নার্ভাস নাইনটিতে সবজির দাম

আগের সংবাদ

তৃতীয় শক্তিকে ক্ষমতায় এনে দেশকে ধ্বংসের ষড়যন্ত্র হচ্ছে

পরের সংবাদ

বাংলাদেশ-জাপানের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ

প্রকাশিত: অক্টোবর ২২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ২২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশ-জাপানের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের একটি বড় অনুষঙ্গ হলো বিগত পাঁচ দশকে ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও বাণিজ্যিক আদান-প্রদানের প্রসারতা। এ কথা প্রণিধানযোগ্য, আধুনিক পর্যায়ে দুই দেশের সম্পর্কের গভীরতা এবং গতি-প্রকৃতিতে অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং বাংলাদেশ-জাপান দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের উত্থান-পতন বিশেষ নির্দেশক হিসেবে কাজ করেছে। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা লাভের অব্যবহিত পরে জাপান সরকার বাংলাদেশের যুদ্ধবিধ্বস্ত অর্থনীতি পুনর্গঠনে এগিয়ে আসে। বাংলাদেশে জাপানি বাণিজ্য ও সে সুবাদে বিনিয়োগে জাপানিরা বরাবরই আগ্রহ দেখিয়ে এসেছে। জাপানই হচ্ছে এশিয়ায় বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্যের অন্যতম গন্তব্যস্থল। আবার জাপানি পণ্য বাংলাদেশের আমদানি বাণিজ্যের সিংহভাগ দখল করে আছে।
জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের আনুষ্ঠানিক কোনো বাণিজ্য চুক্তি না থাকলেও দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য চলে মুক্তবাজার নীতিতে এবং গ্যাট ও অধুনা ডব্লিউ টি ও নিয়ন্ত্রিত অনুশাসন অনুসারে। বাংলাদেশের পণ্য জাপানের বাজারে প্রবেশে ৩৮টি স্বল্পোন্নত দেশের মতো জিএসপি সুবিধা পেয়ে থাকে। জাপান এক্সটার্নাল ট্রেড অর্গানাইজেশন (জেট্রো) জাপানে বাংলাদেশি পণ্যের বাজার সৃষ্টিতে নানা টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স দিয়ে থাকে। বাংলাদেশের হিমায়িত চিংড়ি জাপানের বাজারে বেশ জনপ্রিয়তা পেলেও যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের তুলনায় মূল্যকাঠামো ভিন্নতর হওয়ায় বাংলাদেশি চিংড়ির জাপানে সরবরাহ কমছে। জাপানিরা এখন প্রক্রিয়াজাত চিংড়ির দিকে ঝুঁকছে। বাংলাদেশ থেকে রেডিমেড গার্মেন্টসের চাহিদা থাকলেও সরবরাহ সময় বেশি লাগার দরুণ জাপানে তৈরি পোশাকের প্রবেশ আশানুরূপ হচ্ছে না। জাপানের বাজারে বাংলাদেশ অন্যতম চামড়া সরবরাহকারী দেশ। বিশেষ করে বাংলাদেশের ছাগলের চামড়ার বেশ কদর জাপানের বাজারে। বাংলাদেশের চা ‘দ্য স্টার অব বেঙ্গল’ ব্র্যান্ড নামে জাপানের বাজারে ঠাঁই পেয়েছে। জাপান-বাংলাদেশ বাণিজ্য প্রসারের ক্ষেত্রে জাপান চেম্বার অব কমার্স, ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বারস অব কমার্স (এফবিসিসিআই) এবং সাম্প্রতিককালে সংগঠিত বাংলাদেশ-জাপান চেম্বার অব কমার্সের ভূমিকা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। বাংলাদেশের ইপিজেডগুলোতে জাপানি বিনিয়োগ বাড়ছে আর সে সুবাদে জাপানে বাংলাদেশের রপ্তানি বাড়ছে। ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ-জাপান যৌথ অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সহযোগিতা কমিটি আত্মপ্রকাশের পর দুদেশের সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে গঠনমূলক ও ফলপ্রসূ যোগাযোগের ক্ষেত্র প্রস্তুত হয়।
