানে অংশগ্রহণপূর্বক ব্যবস্থাপনা প্রবর্তন ঘটিয়েছেন। তার কর্মচারীরা ছিলেন তার সহযোগী বন্ধু। তিনি তাদের দেখতে চেয়েছিলেন তারই মতো হাস্যোজ্জ্বল। আমরা তাকে কোনোদিন মলিন মুখে দেখিনি, বিষণ্নতা তাকে গ্রাস করেনি। জীবনের চরম মুহূর্তেও তার মুখের হাসিটি ছিল নেতিয়ে পড়া আমাদের মতো শুভাকাক্সক্ষীদের অনন্ত প্রেরণা। এ দেশে ব্যবস্থাপনা শিক্ষাকে সম্প্রসারণের জন্য তিনি উদ্যোগ নেন। বাংলাদেশ কমার্স অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা থাকলেও বাংলাদেশ ব্যবস্থাপনা সমিতির ছিলেন তিনি প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক। আমার সৌভাগ্য হয়েছিল বাংলাদেশ ব্যবস্থাপনা সমিতির সভাপতি পদ ধারণের। সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তিনি দেশে-বিদেশে ব্যবস্থাপনা বিভাগকে পরিচিত করে তোলেন। বহু ঘটনার মধ্যে একটি ঘটনা আমার কাছে ঐতিহাসিক ঘটনা হিসেবে বিবেচিত। সেটি একটি সেমিনারের কথা। হয়তো অনেকে জানেন না যে এ দেশে ভ্যাটের ওপর সর্বপ্রথম সেমিনারটি তার উদ্যোগে আয়োজন করা হয়েছিল এবং ভ্যাটের দোষ, গুণ বা প্রায়োগিক সম্ভাবনা নিয়ে প্রথম প্রবন্ধটি ছিল আমার।
আমার সঙ্গে তার সম্পর্কটি শিক্ষক-ছাত্রের মতো ছিল না, ছিল ভাই ও বন্ধুর ন্যায়। তার বোন এবং স্ত্রীর সঙ্গে আমার স্ত্রীর ছিল বন্ধুত্বের সম্পর্ক। তার বোন মনোয়ারাকে অনুসরণ করে আমার স্ত্রী তাকে ডাকতেন মেজো ভাই বলে। তিনি রাজনীতিতে আসেন বঙ্গবন্ধুর কারণেও অনেকটা পিতা সৈয়দ আতাহার আলীর প্রণোদনায়।
বঙ্গবন্ধু ছিলেন তার ক্যারিশমেটিক নেতা। তার আদলে তার রাজনীতির পথপরিক্রমা চললেও তার জীবনে যা করেছেন তা করেছেন ইসলামের মহান পুরুষ হজরত মুহাম্মদ (সা.) এবং খোলাফায়ে রাশেদীনের আদর্শে। তিনি মন্ত্রী থাকাকালে এক বিন্দু সরকারি সম্পদের অপচয় করেননি। সরকারি কোষাগারের অর্থ আপন প্রয়োজনে ব্যয় করেননি। ব্যবসায়িক সফরে সরকারি পাসপোর্ট নয় ব্যক্তিগত পাসপোর্ট ব্যবহার করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছিলেন। তার প্রতি দুর্নীতির আঙ্গুল হেলানো ছিল, প্রমাণ ছিল না। চূড়ান্ত প্রমাণ জাজ্জ্বল্যমান পদ্মা সেতুর অর্থায়নে বাংলাদেশ ও কানাডার আইনগত লড়াইয়ে। তাকে এবং তার সহচর ও সহকর্মীদের নিয়ে সীমাহীন গুজব ছিল, প্রমাণ ছিল অনুপস্থিত। সেটাই স্বাভাবিক। তিনি ছিলেন অতিশয় ধার্মিক, সদাচারী ও মৃদুভাষী, মিতব্যয়ী, ভাই-বোন, পাড়া-প্রতিবেশীর প্রতি অতি সহানুভূতিশীল। সম্মানীয়কে সম্মান প্রদর্শনে তার কার্পণ্য ছিল না। ধার্মিক হয়ে তিনি ছিলেন অতি মাত্রায় অসাম্প্রদায়িক বাঙালি। তার বিবেচনায় মানুষই ছিল তার ধ্যান ও জ্ঞান। তিনি ডান হাত দিয়ে যা দিতেন তার বাম হাত জানত না। এই দাতব্য কাজে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানের বাছ-বিচার ছিল না। তার এলাকার বিশালাংশ ছিল এক সময়ে কট্টর মৌলবাদী, আপন কর্মগুণ ও মহিমায় এলাকায় অসাম্প্রদায়িক চালচিত্র তিনি পরিবর্তন করে ছেড়েছেন।
তিনি যতবার নির্বাচন করেছেন ততবার জয়ী হয়েছেন। সামনের নির্বাচনে তিনি ছিলেন সদস্যপ্রার্থী। তিনি প্রতিমন্ত্রী ছিলেন, আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ের সম্পাদক ছিলেন, ছিলেন তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী এবং যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের স্বেচ্ছায় পদত্যাগী মন্ত্রী। তিনি ছিলেন লোভ-লালসার ঊর্ধ্বে। জীবিতাবস্থায় তিনি প্রমাণ করেছেন যে তিনি একজন সজ্জন ব্যক্তি, পরিচ্ছন্ন ব্যবসায়ী এবং আদর্শবান রাজনীতিবিদ ও মন্ত্রী। তিনিই হয়তো বাংলাদেশের একমাত্র ব্যক্তি যিনি দেশে-বিদেশে প্রমাণ করেছেন যে তিনি একজন পরিচ্ছন্ন ব্যক্তি। এ প্রমাণের সঙ্গে সঙ্গে তাকে মন্ত্রিত্ব ফিরিয়ে দেয়াটা হতো সঠিক পদক্ষেপ। বঞ্চনা নিয়ে কারো বিরুদ্ধে তার অভিযোগ ছিল না। তবে কিছু একটা গুমরে মরা অভিমান তাকে নিঃশেষ করেছে তিলে তিলে। তার বলি হয়েছেন তিনি। তার মৃত্যুতে, তার এলাকাও তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মানুষজন শোকে মুহ্যমান। তাকে সমাহিত করা হয়েছে তার শ্বশুরের কবরের পাশে। হয়তো কোনো অছিয়তের প্রেক্ষিতে তা করা হয়। আমরা তার রুহের মাগফিরাত কামনা করছি।

অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান চৌধুরী : বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ; উপাচার্য, ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ।
[email protected]

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়