বীমা ব্যক্তিত্ব সামাদের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

আগের সংবাদ

নানা আয়োজনে শেখ রাসেলের জন্মদিন পালন

পরের সংবাদ

বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে আমন্ত্রণ পাননি জগন্নাথের বংশধররা

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ১৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

রকি আহমেদ : পুরান ঢাকার বুড়িগঙ্গার পাড়ে সাড়ে ৭ একরের ক্যাম্পাস জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। পূজার ছুটির কারণে একদিন আগে আগামীকাল বিশ্ববিদ্যালয়টির ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হবে।
তবে দেশের অন্যতম সেরা এ উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে জমি দানকারী জমিদার জগন্নাথ রায় চৌধুরীর বংশধরদের বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। কোনো অনুষ্ঠানেই তাদের ডাকা হয় না। দুঃখ নিয়েই কথাগুলো বলছিলেন জগন্নাথ রায়ের শেষ বংশধর বৃদ্ধ কালিশঙ্কর রায় চৌধুরীর স্ত্রী ভারতী রায়।
বালিয়াটির প্রতাপশালী জমিদার কিশোরীলাল রায় চৌধুরী তার বাবা জগন্নাথ রায়ের নামে এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি স্থাপন করেন। কালিশঙ্কর রায় জমিদার কিশোরীলাল রায়ের নাতির ছেলে। ভোরের কাগজের এই প্রতিবেদকের সঙ্গে কালিশঙ্কর রায়ের স্ত্রী ভারতী রায় চৌধুরীর কথা হয়। তিনি জানান, ‘কলেজ আমলে আমাদের ডাকা হলেও এখন আর নিমন্ত্রণ জানানো হয় না। বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে আমাদের ডাকা হয়নি। অথচ আমার স্বামীর দাদার বাবা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে জমি দান করেছিলেন। আমরা ছাড়া ঢাকায় জমিদার বংশের আর কেউ নেই।’
এদিকে, সর্বশেষ ২০১৯ সালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে জমিদার কিশোরীলালের বংশধর হিসেবে বিশেষ মর্যাদা না পেলেও শুধুমাত্র নিমন্ত্রণ পান কালিশঙ্কর ও তার স্ত্রী। তারা সমাবর্তনে যান। তৎকালীন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ তাদের ডেকেছিলেন কথা বলার জন্য। কিন্তু অসুস্থতার জন্য দ্রুত পৌঁছাতে পারেননি বলে আক্ষেপ করেন কালিশঙ্করের স্ত্রী ভারতী রায়। তবে ১৯৯২ সালে জগন্নাথ কলেজের শতবর্ষ পূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠানে পরিবারসহ আমন্ত্রিত হন কালিশঙ্কর রায় চৌধুরী।
দেয়া হয় বিশেষ মর্যাদা। তবে একসময়ের প্রতাপশালী জমিদার কিশোরীলালের বংশধর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্বপুরুষরা জমি দিলেও কালিশঙ্কর রায়ের জীবন কাটছে দুর্দশায়। ছেলে না থাকায় তার সংসার চালানোর একমাত্র অবলম্বন জামাতা বিপ্লব সাহা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী হিসেবে নিয়োজিত। তবুও সে চাকরি অস্থায়ী।
প্রসঙ্গত, ব্রিটিশ সরকারের কাছ থেকে রায় খেতাবপ্রাপ্ত কিশোরীলাল রায় এ দেশের শিক্ষা বিস্তারের জন্য ১৮৬৮ সালে তার বাবা জগন্নাথ রায়ের নামে স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। এরপর কলেজ, তারপর ২০০৫ সালে আইন পাসের মাধ্যমে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপ নেয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বর্তমানে ২০ হাজার শিক্ষার্থী ও ৮০০ শিক্ষক রয়েছেন। বিসিএস, ব্যাংক, জুডিশিয়ারি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেন। নানা গবেষণায়ও এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়