১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পর তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানেই মূলত জাপানি বিনিয়োগ ও ব্যবসায়িক যোগাযোগ প্রসারলাভ করে। ঢাকা শহরের কেন্দ্রস্থলে শান্তিনগরে জাপানি কনসুলার অফিস ছিল পূর্ব পাকিস্তানে জাপানি ব্যবসা-বাণিজ্য ও সাংস্কৃতিক ভাব বিনিময়ের জন্য নিবেদিত। এ অফিসের উদ্যোগে ঢাকায় ষাটের দশকে জাপানি ফুল সাজানোর উৎসব ‘ইকেবানা’সহ নানা অনুষ্ঠান আয়োজিত হতো। ঢাকার রাস্তায় টয়োটা গাড়ির চল শুরু হয় সে সময়। ৬০-এর দশকেই শাহবাগে জাপানি রেস্তোরাঁ ‘সাকুরা’ স্থাপিত হয় এবং সেখানে খাবার হিসেবে টেম্পুরা ও শুশি বেশ জনপ্রিয়তা পায়। বাওয়ানিদের ইস্টার্ন কেমিক্যালসে জাপানি ইঞ্জিনিয়ারদের উপস্থিতি, ফেঞ্চুগঞ্জ সার কারখানা ও চট্টগ্রাম ইস্পাত কারখানায় জাপানি বিনিয়োগ ও অংশগ্রহণ ছিল সে সময়কার বড় ঘটনা। জাপানে উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধির ফলে এবং শ্রমশক্তির অপ্রতুলতার প্রেক্ষাপটে জাপানিরা আশির দশকে তাদের উৎপাদন ব্যবস্থাপনাকে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে স্থানান্তর করে। এ প্রবণতা ডলারের সঙ্গে ইয়েনের মূল্যমান নির্ধারণসংক্রান্ত ১৯৮৫ সালের প্লাজা চুক্তি স্বাক্ষরের পর আরো বেড়ে যায়। ১৯৮৬ সালে জাপান সরকার বিশ্বায়নের তাগিদে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো থেকে আমদানি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় এবং এর ফলে যেসব দেশ থেকে জাপানে রপ্তানি বাড়াবার সুযোগ রয়েছে সেসব দেশে জাপানি বিনিয়োগ উৎসাহিত হয়। এসব বাস্তব অবস্থার প্রেক্ষাপটে জাপানি কোম্পানিগুলো বিদেশে, বিশেষ করে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার উদীয়মান শিল্প সম্ভাবনাময় দেশগুলোতে তাদের উৎপাদন ব্যবস্থাপনাকে ব্যাপকভাবে স্থানান্তরে উদ্যোগী হয়। কিন্তু ৮০-এর দশকের শেষ ভাগের আগে বাংলাদেশ জাপানিদের কাছে বিনিয়োগস্থল হিসেবে সম্যক পরিচিত ছিল না। তখন পর্যন্ত বাংলাদেশ তাদের কাছে জনসংখ্যার ভারে ন্যুব্জ, দারিদ্র্য, রোগ-শোক, বন্যা ও ঘূর্ণিঝড় আক্রান্ত দেশ হিসেবেই পরিচিত ছিল। ৯০-এর দশকে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার পর থেকে বৈদেশিক বিনিয়োগের আকর্ষণে সরকারি উদ্যোগ বেশ জোরেশোরে গৃহীত হওয়ার ফলে ১৯৯১ সাল থেকে বাংলাদেশে জাপানি বিনিয়োগ প্রবাহ বৃদ্ধি পেতে থাকে। জাপানি অর্থনীতির মন্দাভাবের প্রেক্ষাপটেও বর্তমানে সে প্রবাহ অব্যাহত আছে।
বাংলাদেশে জাপানি বিনিয়োগের সিংহভাগ এসেছে রাসায়নিক সেক্টরে (৫৭%), এর পরে টেক্সটাইল সেক্টরের (১৬%) স্থান, তারপর মেটাল প্রডাক্টস (১৩%), ইলেকট্রনিকস (১১%) এবং অন্যান্য (৩%)। বাংলাদেশের প্রাকৃতিক গ্যাস তুলনামূলকভাবে কম দামে পাওয়ার ফলে রাসায়নিক সার প্রস্তুতিতে এর সহজ জোগান সম্ভব হয়েছে। বাংলাদেশের প্রাগ্রসরমান গার্মেন্টস শিল্পের পশ্চাৎ সংযোগ হিসেবে টেক্সটাইল সেক্টরে জাপানি বিনিয়োগ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়ে