নারায়ণগঞ্জ স্টেডিয়ামের সংস্কার কাজ শুরু হচ্ছে : মাঠ পরিদর্শনে আকরাম খান ও তানভীর আহমেদ টিটু

আগের সংবাদ

ভেন্যু অনিশ্চিত, অনড় দুদল : নয়াপল্টনের বিকল্প ভাবছে না বিএনপি > দক্ষিণ গেটে অটল আ.লীগ > এখনো কাউকে অনুমতি দেয়নি পুলিশ

পরের সংবাদ

গেমস আসক্তিতে কমছে বই পড়া

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ২৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ডিজিটালাইজেশনের কল্যাণে বর্তমানে অনলাইন গেমগুলো এতটাই রিয়েলিস্টিক হয়েছে যে অনলাইনেই তারা গড়ে তুলেছে আলাদা একটা জগৎ। আরেকটা উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে বেশির ভাগ জনপ্রিয় অনলাইন ভিডিও গেমের মূল থিমটা হচ্ছে টিকে থাকার লড়াই, হত্যা, লুটপাট এবং ছিনতাই। যার ফলে এসব বিষয় কিশোর-কিশোরীদের কাছে সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে এটি তাদের সহিংস করে তুলছে। যার ফলে বাড়ছে কিশোর অপরাধ। অপরাধ বিশ্লেষকরা বলছেন, এভাবে দীর্ঘসময় ধরে ‘ভার্চুয়ালি’ খুন-সন্ত্রাসের মতো ঘটনায় জড়িত থাকায় এসব খেলোয়াড় বাস্তব দুনিয়ায়ও অপরাধ জগতে জড়িয়ে পড়ে। ডেইলি স্টারের এক প্রতিবেদন হতে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, গত ১৬ আগস্ট কক্সবাজার শহরের বইল্যাপাড়া বৌদ্ধবিহার এলাকায় মোবাইল ফোনে গেম খেলাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে সেজান নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এর আগে ৯ আগস্ট পাবনার সাঁথিয়ায় মোবাইল ফোনে গেম খেলতে না দেয়ায় ছোট ভাই ও বড় বোনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করেন সৈকত নামে এক যুবক। একই কারণে ৩১ জুলাই চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় বন্ধুর বাবাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন সুজন নামে এক যুবক।
এছাড়া এসব গেমের বিভিন্ন চরিত্র ক্রয় করার জন্য উপকরণ (ডায়মন্ড) সহজে বিক্রির জন্য তৈরি হয়েছে একটি মধ্যস্বত্বভোগী চক্র। এরা ফেসবুকে গ্রুপ ও পেজ খুলে বিকাশ এবং নগদের মাধ্যমে এসব উপকরণ বিক্রি করছে। ফলে আর্থিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এসব তরুণ ও তাদের পরিবার। একটা সময় ছিল যখন তরুণদের অনেকেরই অবসর কাটত বই পড়ে। নতুন বইয়ের ভাঁজ খুলে পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা উল্টে পড়ার মধ্যে তারা অন্য রকম এক আনন্দ পেত। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে একটা গল্পের বই কিংবা উপন্যাস পড়ে শেষ করার আশায় থাকার থাকত। কিন্তু এখন সেই সময়টা কিশোর-কিশোরীরা মগ্ন থাকে মোবাইল ফোনে।বই মানুষকে চিন্তাশীল করে। নিজের ভেতরের সুপ্ত সম্ভাবনাকে জাগিয়ে তুলে। শিশু-কিশোরদের মধ্যে নৈতিক মূল্যবোধের বিকাশ ঘটানোর জন্য বইয়ের বিকল্প নেই। মানুষের মনের উৎকর্ষ লাভের জন্য বই পড়া বাড়াতে হবে। সেজন্য প্রযুক্তির এই অপব্যবহার দূর করতে হবে। আর মনের উৎকর্ষ লাভ হলেই একজন মানুষ মানবিক গুণাবলিসম্পন্ন প্রকৃত মানবে পরিণত হতে পারে। তাই এখনই আমাদের সচেতন হতে হবে এবং বই পড়া আর পাঠাগার স্থাপনে আগ্রহ বাড়াতে হবে এবং ছোটদেরও উৎসাহিত করতে হবে বেশি বেশি বই পড়তে। মা-বাবাদের তাদের সন্তানদের প্রতি আরো সচেতন হতে হবে। তাদের গেমের আসক্তি থেকে বিরত রাখতে হবে। এবং তাদের মানসিক ও নৈতিক বিকাশের দিকে গুরুত্ব দিতে হবে।

আলা উদ্দিন আফছার : শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
[email protected]

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়