বীমা ব্যক্তিত্ব সামাদের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

আগের সংবাদ

নানা আয়োজনে শেখ রাসেলের জন্মদিন পালন

পরের সংবাদ

মুকসুদপুরে ২৯৮ মণ্ডপে দুর্গাপূজার আয়োজন

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ১৮, ২০২৩ , ১২:১৯ পূর্বাহ্ণ

মুকসুদপুর (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি : মুকসুদপুর উপজেলায় এ বছর ২৯৮টি পূজামণ্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপিত হচ্ছে। প্রতিমায় রং-তুলির ছোঁয়াসহ সাজসজ্জার কাজ প্রায় শেষ। মন্দিরগুলো বিভিন্ন রঙের আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়েছে। ২০ অক্টোবর ষষ্ঠীপূজার মধ্য দিয়ে শারদীয় দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। টানা ৫ দিন চলবে এ উৎসব।
মুকসুদপুর উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ১৬টি ইউনিয়নে এ বছর প্রায় ২৯৮টি মণ্ডপে পূজা উদযাপিত হচ্ছে। এ বছর যেসব ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি মণ্ডপে পূজা উদযাপিত হচ্ছে, সেগুলোর মধ্যে পৌর শহরে ৮টি, উজানী ইউনিয়নে ৪২টি, জলিরপার ইউনিয়নে ৪০টি, বহুগ্রাম ইউনিয়নে ৩৮টি, দিগনগর ইউনিয়নে ২৪টি ও ননিক্ষীর ইউনিয়নে ২১টি। এ বছর আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে মন্দির কমিটির পাশাপাশি পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা সর্বোক্ষণ দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন।
মুকসুদপুর উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি ও উজানী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শ্যামল কান্তি বোস বলেন, উপজেলায় পূজাপার্বনে কখনো কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। প্রতি বছর প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পূজা উদযাপিত হয়ে থাকে। এ বছরও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পূজা উদযাপিত হবে।
উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক উত্তম কুমার দাস বলেন, পূজার প্রস্তুতি প্রায় শেষ। জাঁকজমকপূর্ণ পরিবেশে এবারো শারদীয় দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে।
মুকসুদপুর কেন্দ্রীয় মন্দির কমিটির সভাপতি অখিল সাহা বলেন, প্রতিমা তৈরি শেষ করে রং-তুলির কাজও সমাপ্তির পথে। এ বছরও আমরা জাঁকজমকভাবে পূজা উদযাপন করব। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. ফাইজুল ইসলাম জানান, সরকারিভাবে প্রতিটি পূজামণ্ডপে ৫০০ কেজি করে ডিআর চাউল বিতরণ করা হয়েছে।
মুকসুদপুর থানার ওসি মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, পূজা সুন্দর পরিবেশে উদযাপনের জন্য সব ধরনের নিরাপত্তা দিতে আমাদের সজাগ দৃষ্টি রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম ইমাম রাজী টুলু বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের বৃহত্তম শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে মুকসুদপুর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। প্রায় প্রতিটি পূজামণ্ডপে সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা রয়েছে। যদি দু-একটি মণ্ডপে ক্যামেরা লাগাতে বাকি থাকে, তারাও দ্রুত লাগাবে। মুকসুদপুর থানা পুলিশ সার্বক্ষণিকভাবে দেখভালের দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই এ বছর শান্তিপূর্ণ পরিবেশে এ উপজেলায় শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়