যাওয়ার প্রয়োজনীয়তার প্রেক্ষাপটে জাপানের নিশিমেন, টয়োবো করপোরেশন এবং বাংলাদেশের এ কে খান গ্রুপ ইন্টারন্যাশনাল মিলস প্রজেক্ট স্থাপনের একটি উদ্যোগ এবং ১৫০ মিলিয়নের মারুবেনী-এসার এর আরেকটি বড় প্রকল্প (কোল্ড রোল স্টিল মিলস লি.) দীর্ঘদিন ধরে বাস্তবায়নের অপেক্ষায় ছিল। ১৯৯৫ সালে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) দ্য স্টাডি অন ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট অন চিটাগাং রিজিওন ইন দ্য পিপলস রিপাবলিক অব বাংলাদেশ নামে একটি বিশেষ সমীক্ষা বাংলাদেশ সরকারের নিকট পেশ করে। এ প্রতিবেদনে বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে স্পেশাল ইকোনমিক জোনসমূহ গঠনের পরামর্শ প্রদান করা হয়। সমীক্ষায় ২৫ বছর মেয়াদি একটি বিনিয়োগ মহাপরিকল্পনা উপস্থাপন করা হয়। যার মধ্যে কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ পাড়ে জাপানিদের জন্য একটি বিশেষ রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চল, গভীর সমুদ্রে আধুনিক কনটেইনার সুবিধা-সংবলিত সমুদ্রবন্দর এবং চট্টগ্রামে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব করা হয়। চট্টগ্রাম এবং চট্টগ্রাম-সংলগ্ন এলাকা ঘিরে শিল্প বেষ্টনী গড়ে তুলতে পারলে সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক ও চট্টগ্রামকে নিয়ে একটি ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রায়াঙ্গেল গঠিত হতে পারে বলে প্রতিবেদনে অভিমত প্রকাশ করা হয়। এরই মধ্যে চট্টগ্রামে শুধু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর প্রতিষ্ঠিত হয়েছে জাপানি সহায়তায়। জাপানিদের জন্য ইকোনমিক জোন প্রতিষ্ঠায় জাপানিদের আগ্রহ আয়োজনে টানাপড়েন সৃষ্টি হয় চট্টগ্রামের অদূরে কোরীয় বিনিয়োগকারীদের জন্য বিশেষ ইপিজেড প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের বিতর্কিত ভূমিকার কারণে। সম্প্রতি ঢাকার অদূরে আড়াইহাজারে জাপানিদের জন্য বিশেষ শিল্পাঞ্চল গড়ে উঠেছে। মাতারবাড়ী সোনাদিয়া অঞ্চলে জাপানি বিনিয়োগ হাব গড়ে উঠছে বিগ বি মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়িত হচ্ছে।
জাপানি শিল্পোদ্যোক্তারা অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে ও ধীরে-সুস্থে সিদ্ধান্ত গ্রহণের পক্ষপাতি। বিশেষ করে বিদেশে পুঁজি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে তারা বরাবরই খুঁতখুঁতে স্বভাবের। সে কারণে যে দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, যোগাযোগব্যবস্থা ও সার্বিক পরিবেশ-পরিস্থিতি নাজুক সেসব দেশে বিনিয়োগের ব্যাপারে তারা বেশ স্পর্শকাতর। শুধু স্বল্প মজুরিতে অঢেল অদক্ষ শ্রমিক পাওয়া এবং তুলনামূলকভাবে কিছু সুযোগ-সুবিধা থাকাটাই তাদের কাছে বড় কিছু নয়। তারা তাদের বিনিয়োগের সুদূরপ্রসারী প্রাপ্তিকে বিশেষ বিবেচনায় এনে থাকে। আঞ্চলিক, ভৌগোলিক ও নৃতাত্তিক সংযোগের কারণে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার শিল্প সম্ভাবনাময় উদীয়মান দেশসমূহ তাদের প্রধান আকর্ষণস্থল। এমনকি সামরিক সরকারের অধীনে থাকলেও মায়ানমারের প্রতি তাদের আগ্রহ কোনো অংশে কম নয়। ভিয়েতনামের সঙ্গে জাপানের অন্যতম মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পর সে দেশটির প্রতিও জাপানিদের আগ্রহ বেড়েই চলেছে। এসব কারণে দক্ষিণ এশিয়ার উন্নয়নশীল একটি দেশ হিসেবে বাংলাদেশের প্রতি জাপানিদের আগ্রহ তুলনামূলকভাবে তীব্র প্রতিযোগিতার সম্মুখীন।
