বীমা ব্যক্তিত্ব সামাদের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

আগের সংবাদ

নানা আয়োজনে শেখ রাসেলের জন্মদিন পালন

পরের সংবাদ

প্রতিমার রংতুলির কাজে ব্যস্ত কারিগররা : জয়পুরহাটে দুর্গাপূজা হবে ৩০০ মণ্ডপে

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ১৮, ২০২৩ , ১২:১৮ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক, জয়পুরহাট : জয়পুরহাটে দুর্গোৎসবের প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ হলেও রংতুলি নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা। জয়পুরহাট জেলায় এবার ৩০০ পূজামণ্ডপে দুুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে জয়পুরহাট সদর উপজেলায় ১১৭টির মধ্যে জয়পুরহাট পৌরসভায় ৩০টি, পাঁচবিবি উপজেলায় ৭৩টি, আক্কেলপুর উপজেলায় ৩৮টি, ক্ষেতলাল উপজেলায় ৪২টি এবং কালাই উপজেলায় ৩০টি।
শরতের কাশফুল, ঢাকের বাদ্য আর প্রতিমা তৈরিতে কারিগরের ব্যস্ততা জানান দিচ্ছে দেবী দুর্গার আগমনী বার্তা। ২০ অক্টোবর পূজা শুরু হয়ে ২৪ অক্টোবর প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটবে।
আয়োজকরা বলেছেন, এবারে দুর্গা মায়ের আগমন ঘটবে ঘোটকিতে, সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলায় ভরে যাবে দেশ আর ভ্রাতৃত্বের বন্ধন ও রোগমুক্তির আশায় অন্যরকম আনন্দে ভাসছেন হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন। তারা বলেছেন, বিগত বছরের তুলনায় এ বছর ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। এরপরও থেমে নেই তাদের আয়োজন। রকমারি আলোকসজ্জার বর্ণালি বাহারে সাজানো হচ্ছে পূজামণ্ডপ ও তার আশপাশ এলাকা। হাতে বাকি আছে আর মাত্র কয়েক দিন। এ বছর বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থায় প্রতিটি মণ্ডপে স্থাপন করা হবে সিসি ক্যামেরা। সব মিলে উৎসবের রঙে সাজছে জয়পুরহাট জেলা।
জানা যায়, দেবীদুর্গা অসুর দমনের শুভ শক্তি নিয়ে পৃথিবীতে আগমন করবেন। দুষ্টের দমন আর সৃষ্টের পালনের জন্যই দশহস্তে দেবী দুর্গা স্বর্গ থেকে মর্ত্যলোকে আগমন করেছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষগুলো প্রতি বছর শারদীয় উৎসব হিসেবে দুর্গাপূজা উদযাপন করে আসছে।
অপরদিকে পরিবার পরিজনের জন্য কেনা কাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। ঘরে বাইরে পূজাকে ঘিরে চলছে ব্যস্ততা। জামা কাপড় তৈরি, কেনা কাটায় সরগরম শহরের বিপণিবিতানগুলোতে। শারদীয় দুর্গোৎসবকে কেন্দ্র করে চারপাশে চলছে এখন উৎসবের আমেজ।
কয়েকটি পূজামণ্ডপে ঘুরে দেখা যায়, কাদা মাটি, বাঁশ, খড় ও সুতলী দিয়ে তিলতিল করে গড়ে তোলা দেবী দুর্গার প্রতিমা তৈরিতে দিনরাত ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা। বিভিন্ন মন্দিরে একেকজন কারিগর দুর্গাপূজা শুরুর ১০-১৫ দিন আগে থেকেই প্রতিমা তৈরিতে সময় নিয়েছেন। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা দক্ষ কারিগররা জেলার বিভিন্ন মন্দিরে শুরু করেন এসব প্রতিমা বানানো কাজ। ইতিমধ্যে অধিকাংশ পূজামণ্ডপের প্রতিমা তৈরির প্রধান কাজ প্রায় শেষ হয়েছে এবং রংতুলি দেয়া শুরু হয়েছে।
এবার জয়পুরহাট জেলায় নির্বিঘেœ দুর্গাপূজা মণ্ডপে যাতে অনুষ্ঠিত হয় সেই লক্ষ্যে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ দফায় দফায় বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন স¤প্রদায়ের মানুষকে নিয়ে সভা, সম্প্রীতি সমাবেশ অব্যাহত রয়েছে।
জয়পুরহাটের জেলা প্রশাসক সালেহীন তানভীর গাজী ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নূরে আলম হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে ম্যাসেজ দিয়েছেন যে, যদি জেলার কোনো পূজামণ্ডপে অশুভ শক্তি নামে দানবেরা সা¤প্রদায়িক শক্তি নষ্ট করার লক্ষ্যে ধর্মীয় আঘাত হানার চেষ্টা করে তাহলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়