জাবিতে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস পালিত

আগের সংবাদ

বাজারের পারদ চড়ছেই : নির্ধারিত দামের ধারেকাছেও নেই তিন পণ্য, আমদানির ডিম দেশে আসেনি এখনো

পরের সংবাদ

হুমকির মুখে ফসলি জমি বাড়ি-ঘর ও রাস্তাঘাট : সিংগাইরে অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে মাটি উত্তোলন

প্রকাশিত: অক্টোবর ১২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ১২, ২০২৩ , ১:১৪ পূর্বাহ্ণ

মাসুম বাদশাহ, সিংগাইর (মানিকগঞ্জ) থেকে : সিংগাইর উপজেলায় অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে জমি থেকে মাটি তোলা হচ্ছে। এতে হুমকির মুখে রয়েছে ফসলি জমি, আশপাশের বাড়ি-ঘর ও রাস্তাঘাট।
উপজেলার বলধারা ইউনিয়নের খোলাপাড়া এলাকায় একাধিক স্থানে ড্রেজার দিয়ে প্রতিনিয়ত কৃষিজমি, পুকুর ও বসতবাড়ি সংলগ্ন জায়গা থেকে মাটি তুলছেন স্থানীয় আব্দুল কুদ্দুস কোম্পানী ও তার লোকজন।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এসব জেনেও না জানার ভান করছেন। কখনো ঘটনাস্থলে গেলে ড্রেজার মেশিন বন্ধ করে পাইপ খুলে দিয়ে আসেন। পরক্ষণেই আবার চালু করা হয়। মাঝে মধ্যে দিনে বন্ধ রাখলেও চলে সন্ধ্যা থেকে ভোর রাত পর্যন্ত।
সরজমিন গত মঙ্গলবার বিলে দেখা যায়, খোলাপাড়া গ্রামের হায়েত আলীর বাড়ির পেছনেই অবাধে চলছে ড্রেজার মেশিন দিয়ে মাটি উত্তোলন। ভরাট করা হচ্ছে পার্শ্ববর্তী জায়গা। পরবর্তীতে সুবিধামতো বিক্রি করে থাকে এসব মাটি। ড্রেজার দিয়ে মাটি কাটায় হুমকির মুখে ফসলি জমি ও পার্শ্ববর্তী বসতবাড়ি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই এলাকার একাধিক কৃষক বলেন, ড্রেজার বসিয়ে গভীর করে মাটি কাটার কারণে আমাদের ফসলি জমি ড্রেজিংয়ের গর্তে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। কেউ জমি দিতে না চাইলে ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে জোর করেই সেখান থেকে মাটি কেটে নেয় ভূমিখেকোরা। শেষ পর্যন্ত ড্রেজার মালিকদের কাছে কম দামে জমি ছেড়ে দিতে বাধ্য হন সাধারণ কৃষক। এতে অভিযোগ তো দূরের কথা, কোনো শব্দ পর্যন্ত করতে সাহস পান না। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের লোকজন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এলেও ড্রেজার মেশিন বন্ধ রাখার কথা বলে চলে যান। পরক্ষণেই তারা আবারো মাটি কাটার উৎসবে মেতে ওঠেন।
ড্রেজার মালিক আব্দুল কুদ্দুস বলেন, আমার পুকুর থেকে ড্রেজার দিয়ে মাটি কেটে পাশের জমিতে ফেলছি। ৪-৫ ফুট গভীর করে কাটলে পার্শ^বর্তী জমির কোনো সমস্যা হয় না। তাছাড়া বসতবাড়ি থেকে প্রায় একশ শতক দূরে ড্রেজার বসানো হয়েছে।
আরেক ড্রেজার মালিক কুদ্দুস কোম্পানীর সহোদর সিরাজুল ইসলাম বলেন, থানায় অভিযোগ জানানোর কথা শুনে ড্রেজার বন্ধ করে পাইপ খুলে ফেলেছি।
বলধারা ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, আমি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নিচ্ছি।
সিংগাইর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আব্দুল কাইয়ুম খান বলেন, তিন দিন আগে ওই এলাকায় একটি অবৈধ ড্রেজার ভেঙে দেয়া হয়েছে। অপরটিরও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়