জাপান বাংলাদেশের অন্যতম দ্বিপক্ষীয় দাতা দেশ। জাপান থেকে বাংলাদেশ বিগত পাঁচ দশকে (১৯৭২-২০২১) মোট মার্কিন ডলার ১৬ হাজার ১৮৯ মিলিয়ন আর্থিক সহায়তা পেয়েছে। তার মধ্যে খাদ্য সাহায্য মার্কিন ডলার ৪০৯ মিলিয়ন (২.৫২% ), পণ্য সাহায্য মা. ড. ৩ হাজার ৬৪৬ মিলিয়ন (২২.৫২%) এবং প্রকল্প সাহায্য মা. ড. ১২ হাজার ১৩৫ মিলিয়ন (৭৫%)। মোট প্রাপ্ত সাহায্যের মধ্যে অনুদান ২১ দশমিক ৪৬ শতাংশ এবং লোন ৭৮ দশমিক ৫৪ শতাংশ। জাপানি প্রকল্প সাহায্য লোনের সুদের হার ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত ছিল বার্ষিক ১ দশমিক ২৫০ শতাংশ এবং ১৯৮৮ থেকে বর্তমান পর্যন্ত বার্ষিক ১ শতাংশ। ১০ বছর রেয়াতি সুবিধাসহ ৩০ বছরে তা পরিশোধযোগ্য। জাপান বাংলাদেশকে প্রকল্প সাহায্য হিসেবে যা দিয়েছে, তার মধ্যে যমুনা সেতুসহ যোগাযোগ সেক্টরে ২৭%, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ২৫%, কেমিক্যাল সেক্টরে ২৩%, টেলিযোগাযোগ খাতে ৯%, বিমানবন্দর উন্নয়নসহ পর্যটন খাতে ৭%, সোশ্যাল সেক্টরসহ অন্যান্য খাতে ৯% ব্যবহৃত হয়েছে। বিশেষভাবে উল্লেখ্য, জাপান বাংলাদেশের মেঘনা সেতু, গোমতী সেতু, সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণ, সাধারণ শিক্ষা, পানি নিষ্কাশন ও সেচ প্রকল্প, পল্লী উন্নয়নসহ বিভিন্ন অবকাঠামোগত সুবিধা নির্মাণে অর্থনৈতিক সহায়তা দিয়েছে। এছাড়া জাপান প্রতি বছর প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা খাতে বৃত্তি বাবদ উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ অনুদান হিসেবে দিয়ে থাকে।
কূটনৈতিক সম্পর্কের সার্বজনীন সংস্কৃতি অনুযায়ী বাংলাদেশ-জাপান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কও দুই দেশের জনগণের ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্কের ভিত্তিতে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়কে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে। বাজার অর্থনীতি আর বিশ্বায়নের প্রভাবে অর্থনৈতিক স্বার্থই এখন সব সম্পর্কের নিয়ন্তা হিসেবে প্রাধান্য পাচ্ছে। বর্তমান বিশ্বে ব্যবসা-বাণিজ্য বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক সাহায্য-সহযোগিতার ক্ষেত্রে জাপান একটি শীর্ষস্থানীয় দেশ। এশিয়ার উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশের সঙ্গে জাপানের সম্পর্ক বর্র্তমান পর্যায়ে তাই সঙ্গত কারণেই বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্কের সূত্র ধরেই বহমান। এ সম্পর্ক সুদৃঢ় ও সাবলীল রাখার ক্ষেত্রে দুদেশের সরকার ও জনগণের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সাহায্য-সহযোগিতা বৃদ্ধিতে পারস্পরিক সমঝোতা অনস্বীকার্য হয়ে উঠছে।

ড. মোহাম্মদ আব্দুল মজিদ : উন্নয়ন অর্থনীতির বিশ্লেষক।
[email protected]

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়